রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন স্টয়নিস
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়তে না পারলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লড়াই করছিল শ্রীলঙ্কা। রান-বলের ব্যবধানে চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়াই। কিন্তু উইকেটে গিয়ে মুহূর্তে সব হিসেব পাল্টে দিলেন মার্কাস স্টয়নিস। ব্যাট হাতে তুললেন ঝড়, গড়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ডানহাতি এই অলাউন্ডারের তাণ্ডবে অজিরা ম্যাচ জিতলো সহজেই।
মঙ্গলবার পার্থে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে এটা প্রথম জয় স্বাগতিকদের। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার মানে তারা। প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে আসা লঙ্কানরা সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে আইরিশদের উড়িয়ে দিলেও এই ম্যাচে সুবিধা করতে পারলো না।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। চারিথ আসালাঙ্কা ছাড়া তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালাতে পারেননি। তবে মাঝারি ইনিংস খেলেন পাথুম নিসাঙ্কা, অবদান রাখেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৬ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ধীর গতিতে এগোতে থাকা অজিদের নিমেষেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজানো স্টয়নিস। তার ব্যাটে ২১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
১২.২ ওভারে ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়র সংগ্রহ যখন ৮৯, স্টয়নিস তখন উইকেটে যান। জয়ের জন্য তাদের ৪৮ বলে দরকার ছিল ৬৮ রান। ২০ রানের এই ব্যবধান চোখের পলকে ঘুচিয়ে ফেলেন স্টয়নিস। লঙ্কান বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে মাত্র ১৭ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটা দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম। অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি রেকর্ড ছিল যৌথভাবে ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। তারা হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৮ বলে। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ডটি গড়েন ওয়ার্নার। ২০১৪ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ার্নারের রেকর্ডে ভাগ বসান ম্যাক্সওয়েল।
রেকর্ড গড়ার দিনে ১৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ৪২ বলে একটি ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া ওয়ার্নার ১১, মিচেল মার্শ ১৮ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩ রান করেন। শ্রীলঙ্কার ধনঞ্জয়া, চামিকা করুনারত্নে ও মাহেশ থিকসানা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা। ৪৫ বলের ইনিংসে ২টি চার মারেন তিনি। ২৩ বলে ২৬ রান করেন ধনঞ্জয়া। আসালাঙ্কা ২৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। অজি তিন পেসার জস হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক একটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন অ্যাস্টন অ্যাগার ও ম্যাক্সওয়েলও।
