‘কোনোভাবেই এটা সাংবাদিকতা হতে পারে না’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সরকারি অনুদান ছাড়াও নিজ অর্থায়নে দুস্থ-অসহায়দের সাহায্য করছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি। কিন্তু মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে বিব্রতকর এক অবস্থায় পড়তে হয়েছে তাকে।
গত ১ জুন নড়াইলে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইতি খানমকে রাস্তায় ফেলে যান তার স্বামী তিতাস কাজি। ঘটনার কয়েকদিন পর মাশরাফির হস্তক্ষেপে ইতিকে তার স্বামীর বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। ৮ জুন এ নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
খবরটির শিরোনাম দেওয়া হয়, 'স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে গেলেন স্বামী, কাছে টেনে নিলেন মাশরাফি।' এমন শিরোনাম দেখে বেজায় চটেছেন মাশরাফি। খবর পরিবেশনার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। তার দৃষ্টিতে এটা সাংবাদিকতা হতে পারে না।
এ বিষয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মাশরাফি বলেছেন, 'এটা সাংবাদিকতা নয়। কোনোভাবেই এটা সাংবাদিকতা হতে পারে না। সাংবাদিকদের কাজ প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা। সেটাকে বিকৃত করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা নয়। এই খবরে যেটা করা হয়েছে, এটা প্রকৃতপক্ষে কী, তা আমি বুঝে উঠতে পারছি না।'
সাংবাদিকতা পেশাকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে মাশরাফি আরও বলেন, 'সাংবাদিকতা পেশাকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। এটা সম্মানেরই একটা পেশা। সংবাদমাধ্যমকে বলা হয় সমাজের আয়না। কিন্তু এই ধরনের খবর, শিরোনাম দেখলে মানুষের ধারণা বদলে যাবে। অনুরোধ থাকবে প্রকৃত ঘটনা যেন সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। কারণ অনেক বিষয়ের সঙ্গেই মানুষের সম্মান জড়িত থাকে।'
এই ঘটনায় মাশরাফি এতটাই ক্ষীপ্ত যে, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুটি পোস্ট দিয়েছেন। সেই সংবাদের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে মাশরাফি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে লিখেছেন, 'কী দারুণ শিরোনাম, সাংবাদিকতা তার সেরা সময়ে।'
মাশরাফির বিশ্বাস, যারা সম্মানের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারাও এই শিরোনাম দেখে লজ্জা পেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'যারা বছরের পর বছর এই পেশাটাকে শুধু পেশা হিসেবেই নয়, সর্বোচ্চ সম্মানের সাথে করে আসছেন, মনে হয় উনারাও এসব দেখে লজ্জা পান।'
