বিতর্ক ঝেড়ে ২২ গজে দুর্বার নাসির

কদিন আগেও শিরোনামে ছিলেন নাসির হোসেন। বিয়ে করে নতুন বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের। তার স্ত্রী তামিম সুলতানার সাবেক স্বামী মামলা পর্যন্ত করেছিলেন। বিতর্ক গায়ে মাখতে না চাইলেও সময়টা কঠিনই যাচ্ছিল দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাসিরের। কিন্তু মাঠে নামতেই সব ঝেড়ে ফেললেন তিনি। জাতীয় ক্রিকেট লিগে নেমে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন নাসির।
রংপুর বিভাগের হয়ে খেলা ডানহাতি এই অলরাউন্ডার সেঞ্চুরি করার পর বল হাতেও দেখিয়েছেন স্পিন ভেল্কি। ব্যাট হাতে ১১৫ রানের ইনিংস খেলা নাসির ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন, প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন এক উইকেট। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে নামলেও সময়টা ভালোই যাচ্ছে নাসিরের।
প্রথম স্তরের ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ঢাকার বিপক্ষে রংপুর বিভাগের প্রথম ইনিংস সামলেছেন নাসির একাই। খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে পথ দেখিয়ে ২৩০ রানে নিয়ে যান তিনিই। প্রথম ইনিংসে ঢাকা ৩৬৫ রান তোলে। প্রথম ইনিংসেই ১৩৫ রানে পিছিয়ে পড়তে হয় রংপুরকে।
নাসিরের দারুণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি ঢাকা। ১২৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন আরাফাত সানি জুনিয়র। রংপুরের তিন স্পিনার নাসির, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও মাহমুদুল হাসান মিলেই ঢাকার ইনিংস গুটিয়ে দেন। নাসির ৪টি, সোহরাওয়ার্দী ৩টি ও মাহমুদুল ২টি উইকেট নেন।
২৬৪ রানের লক্ষ্যে তৃতীয় দিনের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করে নাঈম ইসলামের দল। সোহরাওয়ার্দী ও মাহমুদুল অপরাজিত আছেন। চতুর্থ ও শেষ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের দরকার আরও ২২৯ রান।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনার বিপক্ষে ফলোঅনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিলেট। জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে লিডও নিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেট ৫ উইকেটে ২৫০ রান তুলেছে। দুই ইনিংস মিলে তাদের লিড ৯ রান।
সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন জাকির, অপরাজিত আছেন ১১৮ রানে। অন্যপ্রান্তে ১৪ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক অলোক কপালি। অমিত হাসান করেছেন ৬৬ রান। এর আগে খুলনার বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট হয় সিলেট। প্রথম ইনিংসে খুলনা ৩৭৫ রান তোলে।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ২৮৩ রানের লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে তুলেছে রাজশাহী বিভাগ। শেষ দিনে তাদের প্রয়োজন আরও ১৩৬ রান। ৫১ রানে অপরাজিত আছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ হয় ১৪৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানে এগিয়ে ছিল তারা।
দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বরিশাল বিভাগ। শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়েছে তাদের। প্রথম ইনিংসে ২৪১ রান করে বরিশাল। জবাবে মার্শাল আইয়ুর ও শহিদুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪১৩ রান তোলে মেট্রো।
দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি বরিশাল। ১১৭ রানেই ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। মাত্র ৫ রানের লিড পেয়েছে দলটি। চতুর্থদিন বাকি ৩ উইকেটে অবিশ্বাস্য কিছু করতে না পারলে হারই অপেক্ষা করছে বরিশালের জন্য। মেট্রোর শহিদুল ও আবু হায়দার রনি ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান আরাফাত সানি ও শামসুর রহমান শুভ।