গাঁজার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি

গাঁজাকে নিষিদ্ধ পদার্থের শ্রেণিতে রাখা উচিত কি না, তা পর্যালোচনা করবে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (ওয়াদা)-র একটি উপদেষ্টা দল।
টোকিও অলিম্পিকে গাঁজার ডোপ টেস্টে মার্কিন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড তারকা শ'কারি রিচার্ডসনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যে কারণে আর অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে পারেননি এই খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ।
রিচার্ডসন-কাণ্ডের পরই গাঁজার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দাবি উঠে চারপাশ থেকে।
মঙ্গলবার ওয়াদার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বছর এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা শুরু হবে। তবে আপাতত যেকোনো প্রতিযোগিতায় গাঁজা নিষিদ্ধই থাকছে, এবং ২০২২ সালেও থাকবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "বেশ কয়েকজন অংশীদারের অনুরোধে, ২০২২ সালে গাঁজার ওপর বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা চালাতে বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা দলের নেওয়া সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে ওয়াদার নির্বাহী কমিটি।"
গত জুনে মার্কিন অলিম্পিক দলের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ট্রায়াল চলাকালে গাঁজায় পাওয়া যায় এমন এক রাসায়নিক রিচার্ডসনের দেহে পাওয়া গেলে তার ট্রায়াল বাতিল করা হয়। এরপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞাও দেখতে হয় এই স্প্রিন্টারকে।
পরবর্তীতে এই ২১ বছর বয়সী অ্যাথলেট জানিয়েছিলেন, মায়ের মৃত্যুর পর নিজেকে মানসিকভাবে সামলে নিতে গাঁজা সেবন করেছিলেন তিনি।
মেয়েদের ১০০ মিটার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসা রিচার্ডসনের উপর এমন নিষেধাজ্ঞা তখন চারপাশে নিন্দার ঝড় তুলে। মার্কিন অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সিসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান গাঁজার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দাবি জানায়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান