Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
July 18, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, JULY 18, 2025
সুপারকম্পিউটারের দৌড়ে চীন আমেরিকা কে কার উপরে!

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
21 May, 2022, 12:25 pm
Last modified: 21 May, 2022, 01:34 pm

Related News

  • মহাকাশে বিশ্বের প্রথম সুপারকম্পিউটার গড়তে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলো চীন
  • শহীদলিপি: হারিয়ে যাওয়া প্রথম বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ডের গল্প
  • এক্সপিএস, ইন্সপায়রন নয়; ডেলের নতুন কম্পিউটারের নাম হবে অ্যাপলের মতো
  • কর্মীদের রোবট ভীতি: যন্ত্র কি আমার চাকরি কেড়ে নেবে?
  • ৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

সুপারকম্পিউটারের দৌড়ে চীন আমেরিকা কে কার উপরে!

সুপারকম্পিউটারের কাজে জড়িত চীনা পাঁচ সংস্থার ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে ২০১৯ এ। এর মাত্র এক বছর পর চীনা আরও সাত সংস্থার ওপর একই খড়গ নেমে আসে। চীনের প্রথম এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটারের বয়স মাত্র একমাস হওয়ার পরই এ ব্যবস্থা নেয় আমেরিকা।
টিবিএস ডেস্ক
21 May, 2022, 12:25 pm
Last modified: 21 May, 2022, 01:34 pm
ছবি- গেটি ইমেজ

সুপারকম্পিউটারের দৌড়ে এবারে কি চীনকে টেক্কা দেওয়ার জন্য আদা-পানি খেয়ে নামার নিয়ত করছে আমেরিকা! সুপারকম্পিউটারের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করতে এবং এক দশকের পথ পাড়ি দিতে চাইছে আমেরিকা। এর মধ্য দিয়ে জলবায়ু গবেষণা থেকে শুরু করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। এ নিয়ে আরও লিখেছেন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সান ফ্রান্সসিকোতে বসবাসকারী মার্কিন পশ্চিম উপকূলের সম্পাদক রিচার্ড ওয়াটারস। সিলিকন ভ্যালিকে কেন্দ্র করে একদল লেখকের নেতৃত্বেও রয়েছেন ওয়াটারস।

বাংলাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞান লেখক ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন কম্পিউটারের বাংলা হিসেবে 'যন্ত্রগণক' শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। শব্দটি শেষ পর্যন্ত চলেনি। গণনাযন্ত্র বের হওয়ার আগে গণনার কাজ যারা করতেন তাদেরকেও 'কম্পিউটার' বলা হতো। 'হিডেন ফিগারস' ছবিটি যারা দেখেছেন তাদেরকে এ কথা আর মনে করিয়ে হয়ত দিতে হবে না। যা হোক, আদি কম্পিউটারের প্রধান কাজ ছিল গণনা। তা থেকেই হয়ত কম্পিউটার শব্দের উদ্ভব। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলায় যন্ত্রগণক নামটি বেছে নেন ড. মুতী।  

গণনা ছাড়াও কম্পিউটার নানা কাজ করে। তবে এসব কাজ সাধারণ কম্পিউটার যে গতিতে করে বা করতে পারে তার চেয়ে অতি দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করতে পারে সুপারকম্পিউটার। কম্পিউটারের যে কাজ করতে কয়েক ঘণ্টা লাগবে সুপারকম্পিউটারের লাগবে কয়েক সেকেন্ড। আর কম্পিউটার যদি যন্ত্রগণক হয় তবে অনায়াসেই সুপারকম্পিউটারকে তার গতির গুণের কারণে আদর করে মহা-যন্ত্রগণক নামেই ডাকা যায়।

পৃথিবীর দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও চীন সুপারকম্পিউটার ক্ষেত্রের পরাক্রমশালী অন্যতম দুই দেশ। তবে চীনের সাথে সুপারকম্পিউটারের দৌড়ের পাল্লায় কোমর বেঁধে নামার খায়েশ করছে আমেরিকা। কিন্তু রিচার্ড ওয়াটারস তার প্রতিবেদনের শুরুতেই বলেন, চীনের সাথে পাল্লা দেওয়া আমেরিকার জন্য মোটেও সহজ হবে না। মার্কিন জাতীয় নীতির দোলাচলে হয়ত এ প্রচেষ্টা থেমেও যেতে পারে। অন্যদিকে প্রথম সুপারকম্পিউটার তৈরির সমস্যাসংকুল পথ চীন ভালোভাবেই পাড়ি দিয়েছে। চীন এখন উন্নত এবং অত্যাধুনিক সুপারকম্পিউটারের গোটা একটা প্রজন্ম তৈরির মহাসড়কে রয়েছে। আর এ জাতীয় কম্পিউটার ব্যবহার নজির এখনও বিশ্বের কোথাও নেই।  

সুপারকম্পিউটার উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের অগ্রগতি ও বিকাশকে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা অনেক বেশি উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন। সুপার কম্পিউটার উন্নয়নে চীন পুরোপুরি স্থানীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করেছে। সুপার কম্পিউটারের জন্য অনিবার্য হিসেবে যে সব সরঞ্জামকে মনে করা হয় সে গুলো যেন চীনের হাতে না পড়ে ওয়াশিংটন তা নিশ্চিত করছে। অর্থাৎ এ ধরনের সরঞ্জাম চীনের কাছে বিক্রির ওপর আরোপ করা আছে কড়া নিষেধাজ্ঞা।

দুই দশকের বেশি সময় আগে সুপারকম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করে চীন। বর্তমানে এ খাতে বিশ্ব নেতৃত্বের অগ্রসারিতে দেশটি স্থান করে নিয়েছে। সুপারকম্পিউটার বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জ্যাক ডোনগারা মনে করেন, এ ক্ষেত্রে বিস্ময়কর পরিস্থিতিতে রয়েছে চীন।

জলবায়ুর আদল বা মডেল কিংবা পরমাণু বিস্ফোরণের ধকলের মতো অতি জটিল বিষয় ফুটিয়ে তুলতে বা সিমুলেশেনের কাজে ব্যবহার হয় অতি আধুনিক সুপারকম্পিউটার। এ গেল সুপারকম্পিউটারের প্রকাশ্য ব্যবহার। এ কম্পিউটারের গোপন প্রয়োগেরও নানা ক্ষেত্র রয়েছে। গোপন বার্তার রহস্য ভেদ বা অর্থ উদ্ধারে এ কম্পিউটার খাটানো হবে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক নিকোলাস মনে করেন, এভাবে সুপারকম্পিউটার জাতীয় নিরাপত্তার মূল হাতিয়ারও হয়ে উঠতে পারে।

দুনিয়ায় অতি শক্তিশালী যে ৫০০ কম্পিউটারের তালিকা রয়েছে তার মধ্য ১৮৬টি রয়েছে চীনের কাছে। আমেরিকা কাছে আছে ১২৩টি। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে চীন। এখানেই থেমে নেই চীন। চোখের পলকের চেয়েও দ্রুততর হিসাবে পারঙ্গম অতি পরাক্রমশালী সুপার কম্পিউটার বানিয়ে আগামী বছরগুলোতে কম্পিউটার জগতের উচ্চতর আসনে জিতে নিতে চাইছে।

কথিত এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটার তৈরির দৌড়ে সাফল্যের রেখা স্পর্শ করেছে চীন। এই কম্পিউটার সেকেন্ডে এক কুইন্টিলয়ন পরিমাণে হিসাব সম্পন্ন করতে পারে। এক কুইন্টিলয়ন মানে একের পিঠে ১৮ শূন্য। মিলিয়ন, বিলিয়ন বা ট্রিলিয়ন ব্যবহারে অভ্যস্ত আমরা প্রায় ভুলেই গেছি,  বৃহৎ সংখ্যা বাংলায় প্রকাশের ১৮টি ঘর রয়েছে। এ হিসাবে  একক, দশক, শতক, হাজার বা সহস্র, অযুত, লক্ষ, নিযুত, কোটি  ঘর পর্যন্ত আমরা সচরাচর ব্যবহার করি। কিন্তু তারপরও রয়েছে, অর্বুদ, পদ্ম, খর্ব, নিখর্ব, মহাপদ্ম, শঙ্কু, জলধি, অন্ত্য, মধ্য এবং পরার্ধ। প্রতিটি ঘরের মান আগের ঘরের দশগুণ। এ অনুযায়ী এক কুইন্টিলয়ন বা ১'এর পিঠে ১৮ শূন্য দিলে হবে এক জলধি। সেকেন্ডে এক জলধি হিসাব সাঙ্গ করতে সক্ষম চীনের এই কম্পিউটার এক দশক আগে তৈরি পেটাফ্লম কম্পিউটারের চেয়েও এক হাজার গুণ দ্রুততর।

আমেরিকার সম্প্রতি এমন কম্পিউটার তৈরির তৎপরতা চালাচ্ছে। ওয়াশিংটন এরকম তিন কম্পিউটার তৈরির নীল নকশা নিয়ে নেমেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ টেনিসাসের ওক রিজের ন্যাশনাল ল্যাবে এ জাতীয় কম্পিউটারের প্রথমটি সংযোজন করা হয়। এ জাতীয় কম্পিউটারে অনিবার্য ভাবেই কিছু 'বাগ' থাকে। এ সব 'বাগ' মুক্ত করা সম্ভব হলেই কেবল চলতি মাসের শেষ নাগাদ বলা যাবে আমেরিকাও এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটারের অধিকারী হলো। সেরা ৫০০ কম্পিউটারের তালিকায় এ মার্কিন এ কম্পিউটারের ঠাঁই মিলবে। এ তালিকা প্রকাশের সাথেই জড়িত রয়েছেন ডোনগারা।

এ ক্ষেত্রে আমেরিকার হাঁটি হাঁটি পা পা অবস্থা হলেও চীন কিন্তু এক বছরের বেশি আগে থেকেই এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করছে। এদিকে একই মানের নতুন আরেক কম্পিউটারও চীন নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ করেছে। এখন চীনের হাতে রয়েছে একটি নয় বরং দুটি এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটার। এ তথ্য দেন এশিয়ান টেকনোলজি প্রোগ্রামের পরিচালক ডেভিড কাহনার। কাহনারের গবেষণাকে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রামাণিক বলে বেশির ভাগ খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে।

তবে মজার ব্যাপার হলো, চীন কখনই এই দুই কম্পিউটার থাকার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেনি। এই দুই কম্পিউটার থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় ভিন্ন ভাবে। গত বছরের শেষ দিকে ইন্টারন্যাশনাল সুপার কম্পিউটার কম্পিটিশন গর্ডন বেল পুরষ্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করে চীন। এই দুই কম্পিউটার দিয়ে বৈজ্ঞানিক পত্র তৈরি করা হয়েছিল। এবং একটি পত্র এই শীর্ষ সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়।

মার্কিন জ্বালানি দপ্তরের লরেন্স বের্কলি ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির সদ্য সাবেক উপ পরিচালক হোস্ট সিমন। তিনি জানান, যে সব দেশের অত্যাধুনিক কম্পিউটার থাকবে তারা তার শত্রুর তুলনায় থাকবে অনেক এগিয়ে।

সুপারকম্পিউটার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজ সাফল্যের কথা চীন কখনোই ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করে না। এতে সুপারকম্পিউটার জগতে চালু ঐতিহ্য থেকে মহাপ্রাচীরের দেশটি আলগোছে সরে এসেছে। সুপারকম্পিউটার নিয়ে নিজ সাফল্যের বিষয়ে বিজ্ঞানীরা আকসার খোলামেলা ভাবেই কথা বলেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রও এ ধরনের কম্পিউটার থাকার বা বানানোর কথা বলতে গর্বের ভাষায়ই ব্যবহার করে। এ বাবদ চীন নিজ সাফল্যকে গোপনীয়তার চাদরে মুড়ে রাখতেই পছন্দ করে। বিজ্ঞজনদের ধারণা, মার্কিন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে হয়ত নিজেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং।

সুপারকম্পিউটারের কাজে জড়িত চীনা পাঁচ সংস্থার ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে ২০১৯ এ। এর মাত্র এক বছর পর চীনা আরও সাত সংস্থার ওপর একই খড়গ খচাং করে নেমে আসে। চীনের প্রথম এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটারের বয়স মাত্র একমাস হওয়ার পরই এ ব্যবস্থা নেয় আমেরিকা।

চীন এর আগেও এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটারের পর্যায়ে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এ জন্য মার্কিন চিপ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এএমডি'র প্রযুক্তিকে ভরসা করা হয়। কিন্তু এতেও মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার জালে আটকা পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। বর্তমানে চীনের দুই এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটারই দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তি ও নকশার ভিত্তিতেই বানানো হয়। এভাবেই তৈরি দুই বিশাল কম্পিউটার ব্যবস্থা, তিয়ানজিন ফাইটিয়াম ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং সাংহাই হাই-পারফরম্যান্স ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ডিজাইন সেন্টার। তবে গত বছরের  মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এ দুইয়ের নামই জ্বল জ্বল করে শোভা বিস্তার করছে।

সুপারকম্পিউটারের জগতে চীনের সাফল্যকে দারুণ হিসেবে উল্লেখ করেন ডোনগারা। তবে এতে ব্যবহৃত চিপ কি চীনে নাকি তাইওয়ানে বানানো হয়েছে সে বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

সুপারকম্পিউটারকে ঘিরে দেশীয় শিল্প তৈরি ও বিকাশের কাজ অনেক বছর ধরেই নীরবে সারছে চীন। চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাপান ও আমেরিকাকে ২০০০ সালে ভড়কে দেয় দেশটি। সে সময় চীন দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুততম কম্পিউটারের উন্মোচন করে। এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটার প্রযুক্তিকে হস্তগত করার মাধ্যমে এখানেও পরিষ্কারভাবেই এগিয়ে যেতে চাইছে বেইজিং।

কাহানার বলেন, আমেরিকা যখন তিন এক্সাস্কেল সিস্টেম বানানোর কাজ নিয়ে মেতেছে; চীন তখন ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ সিস্টেমের অধিকারী হওয়ার ম্যারাথন পাড়ি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চীনা কোম্পানিরা তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষদের সাথে দৌড়ে নামার বদলে নিজ দেশের প্রতিপক্ষদের নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছে।

আমেরিকা ও চীনের মধ্যে দিনে দিনে সুপারকম্পিউটার নিয়ে দূরত্ব বাড়ছে। উক্সিতে অবস্থিত চীনের জাতীয় শীর্ষস্থানীয় সুপারকম্পিউটিং সেন্টারেরও গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। কাহানার মনে করেন, চীনের সুপারকম্পিউটারের হাল-হকিকত জানতে হলে এ নিষেধাজ্ঞা ওয়াশিংটনকেই শিথিল করতে হবে।

সুপারকম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের নেতৃত্বে চীন রয়েছে এ কথা মেনে নিয়েই কাহানার বলেন, মার্কিন সক্ষমতার প্রশস্ততাই দেশটির শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছে। বিশেষ করে সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে এ কথা বেশি করে খাটে। তিন এক্সাস্কেল কম্পিউটারের সফটওয়্যার তৈরিতে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ এ খাতের ৩২০ কোটি ডলারের অর্ধেকই খরচ করছে। এক দশক ধরে এ প্রোগ্রাম লেখার কাজ চলছে। এদিকে হাইহাম বলেন, উন্নত গণিতে চীনা গবেষণা বেশির ভাগ সময়ই সুপার কম্পিউটার ঘিরে হয় না।

এদিকে, চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বা শিথিল করার মার্কিন কোনও আভাস ইঙ্গিত নেই। কিংবা চীনও নিজের পরাক্রমশালী সুপারকম্পিউটার নিয়ে প্রকাশ্য কিছু বলছে না। তারপরও বিশেষজ্ঞ কাহনার মনে করেন, সুপারকম্পিউটার খাতে চীন ও আমেরিকার বৃহত্তর সহযোগিতার করা উচিত। কাহনার মনে করেন, এতে নতুন নতুন কম্পিউটার ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব হবে। উপকৃত হবে সবপক্ষই। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তাভিত্তিক, ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায়কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা বজায় রেখে সহযোগিতা এ খাতে যতই বাড়বে, সুফলও বাড়বে ততই।

বাংলাদেশে লোকমুখে প্রচলিত কথার, যতই করিবে দান তত যাবে বেড়ে, সত্যতা এখানে মিলছে। তবে তার এ আহ্বান সুমতির পরিচয় দিচ্ছে – সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থাকছে। তা হলে কি এ বিশেষজ্ঞ ঘুরিয়ে ভিন্ন বাস্তবতা স্বীকার করলেন? তিনি কি বললেন যে সুপারকম্পিউটারের সুফল পুরো ভোগ করতে চাইলে চীনের সাথে একযোগে কাজ করা ছাড়া উপায় নেই আমেরিকার?

  • সূত্র- ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

 

Related Topics

টপ নিউজ

সুপার কম্পিউটার / কোয়ান্টাম কম্পিউটার / কম্পিউটার / চীন-আমেরিকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব: সারজিস আলম
  • ভারতের গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া রুশ মা ও দুই সন্তানকে ঘিরে রহস্য আরও বাড়ছে 
  • গোপালগঞ্জে কারফিউ: জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান আসিফের
  • পদত্যাগ করেছেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভায় হামলা: গুলিবিদ্ধ ৪ জন নিহত, এলাকা রণক্ষেত্র
  • গোপালগঞ্জের ঘটনার পর এনসিপির 'আচরণগত পরিবর্তন' প্রত্যাশা করে বিএনপি

Related News

  • মহাকাশে বিশ্বের প্রথম সুপারকম্পিউটার গড়তে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলো চীন
  • শহীদলিপি: হারিয়ে যাওয়া প্রথম বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ডের গল্প
  • এক্সপিএস, ইন্সপায়রন নয়; ডেলের নতুন কম্পিউটারের নাম হবে অ্যাপলের মতো
  • কর্মীদের রোবট ভীতি: যন্ত্র কি আমার চাকরি কেড়ে নেবে?
  • ৬০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার এসেছিল যার হাত ধরে

Most Read

1
বাংলাদেশ

আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব: সারজিস আলম

2
আন্তর্জাতিক

ভারতের গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া রুশ মা ও দুই সন্তানকে ঘিরে রহস্য আরও বাড়ছে 

3
বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে কারফিউ: জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান আসিফের

4
বাংলাদেশ

পদত্যাগ করেছেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ

5
বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভায় হামলা: গুলিবিদ্ধ ৪ জন নিহত, এলাকা রণক্ষেত্র

6
বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জের ঘটনার পর এনসিপির 'আচরণগত পরিবর্তন' প্রত্যাশা করে বিএনপি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net