শুরু হয়েছে হজের নিবন্ধন, ৭০ শতাংশ হাজিই হবেন সৌদি প্রবাসী

সৌদি আরবের ওমরাহ এবং হজ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় গড় সোমবার থেকে নিজস্ব ওয়েবসাইটে মূল হজের জন্য আগ্রহীদের নিবন্ধন শুরু করেছে। চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে এবার ১০ হাজার হাজি নিয়ে মূল হজ অনুষ্ঠিত হবে। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হবেন সৌদি আরবে প্রবাসী বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বাকি ৩০ শতাংশ সৌদি নাগরিকদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
তবে অনলাইনে হজ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রযোজ্য। সৌদি নাগরিকদের মধ্যে যেসব স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা এ সুযোগ পাবেন। সুস্থদের তালিকা থেকে সরকারিভাবে বাছাইকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা শারীরিকভাবে সবল তাদের হজ পালনের বিশেষ অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় বাদ পড়বেন বয়োজ্যেষ্ঠরা। খবর সৌদি গ্যাজেটের।
দেশজুড়ে স্বাস্থ্য সেবা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার- অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সৌদি সরকার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের এ সুযোগ দিচ্ছে, বলে জানানো হয় সৌদি প্রেস এজেন্সি প্রকাশিত সংবাদে। হজ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়েই বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থাটি।
সৌদি মন্ত্রণালয়টি জানায়, গত সোমবার থেকে শুরু করে আগামী শুক্রবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট (localhaj.haj.gov.sa) নিবন্ধন চলবে। এরপর আগামী রোববার (১২ জুলাই) অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশিত হবে।
সৌদি প্রবাসী বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে দেশটির জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করেই এ অনুমতি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছর এবং যারা কোনো দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন না; তেমন ব্যক্তিরাই হজের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। নিবন্ধনের সময় বিদেশিরা কেউ ডায়াবেটিস (বহুমূত্র), ব্ল্যাড পেশার (রক্তচাপ জনিত সমস্যা), হৃদরোগের ব্যাধি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত কোনো রোগে আক্রান্ত নন; এমন মর্মে ঘোষণা দিতে হবে। তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা বা এমন কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করেছেন কিনা সেটাও উল্লেখ করতে হবে ঘোষণায়। নিবন্ধরের সময় তাদের করোনা টেস্ট সংক্রান্ত পরীক্ষার ফলাফলও জমা দিতে হবে।
শুধু তাই নয়, এর আগে হজ করেননি এই মর্মেও নিশ্চয়তা দিতে হবে। পাশাপাশি হজের আগে ১৪ দিন এবং পরের ১৪ দিন নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারিন্টিনে থাকেবেন এই মর্মে অঙ্গীকারনামাতেও স্বাক্ষর করতে হবে।
হোম কোয়ারিন্টিনের শর্ত মানা হচ্ছে কিনা; তা মনিটর করবে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।