মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে গুলি, নিহত ৯

সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বুধবার ৯ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে এক বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। অন্য আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনের মূল শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন ।
মনিওয়া গেজেটের সংবাদ অনুযায়ী, পুলিশের গুলিতে কেন্দ্রীয় শহরে পাঁচজন নিহত হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী আন্দোলনকারী একজন ছাত্র মো মাইন্ত হাইন বলেন, মাইঙানের কেন্দ্রীয় শহরে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সংঘর্ষে পায়ে আঘাত পাওয়া মো মাইন্ত হাইন টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, "তারা সরাসরি আমাদের উপর গুলি চালিয়েছে। একজন নিহত হয়েছে, একজন কিশোরে মাথায় গুলি করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের একজন মুখপাত্রের মন্তব্য জানার জন্য টেলিফোন করা হলে তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সামরিক শাসনের প্রতি সংযমের আহ্বান জানানোর একদিন পরেই এই ভয়াবহতার সাক্ষী হলো মিয়ানমার।
১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এই নিয়ে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক শাসনের প্রতি মিয়ানমারের অস্থায়ী পদক্ষেপের অবসান নিশ্চিত করে ও দেশব্যাপী বিক্ষোভ এবং আন্তর্জাতিক হতাশার সৃষ্টি করে।
মিয়ানমার নাও সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। একজন একটিভিস্ট বলেছেন যে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারী নেতাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ এবং সৈন্যদের পাহারায় যুবকদের লম্বা লাইন মাথায় হাত রেখে সেনাবাহিনীর ট্রাকে উঠছে । যদিও রয়টার্স ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
গণমাধ্যম এবং বাসিন্দারা জানান, বিক্ষোভকারীরা পশ্চিমে চিন স্টেট, উত্তরে কাচিন রাজ্য, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শান রাজ্য, সাগাইং-এর কেন্দ্রীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণে অবস্থান নিয়েছিল। চিন স্টেটের একজন আন্দোলনকর্মী সালাই লিয়ান রয়টার্সকে বলেন, "আমরা দেখাতে চাই যে এ দেশের কেউ একনায়কতন্ত্র চায় না।"
সূত্র- রয়টার্স