পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে আম্পান

বুধবার বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় 'আম্পান'। ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার গতিতে বইছে ঝড়। কখনো কখনো তা বেড়ে ১৮৫ কিলোমিটারও হচ্ছে।
শক্তি আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনো মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যে তার প্রভাবও টের পাওয়া যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই পরগনা, হাওড়াস, হুগলি ও কলকাতায় বৃষ্টি ও ঝড় বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
অন্যদিকে, আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্যমতে, আম্পানের কারণে গত কয়েক দশকের মধ্য সবচেয়ে বড় দুর্যোগের মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা। আইলা, বুলবুল কিংবা ফণী- কোনো ঘূর্ণিঝড়ই এত শক্তিশালী অবস্থায় শহরটিতে প্রভাব ফেলেনি, যতটা তাণ্ডব চালাতে চলেছে অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আম্পান।
পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে আম্পানের গতিপথে কোনো পরিবর্তন না হলে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মধ্যে পড়তে চলেছে কলকাতা।

ওই দপ্তর আরও জানিয়েছে, এর আগে ঘূর্ণিঝড় আইলা যখন সুন্দরবনের উপকূলে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল, সেখানে তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৫-১৩০ কিলোমিটার। আর কলকাতায় কার্যত আইলার লেজের ঝাপটা লেগেছিল। কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৯০ কিলোমিটারের আশেপাশে। তবু কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল শহরটি।
আম্পানের আঘাত যে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুরের আবহাওয়াবিদদের মতে, প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালাবে আম্পান। কলকাতাতেও তার প্রভাব অন্য ঝড়ের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হবে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতায় অনেক পুরনো বাড়ি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও ভারি বৃষ্টির কারণে বহু বাড়িঘর ভেঙে পড়তে পারে। উপড়ে পড়তে পারে বহু গাছপালা।