২০২১ সালের আগে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বাজারে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আসছে, এর আগে তৈরি শেষ হচ্ছে না এই ভাইরাসের কোনো ওষুধও। সুতরাং এই সময়ের আগে রেস্তোঁরায় খাওয়া, কনসার্টে অংশ নেওয়া বা কোনও সরাসরি খেলাধুলার অনুষ্ঠান দেখার মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া যাবে না।
সারা পৃথিবীতেই চলাচল ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, কর্মহীন হয়ে পড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই অবস্থায় ক্রমেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ। আর এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
"এই ইস্যুতে হোয়াইট হাউজের বক্তব্যের ধরন দেখে আমি সত্যিই হতাশ হয়ে যাচ্ছে। 'আমরা আবার স্বাভাবিক ইস্টার উদযাপন করব', 'সেপ্টেম্বরেই ফুটবল মরশুম শুরু হবে'- এধরনের আলোচনা সত্যিই কাজে দেবে না, কেননা এরকম কিছুই হচ্ছে না", বলেন পেনসিলভেনিয়া মেডিকেল স্কুলের একজন অনকোলজিস্ট (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ) ও ওবামা কেয়ার এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডা. ইজিকিয়েল জে ইমানুয়েল।
তিনি বলেন, "এপ্রিলের শেষেই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করা সম্ভব নয়। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আসতে ১৮ মাস সময় লাগবে। আর এই সত্যটার জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত করতে হবে।"
তিনি বলেন, "আর এজন্য কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। একটা ছোট্ট ব্যবসা ঠিকঠাক মতো দাঁড় করাতে ১৮ মাসের মতো সময় লাগে, আপনি স্রেফ ৮ মাসে দাঁড় করাতে চাইলে হবে না।"
ডা. ইজিকিয়েল আরও জানান, আগামী বছরের আগে এর কোন প্রতিষেধক আসছে না। ২০২১ সালের জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরের টাইমফ্রেমে একটি ভ্যাকসিন আসতে পারে। সুতরাং এখন থেকে ১৫/১৮ মাসের একটা সময়ের মধ্যে সেটা সম্ভব বলে আশাবাদী ডা. ইজিকিয়েল।
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং মার্কিন অর্থনীতি "খুব ভাল করতে চলেছে"! তার এই বক্তব্যের ঠিক আগেই তার প্রশাসনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, মে মাসের দিকে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হবে।
অথচ গত তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন মুলুকে বেকারত্ব বেড়েছে ১৬ মিলিয়ন।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৭১ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে লাখেরও বেশি। আর ভাইরাসটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ।