Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 11, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 11, 2025
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় চরম ব্যর্থ মোদি, সমালোচকদের দাবি

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
02 May, 2021, 09:35 am
Last modified: 02 May, 2021, 03:29 pm

Related News

  • জি-২০ নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে দেশের নাম 'ইন্ডিয়া'র পরিবর্তে 'ভারত'
  • মোদি, রাহুল, মমতা- ভারতীয় নেতারা কেন সঙ্গীহীন বা অবিবাহিত থাকেন? 
  • বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে: মোদি
  • বর্ষায় গঙ্গার পানি বাড়তেই ভেসে উঠছে কোভিড রোগীদের মরদেহ
  • জনপ্রিয়তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী পেছনে ফেললেন বাইডেন, ট্রুডো, মাখোঁকে

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় চরম ব্যর্থ মোদি, সমালোচকদের দাবি

ভারতের মত দেশে যেখানে মোদিকে প্রায় 'সাধু' শ্রেণীর মনে করা হতো, সেখানে তার বিরুদ্ধে এতটা ক্ষোভ একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দেশে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে ভাবার বদলে নির্বাচনী র‍্যালি করে বেড়ানোটা মোদির 'বড় ভুল'।
টিবিএস ডেস্ক
02 May, 2021, 09:35 am
Last modified: 02 May, 2021, 03:29 pm
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী; ফাইল ছবি

এপ্রিলের ১৭ তারিখে নিজের হাজার হাজার সমর্থকদের দেখে মাস্ক বিহীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গর্বভরে বলেছিলেন, "আমি আর কোনোদিন কোনো নির্বাচনী মিছিলে এত লোকসমাগম দেখিনি।"

কিন্তু সেই মুহূর্তে তার দেশ ভারত ছিল নিদারুণ মানবিক সংকটের মুখোমুখি।  ঠিক সেদিন, মঙ্গলবারই ভারতে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার, যা অন্য অনেক দেশের চাইতে বেশি। 

তারপর থেকে ভারতের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপই হয়েছে। এই মুহূর্তে মহামারীতে বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ডটা ভারতেরই। ইতিমধ্যেই দেশটিতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে এখন লাশ দাহ করার কাঠের অভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং রোগী ভর্তির জায়গা। বিদেশী নেতারা এখন সাহায্য পাঠাচ্ছেন ভারতকে।

এ সপ্তাহেই নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নরেন্দ্র তানেজা সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন যে, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের সব দায় সরকারই নিচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন দেশে প্রথম তরঙ্গে একের পর এক মৃত্যুর মিছিল প্রত্যক্ষ করা সত্ত্বেও তানেজার দাবি, এরকম বিপর্যয় যে ভারতে আসবে তার পূর্বাভাস তারা পাননি।   

মোদি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারের নেতারা দাবি করেছেন, দেশে করোনা বিপর্যয়ের কারণ রাজ্য সরকারের গাফিলতি ও আঞ্চলিক পর্যায়ে লকডাউন আরোপ না করা। গেল সপ্তাহেই ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, অক্সিজেনের ঘাটতি আসলে এর বন্টন সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনার জন্য হয়েছে যা রাজ্য সরকারগুলোর দায়িত্বের মধ্যে ছিল।    

কিন্তু ভারতের বহু মানুষের বিশ্বাস, মোদি এবং তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের নানা কর্মকান্ডের ফলে ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, বরং হিন্দু ধর্মের নানা উৎসব ও রাজনৈতিক মিছিলের মাধ্যমে বহু লোক জড়ো করে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তোলা হয়েছে। 

বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র বলেছেন, 'এই সরকার দেশের সবার আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি যারা বিরোধী দলে রয়েছেন তারাও মোদি সরকারের  মত নেতৃত্ব ও দেশ পরিচালনায় এতটা ব্যর্থতার কথা ভাবতে পারেননি'।   

মোদির করোনাকালীন জনসংযোগ পদ্ধতি 

ভারতের মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই ইতিবাচক থাকতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবং তিনি যেন নিজেকে এর সঙ্গে একাত্ম করে ফেলেছেন।  

টিকা নেওয়া ভারতীয়দের যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে সেখানে রয়েছে মোদির ছবি। আক্রান্তদের সাহায্যার্থে 'কোভিড রিলিফ ফান্ড' নামক যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খোলা হয়েছে তার নাম দেওয়া হয়েছে 'পিএম কেয়ারস'।   

ভাইরাসের প্রথম তরঙ্গ ভারতের জন্য যতটা আগ্রাসী হবে বলে বিশেষজ্ঞরা ভেবেছিলেন, তা না হওয়ায় এবং মোদির সকল ইতিবাচক উদ্যোগের কারণে ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে মোদি তার জনসংযোগে সফল। সেই সাথে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তো তাদের ছিলই। সেই সময় ভারত ৬৬ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন অন্য দেশগুলোকে দিয়ে সহায়তাও করেছে এবং এটি নিয়ে বেশ গর্বিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। 

অনেকেরই ধারণা ছিল যে ভারতের জন্য ভাইরাস আতঙ্ক শেষ হতে যাচ্ছে, তাই ভ্যাকসিন নেয়া  মানুষের সংখ্যাও ছিল খুব কম। ভারতের ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার ৩০০ মিলিয়ন নিরক্ষর, তাই তাদের ধারণাও ছিল না যে আশেপাশে কি ঘটছে।

মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান পলিটিকস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রদীপ তানেজা বলেন, 'সাধারণ মানুষ ভেবেছে সরকারই ভাল জানে কি করতে হবে, তাই তারা স্বচ্ছন্দ্যে স্বাভাবিক ভাবেই দৈনন্দিন কাজ করেছে। এর জন্য আপনি তাদের দোষ দিতে পারবেন না।'

কিন্তু মহামারি শেষ হওয়া তখনো আসলে বহু দূরের স্বপ্ন!  ফেব্রুয়ারিতেই সংক্রমণের মাত্রা আবার উর্ধ্বমুখী হতে থাকলেও বিজেপি দাবি করতেই থাকে যে মোদির অদূরদর্শী নেতৃত্বে ভারত করোনাকে হার মানিয়েছে।  

মার্চের ৭ তারিখে ভারতে একদিনে ১৮ হাজার করোনা আক্রান্তের খবর এলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, 'ভারতে করোনার খেল খতম'। ৩০ মার্চ একদিনে ৮০ হাজার আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগেরদিনও তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। 

বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারিবিদ ও অর্থনীতিবিদ রামানান লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, দ্বিতীয় তরঙ্গ আসা যখন অনিবার্যই ছিল তখন এর মাত্রা সবাইকে চমকে দিয়েছে। 

"আমি মনে করি সবাই খুব বেশিই আশাবাদী হয়ে গিয়েছিল এবং কোন সতর্কবার্তা রাখেনি। ঘটনার পরে বোধোদয় হওয়ার ব্যাপারটিও সম্ভবত তাদের ক্ষেত্রে ঘটেনি", বলেন তিনি। 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তানেজার মতে, মোদির একরোখা আচরণ ও আত্মতুষ্টিই ভারতকে আজ এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে। তিনি ভেবেছিলেন ভারত উন্নত দেশগুলোকে পেছনে ফেলে কোভিড মোকাবিলায় এগিয়ে গেছে। 

দ্বিতীয় তরঙ্গ নিয়ে ক্ষোভ 

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে বিভীষিকায় রূপ নিলেও মোদিকে আশ্চর্যরকম চুপ থাকতে দেখা গিয়েছে। এই মুহূর্তে দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় লকডাউন অনেকেই প্রত্যাশা করলেও তার ঘোষণা দেননি মোদি। এমনকি গত মাসে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি জাতীয় লকডাউনের বিপক্ষেই কথা বলেন।  

মহামারী রোধে মোদির এই নিষ্ক্রিয়তার ফলে ভারতজুড়ে মোদিবিরোধী ক্ষোভের ঢেউ ফুঁসে উঠেছে। টুইটারে হ্যাশট্যাগ 'মোদি মেড ডিজাস্টার' ও 'মোদি মাস্ট রিজাইন' লিখে পোস্ট দিতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। এ সপ্তাহেই ভারতীয় মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নবজোৎ দাহিয়া মোদিকে রাজনৈতিক র‍্যালি ও হরিদ্বারে কুম্ভমেলার আয়োজনের সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী করে তাকে 'সুপার স্প্রেডার বা চরম সংক্রামক' বলে অভিহিত করেছেন।  

দিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ-এর গবেষক অসীম আলির মতে, ভারতের মত দেশে যেখানে মোদিকে প্রায় 'সাধু' শ্রেণীর মনে করা হতো, সেখানে তার বিরুদ্ধে এতটা ক্ষোভ একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারো পাঁচ বছর মেয়াদী ক্ষমতায় আসার ফলে ৮০ শতাংশ হিন্দুর দেশে মোদি তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডাকে সহজেই বাস্তবায়ন করার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।   

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্বিতীয়বার লকডাউন দিয়ে নিয়ে সমর্থন হারানোর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না মোদি।    

গেল বছরের মার্চে যখন মোদি প্রথমবারের মত লকডাউন দিয়েছিলেন, তখন ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫১৯ জন। সেই লকডাউনকে অনেকেই বিশ্বের সর্বনিকৃষ্ট লকডাউন বলে থাকেন। তার এই সিদ্ধান্তের ফলে তখন ভারতে দিনমজুরেরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। দেশটির অর্থনীতি কমে গিয়েছিল ২৪ শতাংশ এবং জিডিপি কমেছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।  

তাই দ্বিতীয় তরঙ্গে এসে মোদি বরং 'মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন' এর পরামর্শ দিয়েছেন। এবং এটি রাজ্যগুলোর উপর নির্ভরশীল, তাই তারা বিধিনিষেধ কতটা আরোপ করবে। এখনো পর্যন্ত ভারতের ৮ টি রাজ্যে আংশিক লকডাউন ও কর্ণাটকে কারফিউ দেয়ার কথা জানা গেছে। তবে গুজরাট পূর্ণাঙ্গ লকডাউন দেয়ার কথা জানিয়েছে দিল্লীকে।  

কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক আমলা রাজীব সদানন্দনের মতে, 'এবার লকডাউন না দেয়ার কারণ খুবই সহজ। কারণ গতবার লকডাউনের ফলে দরিদ্রদের চরম কষ্ট হওয়ায় মোদিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল'।  

গত মাস থেকেই ভারতের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা ও তামিলনাড়ু রাজ্য এবং পুদুচেরি ইউনিয়ন টেরিটরিও একটি কারণ। এদের মধ্য থেকে দুটি রয়েছে বিজেপি শাসিত এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও তাদের দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। বিজেপির মুখপাত্র তানেজাকে 'কেন নির্বাচনী র‍্যালি চলছে?'- এই প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দেশের স্বায়ত্তশাসিত নির্বাচন কমিশনই তাদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অনুমতি দিয়েছে। 

সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ইনফরমেশনস রিসার্চ ইউনিটের রিসার্চ ফেলো মাইকেল হেড বলেন, 'ভারত সরকারের উচিত ছিল জনসমাগম নিষিদ্ধ করা ও স্পষ্ট ঘোষণা দেয়া। সেই সাথে গতবারের মত আন্তঃরাজ্য ভ্রমণও বন্ধ রাখতে পারতো'।  

প্রস্তুতির অভাব 

যেহেতু এ বছরের শুরুতে ভারতে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্তই ছিল, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইলেই তখন সম্ভাব্য আসন্ন  কোভিড-১৯ এর আঘাত সামলে নেয়ার পরিকল্পনা করতে পারতেন। 

প্রদীপ তানেজার মতে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি না করা ও কোনো ভবিষ্যত পরিকল্পনা না করার দায়ে সরকারের এই ভূমিকাকে 'সরকার পরিচালনায় অপরাধসম অজ্ঞতা ও অবহেলা' রূপে অভিহিত করা চলে।

বিশেষজ্ঞদের থেকে ইঙ্গিত পাওয়া সত্ত্বেও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দুই স্থানেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানে। হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানান, গত জুন থেকেই আমেরিকা তাদের মজুদ বৃদ্ধি করে চলছিল আসন্ন দ্বিতীয় তরঙ্গকে ঠেকাতে।  

কিন্তু ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে অক্সিজেন স্বল্পতার কথা গত এপ্রিল ও পরে নভেম্বরে জানানো হলেও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে গুরুত্ব দেয়নি। দেশে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে ভাবার বদলে নির্বাচনী র‍্যালি করে বেড়ানোটা মোদির 'বড় ভুল' বলে মন্তব্য করেন প্রদীপ তানেজা। 

করোনা নিয়ে ভারতের প্রস্তুতির অভাবের দায় মোদির বাইরেও আরো অনেকেরই রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম 'দ্য ক্যারাভান' জানিয়েছে, দেশের জাতীয় বৈজ্ঞানিক টাস্কফোর্সের সরকারকে পরামর্শ দেয়ার কথা ছিল মহামারির ব্যাপারে, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি ও মার্চেও এগিয়ে আসেনি। 

এছাড়াও ভারতের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট ঘাটতি রয়েছে বহু বছর ধরেই। ২০১৮ তে ভারতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হয়েছে মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ যা বিশ্ব গড় হিসাবেরও (১০%) নিচে। কারণ ১৭% স্বাস্থ্য বাজেট নিয়েও আমেরিকাকে মহামারিতে ভুগতে হয়েছে। ভারতে প্রতি ১০০০ জনের জন্য চিকিৎসক রয়েছেন ০ দশমিক ৯ শতাংশ। 

এছাড়াও ভাইরাস মনিটর করার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান তাদের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশেরও নিচে। ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, ভারত তাদের মাত্র ০ দশমিক ৬ শতাংশ করোনা কেসের সিকোয়েন্স করেছে। 

এই সবই কি মোদির দোষ?  

সমালোচকদের মতে, মোদি যদি শেষ পর্যন্ত মহামারি সামাল দেয়ার জন্য প্রশংসা পান, তবে অন্যান্য দেশের নেতাদের কিছুটা দোষ ঘাড়ে নিতেই হবে। কিন্তু ভারতজুড়ে মোদির অসংখ্য ভক্ত রয়েছে, অর্থাৎ তিনি কিছু বললে মানুষ তা মানে। তাই মহামারি নিয়ে তার কর্মকান্ড মানুষের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এ বছরের শুরুতেই ভারতে বহু মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছিল এবং সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছিলো না।  

কিন্তু এই মুহূর্তের জনরোষ ও ভারতে চলমান বিভীষিকা মোদির খ্যাতি নষ্ট  করবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আরো তিন বছর বাকি, তাই মোদির সামনে এখনই কোনো চ্যালেঞ্জ আসছে না। 

কিন্তু তানেজার মতে, এই মহামারি জনগণের সামনে মোদি সরকারকে মূল্যায়ন করার সুযোগ এনে দিয়েছে। 
তিনি বলেন, 'কোনো একক ব্যক্তিকে মহামারির জন্য বা ভারতের দুর্যোগের জন্য দোষ দেয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, আপনার দায় নিঃসন্দেহে অনেক বেশি।" 

  • সূত্র- সিএনএন  
     

Related Topics

টপ নিউজ

ভারতে করোনাভাইরাস / নরেন্দ্র মোদি সরকার / ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর
  • মেইতেই নেতাকে গ্রেপ্তারের পর উত্তাল মণিপুর, ইন্টারনেট বন্ধ-কারফিউ জারি
  • করোনা সংক্রমণ বাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ
  • মোদির পক্ষে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে কাজের অভিযোগে মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি
  • বর্তমান পরিস্থিতিতে 'টার্নিং পয়েন্ট' হতে পারে লন্ডনে তারেক-ইউনূস বৈঠক: মির্জা ফখরুল
  • কলকাতায় নিহত সাবেক এমপি আনারের বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান মিলেছে কুষ্টিয়ায়

Related News

  • জি-২০ নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে দেশের নাম 'ইন্ডিয়া'র পরিবর্তে 'ভারত'
  • মোদি, রাহুল, মমতা- ভারতীয় নেতারা কেন সঙ্গীহীন বা অবিবাহিত থাকেন? 
  • বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে: মোদি
  • বর্ষায় গঙ্গার পানি বাড়তেই ভেসে উঠছে কোভিড রোগীদের মরদেহ
  • জনপ্রিয়তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী পেছনে ফেললেন বাইডেন, ট্রুডো, মাখোঁকে

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর

2
আন্তর্জাতিক

মেইতেই নেতাকে গ্রেপ্তারের পর উত্তাল মণিপুর, ইন্টারনেট বন্ধ-কারফিউ জারি

3
বাংলাদেশ

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

4
আন্তর্জাতিক

মোদির পক্ষে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে কাজের অভিযোগে মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি

5
বাংলাদেশ

বর্তমান পরিস্থিতিতে 'টার্নিং পয়েন্ট' হতে পারে লন্ডনে তারেক-ইউনূস বৈঠক: মির্জা ফখরুল

6
বাংলাদেশ

কলকাতায় নিহত সাবেক এমপি আনারের বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান মিলেছে কুষ্টিয়ায়

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net