অর্ধ-কোটি ছুঁতে চলেছে বৈশ্বিক সংক্রমণ, প্রাণহানি তিন লাখ ১৮ হাজার

পৃথিবীজুড়ে তার ভয়াল থাবা বিস্তার অব্যাহত রেখেছে নতুন করোনাভাইরাস। কোনো কোনো দেশ আপ্রাণ চেষ্টায় তা নিয়েন্ত্রণে পারলেও, পরকক্ষণেই বিশ্বের অন্য প্রান্তে তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
এমনই বিপরীতমুখী অবস্থান এখন ব্রাজিল ও ইতালির।
ইউরোপে করোনা মহামারি সবার আগে দেখা যায় ইতালিতে। প্রাণহানির দিক থেকেও প্রথমে চীনকে ছাড়ায় দেশটি। এরপর অবশ্য প্রতিদিন সহস্র মানুষের মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে ইতালিবাসী। কিন্তু, সেই দুঃসহ অবস্থা এখন অনেকটাই পেছনে। দৈনিক মৃতের হার নেমে এসেছে এখন একশ'র নিচে।
গতকাল সোমবার নাগাদ ইতালিতে ৯৯টি প্রাণহানি ঘটেছে। গত ৯ মার্চের পর এই প্রথম দৈনিক মৃতের সংখ্যা একশ'র নিচে নামার কথা নিশ্চিত করে দেশটির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি। এর আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ১৪৫ জন।
গতপরশু রোববার নাগাদ সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৭৫ জন। সোমবারে এই সংখ্যা ৪৫১ জনে নেমে আসে। গত ২ মার্চের পরে যা সবচেয়ে কম।
ইতালির দিক বিপরীতে থাকা ব্রাজিলে এখন দৈনিক সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট দুই লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৮ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে প্রাণহানির সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়ানোর কথা জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ব্রাজিলেই, ১৬ হাজার ৮৫৩ জন।
খুবই স্বল্প সময়ের ভেতর মোট বৈশ্বিক প্রাণহানির ৯ দশমিক ৬১ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করছে এখন লাতিন আমেরিকা। আর এই মহাদেশের ব্রাজিল সংক্রমিতের সংখ্যায় বিশ্বমাঝে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার পরেই অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন আক্রান্ত ১৫ লাখের বেশি, আর রাশিয়ায় দুই লাখ ৯০ হাজার ৬৭৮ জন।
মোট বৈশ্বিক প্রাণহানি আজ মঙ্গলবার সকাল নাগাদ তিন লাখ ১৮ হাজার ৫২৭ জন বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার।
৯০ হাজার ৩৪৭টি মৃত্যু নিয়ে এই তালিকার শীর্ষেই আছে যুক্তরাষ্ট্র।