ছয় মাস পর বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ
ছয় মাস কমার পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স গত ডিসেম্বর থেকে বাড়তে শুরু করেছে। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭ মিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২.০৫ বিলিয়ন ডলার। যে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ২০.৫৫%।
এদিকে চলতি অর্থবছর সরকার রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে। তবে চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার অনেক কম রেমিট্যান্স এসেছে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। তবে তা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৯.৩৭ শতাংশ।
এদিকে সরকার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রেমিট্যান্স দেশে আনতে গতকাল অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রণোদনা ২.৫% বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রোববার একটি সার্কুলার ইস্যু করেছেন।
গত বছরের শুরুতে কোভিডের প্রভাব বেশি থাকায় প্রবাসীরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জমানো পুরো টাকা দেশে পাঠিয়েছে। এরই ফলে এক বছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
তবে ২০২০ সালে আগের বছরের তুলনায় ১৮.৬০ শতাংশ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও ২০২১ সালে তার আগের বছরের তুলনায় মাত্র দেড় শতাংশ রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
২০২১ সালে পুরো বছর জুড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২২.০৭ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছর ২০২০ সালে এসেছে ২১.৭৪ বিলিয়ন ডলার। আবার এর আগের বছরে এসেছে ১৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, উৎসবের সময় রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। গত ছয় মাসে বড় কোনো উৎসব না থাকায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। তবে প্রবাসী শ্রমিকরা কাজে ফেরায় এবং বাড়িতে টাকা পাঠাতে শুরু করায় তা আবার কিছুটা বেড়েছে।
এছাড়াও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার প্রণোদনার পরিমাণ ৫০% বাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকলেও আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে দেশীয় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাহিদা অনুযায়ী ডলার বিক্রি করছি।"
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করেছে।
বাকি ব্যাংকগুলোর চাহিদার আলোকে ডলার বিক্রি করলেও ডলারের দাম কমছে না।
বিদেশে ভ্রমণ এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও চিকিৎসার জন্য বর্ডার উন্মুক্ত থাকায় দেশের বাজারে ডলারে চাহিদা ও দাম বাড়ছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলার বিক্রি করে ৮৫.৮০ টাকায়। যদিও গত তিন অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া ডলারের দাম ছিল ৮৫.৫০ টাকা।
