Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 01, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 01, 2025
শিগগিরই পণ্যমূল্য কমার আশা নেই

অর্থনীতি

টিটু দত্ত গুপ্ত, মহসিন ভুঁইয়া & শাখাওয়াত লিটন
19 September, 2023, 11:20 pm
Last modified: 19 September, 2023, 11:21 pm

Related News

  • আমদানি কম, আস্থা নেই, প্রবৃদ্ধি শ্লথ: বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ছে?
  • সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা দিলে বেসরকারি খাতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়বে: ফাহমিদা খাতুন
  • এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কমার নেপথ্যে যেসব কারণ জানাল পরিকল্পনা কমিশন
  • ২০২৫ সালের শেষে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামার আশাপ্রকাশ গভর্নর মনসুরের 
  • আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ আকর্ষণ 

শিগগিরই পণ্যমূল্য কমার আশা নেই

টিটু দত্ত গুপ্ত, মহসিন ভুঁইয়া & শাখাওয়াত লিটন
19 September, 2023, 11:20 pm
Last modified: 19 September, 2023, 11:21 pm

দেশে গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১২.৮২ শতাংশ ছুঁয়েছে, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর গত সপ্তাহে সরকার হঠাৎ ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়ে বাজারে হস্তক্ষেপ করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এ প্রচেষ্টাও এসব নিত্যপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম কমিয়ে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে পারেনি। 

খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই আকস্মিক উল্লম্ফনে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আটকে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরাও। এ অর্থবছরে সরকার গড় মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করেছে ৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছিল। গত মার্চ থেকে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে ঘোরাফেরা করছে। রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।

গত অর্থবছরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড় মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

কঠোর মুদ্রানীতি না থাকায় মূল্যস্ফীতি কমছে না। যদিও অন্যান্য দেশে কঠোর মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে এসেছে। ডলার সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ায় বিশ্ববাজারে কিছু পণ্যের দাম কমার সুফল নিতে পারেনি আমদানিকারকরা। ভোক্তাদের ঝুড়িতে খাদ্য ও আমদানিকৃত পণ্য বড় একটা অংশজুড়ে থাকায় মূল্যস্ফীতির হার অস্থিতিশীল হয়ে আছে।

পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো—মুদ্রা ও রাজস্ব নীতি—কি যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়েছে? 

বাংলাদেশের জন্য উত্তরটা খুব স্পষ্ট—'না'। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বারবার বলেছেন, মুদ্রানীতির পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসেনি—নীতি সুদহার ও বিনিময় হার নির্ধারণেই তার প্রতিফলন দেখা গেছে। আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ওপর বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে আমদানি কমানোর ফলে আমদানি বিল উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরও চাপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন এবং বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতার কারণে স্থানীয় বাজারে আমদানি করা নিত্যপণ্যের দাম অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।

এর ফলে গত ১২ বছরের মধ্যে আগস্টে সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখেছে বাংলাদেশ। অথচ এ সময় আন্তর্জাতিক খাদ্যবাজারে পণ্যমূল্য দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল। গত জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ অতিক্রম করেছে। সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে এ হার মহামারিপূর্ব সময়ের পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫.৪ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রক্ষেপণ করেছে। আইএমএফের সাম্প্রতিক এক ওয়ার্কিং পেপার বিবেচনায় নিলে দেখা যাচ্ছে, এ লক্ষ্যপূরণ সহজ হবে না। 

'ওয়ান হান্ড্রেড ইনফ্লেশন শকস: সেভেন স্টাইলাইজড ফ্যাক্টস' শিরোনামের ওই গবেষণাপত্র গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কিছু দেশ দীর্ঘ সময়ের জন্য মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ এবং ধীরে ধীরে মুদ্রার অবমূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতিকে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পেরেছে। এ দুটি কাজে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ভালো করতে পারেনি।

অনিল আরি, কার্লোস মুলাস-গ্রানাডোস, ভিক্টর মাইলোনাস, লেভ রতনোভস্কি এবং ওয়েই ঝাও রচিত আইএমএফের গবেষণাপত্রটিতে ১৯৭০-এর দশক থেকে ৫৬টি দেশে ঘটে যাওয়া ১০০টিরও বেশি মূল্যস্ফীতির ঘটনা নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এসবের মধ্যে তেল সংকট ও আর্থিক সংকটজনিত মূল্যস্ফীতির ঘটনাও আছে।

এতে বলা হয়েছে, মাত্র ৬০ শতাংশ ঘটনায় মূল্যস্ফীতি ৫ বছরের মধ্যে কমিয়ে আনা গেছে—এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এই 'সাফল্য' অর্জনেও গড়ে ৩ বছরের বেশি সময় লেগেছে।

কঠোর মুদ্রানীতিতে নিয়ন্ত্রণে থাকে মূল্যস্ফীতি

আইএমএফের গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, প্রথমে কঠোর মুদ্রানীতি নেওয়ার কিছুদিন পর তাতে ঢিলে দেওয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি কমে আসার পর ফের বেড়ে গেছে। 

এতে বলা হয়েছে, যেসব দেশ মূল্যস্ফীতি সমস্যারর সমাধান করেছে, তাদের মুদ্রানীতি আঁটসাঁট ছিল। ধারাবাহিকভাবে এই কঠোর মুদ্রানীতি ধরে রাখা হয়েছিল দেশগুলোতে। 

গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গবেষণাপত্রটি সিদ্ধান্তে এসেছে যে বর্তমান অর্থনীতিগুলোকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করতে হতে পারে।

আইএমএফের গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, কিছু সময়ের জন্য আঁটসাঁট মুদ্রা ও রাজস্ব নীতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমে এলেই নীতি শিথিল করা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নীতিনির্ধারকদের।

মুদ্রানীতি আঁটসাঁট করলে প্রবৃদ্ধি ধীর ও বেকারত্ব বেড়ে যায়, এই সাধারণ ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে আইএমএফের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যেসব দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সফল হয়েছে, সেখানে 'আউট-পুট লস' স্বল্পমেয়াদি ছিল।

ঋণের সুদহারের সীমা ৯ শতাংশে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যখন মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মার্কিন ফেডের পথ ধরে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক তখন জুলাই পর্যন্ত ঋণের সুদহারের সীমা ৯ শতাংশে আটকে রেখেছিল। ওই মাসে ব্যাংক ঋণের জন্য রেফারেন্স রেট ফর্মুলা চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পাশাপাশি একক ও বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।

মূল্যস্ফীতিকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে বেসরকারি খাতে অর্থ প্রবাহ কমানোর লক্ষ্য নিয়ে জুন মাসে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তখন বলেছিলেন, সুদহার আটকে রাখার কারণে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ খুব বেশি কাজে আসেনি। সুদহার সীমিত রাখার কারণে ঋণ ছিল সস্তা। অন্যদিকে বাজারভিত্তিক সুদহার চালু থাকলে টাকা ব্যয়বহুল হয় এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

কিন্তু তা হয়নি। জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও, পরের মাসেই তা আবার বেড়েছে। এ ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে আইএমএফের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা অতীত ঘটনাগুলো সত্যি—স্বল্পকালীন ব্যবস্থা অতীতেও সাময়িক স্বস্তিই দিয়েছে।

দেশগুলো অতীতের মূল্যস্ফীতির ধাক্কার ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে অপর্যাপ্ত নীতিগত ব্যবস্থার ফলে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী ভোগান্তি থেকে তাদের জনগণকে রক্ষা করেছে।

১৯৭০-এর দশকে প্রাথমিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমে আসায় মুদ্রানীতি শিথিল করার কারণে ফ্রান্স, স্পেন ও কানাডার মতো দেশগুলো দীর্ঘদিন মূল্যস্ফীতির ভোগান্তি  পুহিয়েছিল। দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির গতি ধীর হয়ে যায়, বেকারত্ব চরমে পৌঁছে যায়। শিথিল নীতির কারণে কীভাবে বৃহৎ মূল্যস্ফীতির পথ সুগম হয়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ছিল স্পেন। স্পেনে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে মূল্যস্ফীতি প্রায় ২০ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছিল, যেখানে প্রকৃত সুদের হার কমেছিল প্রায় ১০ শতাংশীয় পয়েন্ট।

তবে এই তিনটি দেশই এবার মূল্যস্ফীতিকে ভালোভাবে সামাল দিয়েছে। স্পেন মূল্যস্ফীতি গত বছরের জুলাইয়ের ১০ শতাংশ থেকে আগস্টে ২.৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে অগাস্টে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের বেশি থেকে ৪.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। আর কানাডার মূল্যস্ফীতি এক বছর আগের একই সময়ের ৮ শতাংশ থেকে কমে এ বছরের জুলাইয়ে ৩.৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

দীর্ঘস্থায়ী ফলের জন্য অধিক কঠোর নীতি ব্যবহার করেছে জাপান

যেসব দেশ অতীতে দীর্ঘস্থায়ী ফলের জন্য অধিক কঠোর নীতি অবলম্বন করে সফলভাবে মূল্যস্ফীতির ধাক্কা সামলেছে, সেই দেশগুলোর একটি জাপান। ১৯৮০ সালে জাপানে যখন দ্বিতীয় তেল-ধাক্কা লাগে, তখন দেশটিতে মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ হয়ে ৮ শতাংশে দাঁড়ায়। দেশটি সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রা ও রাজস্ব উভয় নীতিই আঁটসাঁট করে ফেলে। তাৎক্ষণিক প্রভাব হিসেবে জাপানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশে নেমে আসে, কিন্তু পরের বছরগুলোতে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বেকারত্বের হারও স্থিতিশীল থাকে।

অতীতের অভিজ্ঞতা জাপানকে এবারও ভালো অবস্থানে রেখেছে। দেশটিতে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৩.৩ শতাংশ, অন্যদিকে জানুয়ারিতে ছিল সর্বোচ্চ ৪.৪ শতাংশ। 

আইএমএফের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মূল্যস্ফীতির ধাক্কার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশ্ব। এ ধাক্কা সামলাতে একেক দেশ একেক রকম নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে। কিছু দেশ নীতিগুলো আরও কঠোর করেছে, বাকিরা শিথিল রেখেছে; কিছু দেশ কঠোর নীতি ধরে রেখেছে, অন্যরা সম্ভবত মূল্যস্ফীতির ধাক্কা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে ভেবে নীতিগুলো আগেভাগেই শিথিল করে দিয়েছে। 

কিছু দেশ অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সংকটকে আরও ভালোভাবে সামাল দিয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য কি কোনো শিক্ষা আছে?

আইএমএফের গবেষণাপত্রে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে: এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং প্রয়োজনের চেয়ে দ্রুত মুদ্রানীতি শিথিল করে দিলে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এতে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতি কঠোর করার মানেই এই নয় যে কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও কর্মীদের আয় ব্যাপকভাবে কমে যাবে।

বাংলাদেশের মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিনির্ধারকেরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রণয়নের সময় এখান থেকে কিছু পরামর্শ পেতে পারেন।

এখন পর্যন্ত যে মুদ্রানীতি নেওয়া হয়েছে, তাতে এখন থেকে আগামী এক বছরে মূল্যস্ফীতি ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বা তার বেশি কমতে পারে। মূল্যস্ফীতি আরও দ্রুত কমানোর জন্য ভোক্তাদের তাৎক্ষণিক খানিকটা স্বস্তি দিতে বাংলাদেশকে শুল্ক কমানোর মতো আর্থিক নীতি প্রয়োগ করতে হবে বলে গত সপ্তাহে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. জাইদি সাত্তার।

আগস্টে আইএমএফের আরেকটি বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহারের পরিবর্তন কীভাবে মূল্যস্ফীতিকে প্রভাবিত করে। ওই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম বছরে নীতি সুদহার ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতির হার কমে ০.৫ শতাংশীয় পয়েন্ট। আর এক্সচেঞ্জ রেট ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ালে প্রথম বছরে মূল্যস্ফীতি ০.৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে যায়।

অবিরল চাপ

তবে মধ্য-এশিয়ার কয়েকটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়ানো সত্ত্বেও এখনও ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপের মুখে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্লেষণে। মুদ্রানীতির কার্যকারিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে অর্থনীতিতে সুদহার পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করে ফেলার কয়েকটি কাঠামোগত কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে এতে।

এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার জন্য এতে কিছু নীতিগত অগ্রাধিকার সুপারিশ করা হয়েছে—কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালন স্বাধীনতা বাড়ানো, বাহ্যিক ধাক্কা সামলাতে বিনিময় হারের নমনীয়তা বাড়ানো এবং মুদ্রানীতিকে স্থানীয় চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিতে সাহায্য করা—এবং যোগাযোগ ও স্বচ্ছতা জোরদার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো।

এই সবগুলো কিংবা কয়েকটি অগ্রাধিকার কীভাবে সামলানো হয়, তার ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশের মুদ্রানীতির সাফল্য।

Related Topics

টপ নিউজ

মুদ্রানীতি / মূল্যস্ফীতি / অর্থনৈতিক সংকট / ডলার সংকট

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইতিহাসে এ প্রথম: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার শুনানি কাল সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিটিভিতে
  • ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আমানতে মিলবে আবগারি শুল্কমুক্ত সুবিধা
  • করমুক্ত আয়সীমার সঙ্গে বাড়তে পারে করের হারও
  • ‘মবের নামে আগুন, ভাঙচুরের সুযোগ নেই’: সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা
  • যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়
  • ‘সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন’: ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন

Related News

  • আমদানি কম, আস্থা নেই, প্রবৃদ্ধি শ্লথ: বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ছে?
  • সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা দিলে বেসরকারি খাতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়বে: ফাহমিদা খাতুন
  • এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কমার নেপথ্যে যেসব কারণ জানাল পরিকল্পনা কমিশন
  • ২০২৫ সালের শেষে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামার আশাপ্রকাশ গভর্নর মনসুরের 
  • আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ আকর্ষণ 

Most Read

1
বাংলাদেশ

ইতিহাসে এ প্রথম: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার শুনানি কাল সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিটিভিতে

2
অর্থনীতি

৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আমানতে মিলবে আবগারি শুল্কমুক্ত সুবিধা

3
অর্থনীতি

করমুক্ত আয়সীমার সঙ্গে বাড়তে পারে করের হারও

4
বাংলাদেশ

‘মবের নামে আগুন, ভাঙচুরের সুযোগ নেই’: সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা

5
ফিচার

যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়

6
বাংলাদেশ

‘সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন’: ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net