স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করবে সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে সরকার।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তরুণ-তরুণীদের উদ্ভাবন ও গবেষণায় এই তহবিল থেকে অর্থায়ন করবে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে গুরুত্ব দিয়ে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে 'স্মার্ট বাংলাদেশ- ২০৪১' এর রূপরেখাও তুলে ধরা হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার রূপরেখা প্রণয়ন করছে। এই রূপরেখায় চারটি কৌশল থাকবে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এছাড়া, স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বাণিজ্য ও স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থার কথাও থাকবে।
স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি কৌশলসহ এসব ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন করতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে মূলত তরুণ-তরুণীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে এই তহবিলের অর্থ অনুদান হিসেবে দেওয়া, নাকি ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হবে, তা বাজেট ঘোষণার পর একটি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেটের স্লোগান হচ্ছে, 'উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে'।
স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে বছরে অন্তত একটি করে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সহায়ক প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে যে অ্যানুয়াল পারফরমেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে, সেখানেও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোকে শর্তারোপ করা হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবার বাজেট বক্তব্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১'-এর স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের পথ দেখাবেন। তুলে ধরবেন নানা চ্যালেঞ্জের কথাও।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের মধ্যে ইউনিভার্সাল ডিজিটাল আইডি, ডিজিটাল কারিকুলাম, স্মার্ট ডিভাইস অ্যাকসেস, স্মার্ট বাংলা ক্যাম্পেইন, স্মার্ট হেলথ কেয়ার, স্মার্ট ট্যাক্স, ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট পোস্টাল সার্ভিস, স্মার্ট জুডিশিয়ারি, স্মার্ট বর্ডারস, স্মার্ট সোশ্যাল সেফটি নেট, পুলিশ মডার্নাইজেশন, ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম, ফিনটেক অ্যাকসেলারেটর, উদীয়মান প্রযুক্তিবিষয়ক সেন্টার অব এক্সিলেন্স (সিওই) বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হবে।