২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারে পণ্য পরিবহন সীমা বাড়ালো চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবাহিত ২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারে পণ্য পরিবহনের ওজন সীমা বৃদ্ধি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগে ২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারে সর্বোচ্চ ২৪ মেট্রিক টন এবং ৪০ ফুট কন্টেইনারে ৩০.৪৮ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করা যেতো।
বন্দরের এই সিদ্ধান্তের কারণে এখন ২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারে সর্বোচ্চ ৩০.৪৮ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করা যাবে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের ডিরেক্টর ট্রাফিক দপ্তরের দেওয়া এক সার্কুলারে এই ওজন সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা বলেন, ২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারের ক্ষেত্রে স্ক্র্যাপ জাতীয় পণ্য পরিবহনে সমস্যায় পড়তো আমদানিকারকরা। এ আকারের কন্টেইনারে ২৪ মেট্রিক টনের বেশি স্ক্র্যাপ পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকলেও বন্দরের ওজন সীমার কারণে শিপিং লাইনগুলো এর বেশি পণ্য পরিবহন করতো না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরের নতুন এই সার্কুলারের ফলে এখন ২০ ফুট কন্টেইনারে বেশি পণ্য পরিবহন করা যাবে। এতে কমে আসবে পরিবহন ব্যয়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পণ্যের মূল্যে।
সাইফ মেরিটাইম লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আবদুল্লাহ জাহির টিবিএসকে বলেন, "২৫ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দর সার্কুলার জারি করেছে যেখানে ২০ ফুট আর ৪০ ফুট উভয় সাইজের কন্টেইনারে ৩০.৪৮ টন বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বন্দর আইএসও মান অনুসরণ করছে।"
শিপিং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আমদানি পণ্যের বেশিরভাগই পরিবহন হয় ২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারে। তবে রপ্তানির বেশিরভাগ পণ্য পরিবহন হয় ৪০ ফুট সাইজের কন্টেইনারে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার খালাসে নতুন নতুন গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজন করা হয়েছে। বেড়েছে সক্ষমতা। তাই কন্টেইনারে পণ্য পরিবহনে ওজনের সীমা আরো বাড়ানো উচিত।