মেয়র স্বর্ণপদক কামড়ে দেওয়ায় তুলকালাম, পদক পাল্টে দিচ্ছে অলিম্পিক কমিটি

এলাকার স্বর্ণপদকজয়ীকে বরণ করে নেয়ার সময় লঙ্কাকাণ্ড করে বসলেন জাপানের নাগোয়া শহরের মেয়র তাকাশি কাউয়ামুরা। সফটবল চ্যাম্পিয়ন মিউ গোতোর স্বর্ণপদকেই কামড় দিয়ে বসলেন এই ৭২ বছর বয়সী।
এ নিয়ে জাপানজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অলিম্পিক কমিটি গোতোকে তার পদক পাল্টে নতুন একটি পদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সফটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া জাপানী দলকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ঘটে এই ঘটনা। এই অনুষ্ঠানে হওয়া কামড়-কাণ্ডের পর মেয়রের বিরুদ্ধে 'শ্রদ্ধাবোধের অভাব' ও করোনাকালীন বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।
তবে অলিম্পিক কর্মকর্তারা গোতোকে নতুন আরেকটি স্বর্ণপদক দেয়ার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। মেয়র কাউয়ামুরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং পদক বদলানোর খরচ তিনি নিজে বহন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিল জাপানীরা।
রৌপ্যপদকজয়ী জাপানী ক্রীড়াবিদ য়ুকি ওটা টুইটারে লিখেছেন, 'শুধু শ্রদ্ধাবোধের অভাবই না, সংক্রমণ রোধে যেখানে পদক বিতরণীতে অ্যাথলেটরা নিজেরাই নিজেদের পদক পরে নিচ্ছেন ও সতীর্থদের পরিয়ে দিচ্ছেন, সেখানে তিনি কীভাবে আরেকজনের পদকে কামড় দিতে পারেন? দুঃখিত, আমি জানি না কীভাবে।'
এমনকি গোতোর দলের মালিকপক্ষ, টয়োটাও এই কামড়-কাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই ঘটনাকে 'অসঙ্গত' ও 'অন্তত দুঃখজনক' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
মেয়র কাউয়ামুরার বিরুদ্ধে নগর কর্তৃপক্ষের কাছে সাত হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।
তবে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মেয়র বলেছেন, 'আমি নাগায়োর মেয়র হিসেবে নিজের অবস্থান ভুলে গিয়েছিলাম, এবং খুবই অসঙ্গত আচরণ করেছি।'
বৃহস্পতিবার টোকিও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পদক বদলানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে সম্মতিতে এসেছেন গোতো। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইওসিই নতুন পদকের খরচ বহন করবে।
সূত্র: বিবিসি