গণভোট নিয়ে আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেবে জামায়াত, ১১ নভেম্বর ঢাকায় সমাবেশ
গণভোট আয়োজনের বিষয়ে আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া আগামী ১১ তারিখ রাজধানীতে সমাবেশ করবে দলটি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ইসি ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এসময় তিনি বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনের আগে যে কোনো সময় গণভোট করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।'
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে তারা চিঠি দেবে এবং আগামী ১১ তারিখ রাজধানীতে সমাবেশ করবে।
এনসিপির সঙ্গে জামায়াত জোট করছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা সরাসরি কারো সঙ্গে জোট করছি না।'
তিনি আরও বলেন, 'যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতের সঙ্গে থাকা ৭টি দলসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। একই আসনে তারা সবাই প্রার্থী দেবে না।'
তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
এনসিপি আপনাদের কাছে কত আসন চেয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, 'আমি তো আগেই বলেছি আমরা সুনির্দিষ্ট আসন নিয়ে আলোচনা এখনও শুরু করিনি। সেটা এনসিপি হোক বা আরেকটা হোক।'
তিনি বলেন, 'আমরা এখন আন্দোলন ও ডায়ালগ দুইটাই চালায় যাচ্ছি ইলেকশনের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে।'
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'গণভোটের বিষয়ে আটটি দল ৩ নভেম্বর বসেছিলাম। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আদেশ জারির বিষয়ে ফোকাস দিয়েছি আমরা। দেরি হয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহ পার হলেও দ্রুত জারির জন্য বলেছি। গণভোট এ আদেশকে শক্তিশালী করবে।'
জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরে তিনি জানান, এ গণভোট যেনতেন ভাবে যেন না হয়। একদিনে ভোট হলে তা যেনভাবে হবে।
তিনি আরও বলেন, 'সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হলে নানা জটিলতা হবে। সবার এটেনশন থাকবে প্রার্থীর দিকে। গণভোট গৌণ হয়ে যাবে। পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া সুযোগ নেই। নির্বাচনের আগে যে কোনো দিন হতে হবে।'
ইসির কাছেও জামায়াত বিষয়টি তুলে ধরেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইসি বলেছে যে সরকার যদি বলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করবে। আগামীকাল সকালে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবো। আমাদের দাবি সুস্পষ্ট, গণভোট যেন সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পৃথক দিবসে হয়।'
তিনি জানান, তারা আরপিও সংশোধনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী থাকলেও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যেভাবে তারা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারসহ) স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রয়েছে সেভাবে ভোট দেখতে চায় জামায়াত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয় এমন কিছু হলে যেন কঠোরভাবে দমন করে সরকার, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এখন যেভাবে স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে, এটাও কার্যকর থাকবে এবং ভোটে আইন-শৃঙ্খলার কাজও করবে।'
এর আগে, দুপুর সাড়ে ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জামায়াতে ইসলামীর ২ সদস্যর প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্ব দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
