রাজশাহীতে পদ্মার চরে খড় কাটাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, নিহত ২
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মার চরে জন্মানো খড় কাটাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নীচ খানপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- চরখানপুর মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬), একই গ্রামের শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৩)।
আহতরা হলেন-আশরাফ মণ্ডলের ছেলে রাকিব হোসেন (১৮), চান মণ্ডলের ছেলে মুনতাজ মন্ডল (৩২)।
জানা গেছে, সকালে পদ্মায় জেগে ওঠা চরে খড় কাটতে যান আমান মণ্ডল, রাকিব হোসেন ও মুনতাজ মণ্ডল। এসময় পদ্মার চরে কাকন বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে আমান মণ্ডল, রাকিব হোসেন, মুনতাজ মণ্ডল ও নাজমুল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে আমান মণ্ডল মারা যান। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসাপাতালে নেওয়ার পথে নাজমুল হোসেনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বলেন, ''চরে পতিত জমিতে খড় কাটতে যায় আমার ছেলেসহ কয়েকজন। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত 'কাকন বাহিনী'র লোকজন এসে অর্তকিতভাবে গুলি ছোড়ে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন।''
নীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, 'খানপুর চরের কয়েকজন লোকজন চর এলাকায় খড় কাটছিলেন। এসময় কাকন বাহিনীর লোকজন প্রভাব বিস্তার করে খ্যাড় কাটা জমির দখল নিতে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়েছে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় বাহিনীর লোকজন পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।'
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিহার চন্দ্র মণ্ডল বলেন, 'নিহত ও আহতদের শরীরে অসংখ্যা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের রাজশাহী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।'
এ বিষয়ে বাঘা থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা সুপ্রভাত মণ্ডল বলেন, 'আমার কাছে একজন মৃত্যুর তথ্য আছে। তবে শুনছি দুজন মারা গেছেন।'
