বিদেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রির অর্থ দেশে আনার সময় বাড়ানো হচ্ছে

বিদেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিক্রি করা পণ্যের অর্থ দেশের আনার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ১২০ দিনের মধ্যে পণ্য বিক্রির অর্থ দেশে আনতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এই সময় ৬০ দিন বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০০ ডলার পর্যন্ত মূল্য এমন পণ্য কোনো ধরনের ইএক্সপি ফরম পূরন করা ছাড়াই রপ্তানি করতে পারে বা বিদেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারে। ইএক্সপি ফরম হচ্ছে রপ্তানির ঘোষণাপত্র। কিন্তু এ ধরনের রপ্তানির পরে তার মূল্য ১২০ দিনের মধ্যে দেশে আনতে হয়।
সম্প্রতি বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছে যে, এধরনের রপ্তানির ক্ষেত্রে ১২০ দিনের মধ্যে মূল্য দেশে আনা সবক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ হিসেবে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ থেকে যথন বিদেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের কাছে পণ্য পাঠানো হচ্ছে— সেটি রপ্তানি হচ্ছে না। ওই বিদেশি প্রতিষ্ঠান এই পণ্য কিছুদিন তাদের গুদামেও মজুদ রাখে। এরপর ক্রেতা অর্ডার দিলেই তার হাতে পৌঁছায়। কিন্তু, বিক্রি না হলে ফেরত আসার সম্ভাবনাও থাকে। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে আনা যায় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে জানিয়েছেন, "এমন প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সময় বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হবে। এবিষয়ে শীঘ্রই সার্কুলার জারি করা হবে।"
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি। এধরনের রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে।