গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহতরা কারা ছিলেন?

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া আরেক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম রমজান মুন্সী। তিনি সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার আকবর মুন্সীর ছেলে ও পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ আলম বিষয়টি টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে রমজান মারা যান। তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে এ ঘটনায় নিহত হন যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), থানাপাড়া এলাকার রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়ার ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়া এলাকার ইদ্রিস মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা (৪১)।
জানা গেছে, দীপ্ত সাহায় পেশায় পোশাক ব্যবসায়ী ছিলেন। রমজান কাজী ছিলেন টাইলস মিস্ত্রির সহকারী, ইমন তালুকদার ছিলেন ক্রোকারিজ পণ্যের দোকানের কর্মচারী এবং সোহেল মোল্লা ছিলেন মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের দোকানি।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ'-এর আগে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লাঞ্ছনার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি গতকাল রাতে (১৭ জুলাই) দায়ের করা হয়। এতে ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে নিষিদ্ধ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক আতাউর পিয়ালের নাম রয়েছে। এছাড়া ৪৫০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।
এ পর্যন্ত এ ঘটনায় ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে দফায়-দফায় সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজও কারফিউ চলছে। আজ বিকেলে কারফিউ আগামীকাল (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।