৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে: মোস্তফা আবিদ খান

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের ওপর প্রস্তাবিত পারস্পরিক শুল্ক হার (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) বেশি উল্লেখ করে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) এর সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান বলেছেন, এই শুল্ক হার কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে ক্ষতির মাত্রা কেমন হবে, তা রিটেইলারদের অর্ডার শিফট করার ধরনের ওপর নির্ভর করবে।
টিবিএসকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ ও চীনের উপর ৩০ শতাংশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের উপর ২৭ শতাংশ প্রস্তাব করার পর দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে কমানোর চেষ্টা করছে।
মোস্তফা আবিদ খান আরও বলেন, 'এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হলো পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া। এ দুটি দেশের ওপর প্রস্তাবিত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ রেটও বাংলাদেশের চেয়ে কম। ফলে এটা বলতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই যে, প্রস্তাবিত ট্যারিফ হার কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা চোখ বন্ধ করে যে-কেউ বলতে পারেন।'
'তবে ক্ষতির মাত্রা কেমন হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বাড়তি শুল্কহার কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে তাদের অর্ডার শিফট করবে, তার ওপর ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করবে,' বলেন তিনি।
মোস্তফা আবিদ খান বলেন, 'এলডিসি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে—এমন আশাবাদ করা মোটেই ঠিক নয়। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এলডিসিগুলোকে কোনো সুবিধা দেয়নি। এবারও যে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেছে, তাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এলডিসি হওয়া সত্ত্বেও এদের ওপর উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বাড়তি ট্যারিফ আরোপ করার কথা বলা হয়েছে।'
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জুন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭.৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যা ওই সময়ের মোট রপ্তানির ১৭.০৯ শতাংশ। ওই অর্থবছরে বাংলাদেশের ওভেন পোশাকের ২৫.৯৩ শতাংশ, নিট পোশাকের ১১.৭১ শতাংশ ও হোম টেক্সটাইলের ১৬.১২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে।