‘পরিস্থিতির ভিত্তিতে’ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি সমর্থন দিতে পারি: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান আকাশযুদ্ধে 'পরিস্থিতির ভিত্তিতে' তিনি যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে পারেন।
আলোচনা চলাকালীন যুদ্ধবিরতি সমর্থন দেবেন কি-না, শুক্রবার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি দিতে পারি, পরিস্থিতির ভিত্তিতে।'
ট্রাম্প আরও বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের যুদ্ধ থামাতে ইউরোপ তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, 'ইরান ইউরোপের সঙ্গে কথা বলতে চায় না। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। ইউরোপ এটা থামাতে পারবে না।'
শুক্রবার জেনেভায় ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই বৈঠকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক পথে ফেরার বিষয়ে আলোচনা হয়। ইউরোপীয় নেতারা ইরানকে আহ্বান জানান, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসে। তবে আলোচনা থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, ইরানকে পরাজিত করতে কি স্থলবাহিনী পাঠাতে হবে? জবাবে তিনি বলেন, 'ভালো কথা না, আমি স্থলবাহিনী নিয়ে কথা বলব না। কারণ আপনি শেষ যেটা চান, সেটা হচ্ছে স্থলবাহিনী।'
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে এই আকাশযুদ্ধ শুরু হয়। এর ফলে গোটা অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে জড়াবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প। কখনও কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলছেন তিনি, আবার কখনও ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের পাশে যুদ্ধে নেমে পড়তে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইসরায়েলকেই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ধরা হয়। তারা বলছে, তেহরান যাতে নিজের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সেজন্যই তারা ইরানে হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তারা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে সই করেছে, কিন্তু ইসরায়েল এই চুক্তিতে নেই।