১০০ মিটারে বাজিমাত করার পর ট্রেবলে চোখ লাইলসের

প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অসাধারণ ফটো ফিনিশিং দেখা গেল। ভগ্নাংশের হিসেবে মাত্র ০.০০৫ সেকেন্ডে এগিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টার নোয়াহ লাইলস। ১০০ মিটারে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের অপেক্ষায় ইতি টেনে লাইলস এবার দৃষ্টি দিচ্ছেন ট্রেবল জয়ে। ২০০ মিটার ও ৪X১০০ মিটার রিলেতেও জিততে চান স্বর্ণ।
ট্রেবল জয়ের রেকর্ডটি জ্যামাইকার কিংবদন্তি স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের দখলে। ২০১২ সালে লন্ডন ও ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক; দুটি আসরেই ট্রেবল জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েন তিনি। বোল্টের সেই কীর্তির পাশে নিজের নামটি বসাতে চান লাইলস। সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি স্বর্ণ জেতা এই স্প্রিন্টার প্যারিস অলিম্পিকেও তা করে দেখাতে চান। অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণ জয়ের পর তিনি বলেছেন, 'মিথ্যা বলব না, বেশ আত্মবিশ্বাসী আমি।'
আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কারণও আছে লাইলসের, ১০০ মিটারে রোমাঞ্চকর লড়াই জিতে গলায় তুলেছেন স্বর্ণ পদক। এ ছাড়া ২০০ মিটারে গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব শাসন করে আসছেন তিনি। এই ইভেন্টে টানা তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন লাইলস। এ কারণেই অলিম্পিকে এই ইভেন্টের আগে প্রত্যয়ী তিনি, 'আমি জিততেই থাকব। অন্য কেউ-ই জিতছে না, আমি যখন মোড়টা ঘুরব, তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।' এরপর জিততে চান ৪X১০০ মিটার রিলেও।
সোমবার স্তাদে দে ফ্রান্সের ট্র্যাকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দুর্দান্ত লড়াই হয়। লাইলস ও কিশানে টম্পসন একই সময়ে লাইন পার হন, পরে ফটো ফিনিশিংয়ে জয়ী হন লাইলস। দুজনেই দৌড় শেষ করেন ৯.৭৯ সেকেন্ডে। ফটো ফিনিশিংয়ে দেখা যায় লাইলস লাইনে পা রাখেন ০.৭৮৪-এ, আর টম্পসন রাখেন ০. ৭৮৯-এ। একটুর জন্য রৌপ্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে জ্যামাইকান এই স্প্রিন্টারকে। ৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন আরেক যুক্তরাষ্ট্রের আরেক স্প্রিন্টার ফ্রেড কার্লি।
প্যারিস অলিম্পিকে ট্র্যাকে নামার আগে নিজেই নিজেকে একপ্রকার ফেভারিট ঘোষণা করেছিলেন লাইলস, বলেছিলেন, 'আপনাকে ভাবতে হবে আপনিই ঈশ্বর। যতোবার দৌড়াতে নামবেন, ততোবার নিজেকে সেরা ভাবতে হবে। আমি কাউকে নিজের আদর্শ মনে করি না। নিজের উপর বিশ্বাস আছে, আমি মানসিক ভাবে শক্তিশালী। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করেছি।' ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে নজর কাড়লেও এর আগে অলিম্পিকে আহামরি সাফল্য ছিল না ২৭ বছর বয়সী থম্পসনের। ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকে ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতে তিনি।