Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 14, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 14, 2025
দেড় হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার রীতি টিকে আছে এই গ্রামে

ফিচার

শেহেরীন আমিন সুপ্তি & সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু
23 November, 2023, 10:00 am
Last modified: 23 November, 2023, 10:04 am

Related News

  • ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ঋণভার পৌঁছাবে ২৯ লাখ কোটি টাকায়, ডেট অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের
  • ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন যাত্রায় ৩টি কাজ করতে হবে: ড. ইউনূস
  • বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে: বিডা প্রধান
  • শুল্ক কাঠামোয় বড় পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববাণিজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে চায় সরকার
  • ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করতে ব্যাংক এশিয়ার সমঝোতা স্মারক সই

দেড় হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার রীতি টিকে আছে এই গ্রামে

বর্ষা আর শীতকালই মূলত ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার ভালো সময়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর বেহাল দশা, চায়না জাল দিলে মাছ ধরা, নদীতে ঘের কেটে মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল নষ্ট করাসহ নানান কারণে এখন মাছ ধরার মৌসুমেও সাধারণ জেলেদের দিন কাটে দুর্দশায়। এক-একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোঁদড়কে দিনে কেজি খানেক মাছ খাওয়াতে হয়। জালে পর্যাপ্ত মাছ ধরা না পড়লে, বাজার থেকে কিনে এনে খাওয়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
শেহেরীন আমিন সুপ্তি & সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু
23 November, 2023, 10:00 am
Last modified: 23 November, 2023, 10:04 am

ছবি: শেহেরীন আমিন সুপ্তি/ টিবিএস

মাঝারি আকারের নৌকার এক কোণে লম্বাটে একটা বাঁশের খাঁচায় রাখা তিনটে ভোঁদড়। কেজি দুয়েক পুঁটি মাছ বাজার থেকে কিনে আনা হয়েছে তাদের জন্য। খাঁচার ঢাকনা সরিয়ে মাছ খেতে দিতেই একযোগে তিনজনের লাফালাফি শুরু। খাবার খেয়ে কিছুটা শান্ত হলে তাদের নামানো হলো পানিতে। দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে বাঁধা ভোঁদড়গুলো সাঁতরাতে শুরু করতেই জাল ফেলা হলো নদীতে।

পাড়ের দিকে ঝোপঝাড়ের নিচে সাধারণত লুকিয়ে থাকে মাছ। সেই মাছগুলোকেই তাড়া করে জালের দিকে পাঠায় ভোঁদড়। জালে মাছ উঠলে, তা টেনে নৌকায় তোলেন জেলেরা। বিনিময়ে আরও কিছু মাছ খেতে পায় ভোঁদড়গুলো।

নড়াইল সদর উপজেলায় চিত্রানদীর পাড়ের গোয়ালবাড়ি গ্রামের মালোপাড়ায় দেখতে গিয়েছিলাম ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার দেড় হাজার বছরের পুরোনো এই রীতি।

ছবি: শেহেরীন আমিন সুপ্তি/ টিবিএস

এলাকার যে পাঁচ জেলের পরিবার এখনো ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার রীতি বয়ে চলেছেন তাদের একজন শ্যাম বিশ্বাস। শরতের অকাল বৃষ্টিতে মালোপাড়ার কর্দমাক্ত পথ পেরিয়ে হাজির হয়েছিলাম তার নৌকায়। মাঝিসহ অন্তত চারজনের সহযোগিতা দরকার হয় মাছ ধরার এই পদ্ধতিতে। জেলেরা মূলত রাতের বেলায় মাছ শিকারে বেরোলেও আমাদের অনুরোধে সেদিন ভর দুপুরেই এগিয়েছিলেন নৌকা নিয়ে।

মাছ ধরার বিরতিতে শ্যাম বিশ্বাস, কার্তিক বিশ্বাস আর গান্ধী বিশ্বাসেরা শুনিয়েছিলেন তাদের চিত্রা পাড়ের জীবনযাপন, ভোঁদড় পালনের রীতি, জেলে জীবনের পাওয়া- না পাওয়ার গল্প।

ছবি: নাজমুল হাসান লিজা

হারিয়ে যেতে বসা রীতি

বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই বাবা নিরাপদ বিশ্বাসের সঙ্গে মাছ ধরতে ভোঁদড় নিয়ে নৌকায় নৌকায় ঘুরেছেন শ্যাম বিশ্বাস। নিরাপদ তালিম নিয়েছিলেন তার বাবা গদাধর বিশ্বাসের কাছ থেকে। বংশানুক্রমেই চিত্রা পাড়ের জেলেদের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে মাছ ধরার এই রীতি। বাবা-দাদার আমলে পোষা ভোঁদড়ের বাচ্চাগুলোই মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করেন তারা। 'শুধু জাল দিয়ে মাছ ধরার চেয়ে ভোঁদড় সাথে থাকলে অনেক বেশি পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। এই কারণেই এলাকার জেলেরা ভোঁদড় পালত সবাই,' বলছিলেন শ্যাম বিশ্বাস।

'আমার বাবার আমলেও এই এলাকার শ-দেড়শ ঘরে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার রীতি চালু ছিল। এখন আমার ঘরসহ মাত্র পাঁচ ঘরে আছে ভোঁদড়,' যোগ করেন তিনি।

প্রায় ছয় দশক ধরে ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করার অভিজ্ঞতা কার্তিক বিশ্বাসের। দলবল নিয়ে প্রায়ই মাছ ধরতে যেতেন সুন্দরবনে। জলদস্যুর ভয়, নিয়ম-নীতি আর নানান নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে সেই সুযোগ আর নেই। বর্তমানে নিজের কোনো ভোঁদড়ও নেই তার, অন্য জেলের নৌকায় 'ভাগী' হিসেবে মাছ ধরতে সাহায্য করেন। চিত্রা পাড়ের মালোপাড়ার অনেক প্রবীণ জেলের একই অবস্থা।

কার্তিকের ভাষ্যে, 'বর্ষার সময় বৃষ্টি নাই। নদী-খালে পাট পঁচানোয়– পানিও পঁচে যায় বৃষ্টির অভাবে। এই পানিতে মাছ থাকে? জাল ফেলে মাছ না পেলেও ভোঁদড় পালতে তো খরচ লাগে। নিজের পেট চালাতেই কষ্ট হয়, তিন-চারটা ভোঁদড় পালব কীভাবে।'

ছবি: সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু/ টিবিএস

বর্ষাকাল আর শীতকালই মূলত ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার ভালো সময়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর বেহাল দশা, চায়না জাল দিলে মাছ ধরা, নদীতে ঘের কেটে মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল নষ্ট করাসহ নানান কারণে এখন মাছ ধরার মৌসুমেও সাধারণ জেলেদের দিন কাটে দুর্দশায়। এক-একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোঁদড়কে দিনে কেজি খানেক মাছ খাওয়াতে হয়। জালে পর্যাপ্ত মাছ ধরা না পড়লে, বাজার থেকে কিনে এনে খাওয়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

বছরে চার-পাঁচটি করে বাচ্চা দেয় ভোঁদড়েরা। মা ভোঁদড়ের কাছে পর্যাপ্ত দুধ না পেলে, ফিডারে করে গরুর দুধ খাওয়াতে হয় বাচ্চাদের। অসুখ-বিসুখ হলে ওষুধ কিনে খাওয়াতে হয়।

ছবি: শেহেরীন আমিন সুপ্তি/ টিবিএস

বছর দশেক আগেও ভোঁদড়ের সহযোগিতায় এক রাতে ১০-১২ কেজি মাছ ধরতে পারতেন জেলেরা। বর্তমানে কোনো দিন ১-২ কেজি মাছও জোটে না। জালে ভালো পরিমাণে মাছ ধরা পড়লে ভোঁদড়ের লালন-পালনে কোনো সমস্যা হত না জেলেদের। কিন্তু স্বল্প আয়ে এখন অতিরিক্ত খরচ টানতে হিমশিম খান তারা। তাই ভোঁদড় পোষায় আর আগ্রহ নেই জেলেদের। তাদের সন্তানেরাও কেউ এই কাজে আগ্রহী নন বলে জানান তারা।

গোয়ালবাড়ির মালোপাড়ায় শ্যাম বিশ্বাসসহ, ভবেন বিশ্বাস, রবিন বিশ্বাস, ধ্রুব বিশ্বাস ও রবেন বিশ্বাসের ঘরে মোট ১৬টি ভোঁদড় আছে বর্তমানে। কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চা হবে শ্যামের একটি ভোঁদড়ের।

গোয়ালবাড়ির মালোপাড়ার আরো কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে ভোঁদড় পোষা জেলেরা সুন্দরবনের ভেতর মাছ ধরার পাস পান না। তাই এই পদ্ধতির প্রতি অনাগ্রহ আরও বেড়েছে। তবে বন অধিদপ্তরের সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল ভিন্ন তথ্য।

তিনি বলেন, 'ভোঁদড় দিয়ে সুন্দরবনের ভেতর মাছ ধরতে জেলেদের কোনো বাঁধা নেই। আমাদের কাছে আবেদন করলে অবশ্যই পাস দেওয়া হবে। সুন্দরবনে অনেক বিদেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন। তাদের কাছে মাছ ধরার এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি তুলে ধরতে পারলে আমাদের পর্যটন বিকাশেও নতুন সম্ভাবনা যোগ হবে।'

ছবি: শেহেরীন আমিন সুপ্তি/ টিবিএস

দেড় হাজার বছরের এই ঐতিহ্যের দেখা মেলে শুধু বাংলাদেশের গ্রামে

এশিয়া অঞ্চলে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। ১৯২৭ সালে প্রকাশিত আমেরিকান ন্যাচারালিস্ট সাময়িকীর ৬১তম ভলিউমে 'ফিশিং উইথ দ্য ওটার' নামক প্রবন্ধে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রবন্ধের বর্ণনা অনুযায়ী, চীনে সর্বপ্রথম ৭ম শতাব্দীতে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার রীতির প্রমাণ পাওয়া যায়।

গত শতাব্দীর শুরুর দিকে চীন, মালয়েশিয়া ও অবিভক্ত ভারতের নানান অঞ্চলে ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করা হত। বর্তমানে একমাত্র বাংলাদেশেই টিকে আছে এই রীতি।  

ছবি: শেহেরীন আমিন সুপ্তি/ টিবিএস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ জানান, বাংলাদেশের নড়াইলের চিত্রা নদীর পাড়ের কয়েকটি গ্রাম আর মাগুড়ার সন্ধ্যা নদীর পাড়ের একটি গ্রামে কিছু সংখ্যক জেলে ধরে রেখেছেন ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকারের ঐতিহ্য।

মাছ শিকারের কাজে ব্যবহার করার আগে ভোঁদড়গুলোকে দেওয়া হয় যথাযথ প্রশিক্ষণ। বড় ভোঁদড়দের দেখেই মূলত মাছ তাড়া করতে শেখে বাচ্চা ভোঁদড়গুলো। সাধারণত ১৫-২০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকে একটি ভোঁদড়।

বাংলাদেশের জেলেরা মূলত স্মুদ কোটেড বা মসৃণ ত্বকের ভোঁদড়গুলো দিয়েই মাছ ধরে থাকেন বলে জানান অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশের মতে, নড়াইলের চিত্রা নদীর পাড়ে মাছ ধরায় ব্যবহৃত ভোঁদড়গুলো এশিয়ান স্মল ক্লড বা ছোট নখরযুক্ত প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। স্মুদ কোটেড ভোঁদড়গুলো সাধারণত বড় নদীর পাড়ের এলাকায় বেশি থাকে বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ। রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে এই প্রজাতির ভোঁদড় দেখতে পাওয়া যায়।

মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের চেয়ে বর্তমানে মাছ ধরা দেখিয়েই বেশি উপার্জন হচ্ছে গোয়ালবাড়ি গ্রামের ভোঁদড় পোষা জেলেদের। শ্যাম বিশ্বাস জানান, নড়াইলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মূল আকর্ষণই থাকে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা দেখা। কিছুদিন পরপর বিদেশি পর্যটকেরাও আসেন তাদের কাজ দেখতে। পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া সাহায্যের উপরই অনেকটা নির্ভরশীল তারা।

কেন বিপন্ন হচ্ছে ভোঁদড়

দেশে মূলত তিন ধরণের ভোঁদড় দেখতে পাওয়া যেত। এর মধ্যে ইউরেশিয় প্রজাতির ভোঁদড়গুলোকে ধরা হয় বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে। স্বাধীনতার পর দেশে সর্বপ্রথম ২০২১ সালে কাসালংয়ের বনে দেখা মেলে দুটি মৃত ইউরেশিয় ভোঁদড়ের। বাকি দুই প্রজাতি- স্মুদ কোটেড আর এশিয়ান স্মল ক্লড ভোঁদড়ের অস্তিত্বও আছে বিপদের মুখে। দেশে ভোঁদড়ের মোট সংখ্যা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই এখনো।

মুনতাসির আকাশের মতে, দেশে ভোঁদড় বিপন্ন হওয়ার পথে যাওয়ার অন্যতম কারণ এদের বাসস্থান নষ্ট হওয়া। নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরা, শিল্পায়নের কারণে নদীর পানিসহ-আশেপাশের এলাকা নষ্ট হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে ভোঁদড় টিকে থাকতে পারছে না। ভোঁদড় নিয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের অভাবও এর বিপন্ন হওয়ার পেছনে দায়ী বলে মনে করেন তিনি।

ওটার রিসার্চ প্রজেক্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাহিদ আমিনের মতেও ভোঁদড়ের বাসস্থান কমে যাওয়া প্রাণিটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলার প্রধান কারণ। এছাড়াও তিনি বলেন, 'দেশে আগে থেকেই ভোঁদড় শিকার করার রীতি জনপ্রিয় ছিল। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ভোঁদড় মেরে তাদের চামড়া, হাড্ডি, দাঁত বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হত। যেকারণে ভোঁদড়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। আগে বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে খাল-বিল, নদীর মতো জায়গায় লোকালয়েও অনেক ভোঁদড় থাকত। এখন জঙ্গল ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে এদের দেখা যায় না।'

ছবি: শেহেরীন আমিন সুপ্তি/ টিবিএস

মাছ ধরায় ব্যবহৃত ভোঁদড়গুলো প্রতিবছর বাচ্চা দিলেও মালোপাড়ায় ভোঁদড়ের সংখ্যা বাড়ছে না। কারণ অনুসন্ধান করলে জানা যায়, বেশি সংখ্যক ভোঁদড় লালন-পালনের সামর্থ্য না থাকায় অনেক সময় জেলেরা অতিরিক্ত ভোঁদড়গুলোকে বিক্রি করে দেন। যেখানে কয়েকবছর আগেও একটি ভোঁদড় বিক্রি হত ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায়, বর্তমানে সংখ্যায় কমে যাওয়ায় এক একটি ভোঁদড় ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা হয় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্যের সঙ্গে। তিনি জানান, দেশে বন্যপ্রাণী আইনে ভোঁদড় কেনাবেচা নিষিদ্ধ। 'কয়েক বছর আগেও আমরা এর বিরুদ্ধে মাইকিং করে, পোস্টার বিতরণ করে সুন্দরবনের আশেপাশের জেলাগুলোতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি। এরপর আমাদের কাছে বিগত এক-দেড় বছরে জেলেদের ভোঁদড় কেনাবেচার কোনো তথ্য আসেনি। আগের চেয়ে মানুষ এখন বেশি সচেতন হয়েছে। আইন অমান্য করার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব,' বলেন এই বন কর্মকর্তা।

ভোঁদড় সংরক্ষণের অন্যতম পদ্ধতি এই মাছ ধরার রীতি

 ২০১১ সালে প্রকাশিত মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সাজেদা বেগম ও মো: কামরুল হাসানের 'ফিশিং উইথ ওটারস: আ ট্রেডিশনাল কনজারভেশন প্র্যাকটিস ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক গবেষণায় ভোঁদড় ব্যবহার করে মাছ ধরা কীভাবে দেশের ভোঁদড় সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

গবেষণা অনুযায়ী, সেসময় নড়াইল-খুলনা অঞ্চলে ১৭৬টি ভোঁদড় ব্যবহার করে মাছ ধরায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রায় ৩০০ জেলে। এছাড়াও পরোক্ষভাবে প্রায় ২,০০০ ব্যক্তি তাদের জীবিকার জন্য নির্ভরশীল ছিলেন এই পদ্ধতির ওপর। নিজেদের স্বার্থেই লালন-পালন করে ভোঁদড়গুলোকে সংরক্ষণ করতেন এই জেলে সম্প্রদায়।

মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজের মতে, এখনো ভোঁদড় সংরক্ষণে কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে এই মাছ ধরার রীতি। ভোঁদড় পোষা জেলেদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, নিয়মিত তাদের কাজ পর্যবেক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোঁদড় সংরক্ষণে আগ্রহী করে তোলা যাবে জেলেদের।

 

 

Related Topics

টপ নিউজ

ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা / ঐতিহ্য / বাংলাদেশ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম : জ্বালানি উপদেষ্টা
  • এবার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে 'বোমা হামলার' হুমকি, থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ
  • ‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা
  • ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে ১০০-র বেশি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান: আইডিএফ
  • বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প
  • ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

Related News

  • ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ঋণভার পৌঁছাবে ২৯ লাখ কোটি টাকায়, ডেট অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের
  • ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন যাত্রায় ৩টি কাজ করতে হবে: ড. ইউনূস
  • বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে: বিডা প্রধান
  • শুল্ক কাঠামোয় বড় পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববাণিজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে চায় সরকার
  • ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করতে ব্যাংক এশিয়ার সমঝোতা স্মারক সই

Most Read

1
বাংলাদেশ

সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম : জ্বালানি উপদেষ্টা

2
আন্তর্জাতিক

এবার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে 'বোমা হামলার' হুমকি, থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ

3
বাংলাদেশ

‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা

4
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে ১০০-র বেশি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান: আইডিএফ

5
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প

6
বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net