Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
May 31, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, MAY 31, 2025
শান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তারপর ঝড়: ইইউ মিশন কী দেখলো, ব্রাসেলসের জন্য কী বার্তা নিয়ে গেল

বাংলাদেশ

কামরান সিদ্দিকী
23 July, 2023, 09:30 pm
Last modified: 23 July, 2023, 09:52 pm

Related News

  • ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে কোনো দেশ অশুভ খেলার সাহস পায়নি: কাদের
  • বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের এমপিদের গেজেট প্রকাশ
  • ১৯৭৫ সালের পর ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে: শেখ হাসিনা
  • ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেটে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
  • নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন যেসব মন্ত্রী

শান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তারপর ঝড়: ইইউ মিশন কী দেখলো, ব্রাসেলসের জন্য কী বার্তা নিয়ে গেল

৭৫টির বেশি বৈঠকে অংশগ্রহণের পর – দুই সপ্তাহের বাংলাদেশ সফর শেষ করতে চলেছে ইইউ মিশন। এই সময়ে প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল এ দেশের রাজনীতির দুই রূপ – শান্তি ও ঝড় – দুটোই দেখে যাচ্ছে।
কামরান সিদ্দিকী
23 July, 2023, 09:30 pm
Last modified: 23 July, 2023, 09:52 pm
নির্বাচন কমিশনের সাথে ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক। ছবি: টিবিএস

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের প্রাক নির্বাচনী অনুসন্ধানী প্রতিনিধি দলের সফর শেষ হচ্ছে আজ রোববার। গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে আসেন তারা। এসময় শান্তিপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবেশই তারা দেখেছিলেন।  

এরপর সরকার ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সাথে অনেকগুলো বৈঠক করেন মিশন সদস্যরা। প্রায় প্রতিটি সভাতেই রাজনৈতিক সহিংসতার ঝুঁকি নিয়ে জানতেও চেয়েছেন।  

তাদের সফরের প্রথম সপ্তাহেই আড়াই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার–বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জেয়া শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

তার সফরের সময়েই রাজধানীতে কোনোপ্রকার সহিংসতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় – জেয়া যাকে 'শুভ ইঙ্গিত' বলেই অবহিত করেন।

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ। ছবি: টিবিএস

জেয়া বলেন, 'আমরা বিশাল জনসভা দেখেছি। স্বস্তির বিষয়টি হচ্ছে, কোনোরকম সহিংসতা ছাড়াই সেটা হয়েছে। আমরা যেমনটা দেখতে চাই, এটা তার সূচনা। ভবিষ্যতেও এর প্রতিফলন থাকবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।'

শান্তিপূর্ণ এমন জনসভার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে ইইউ মিশনও। সদিচ্ছা থাকলে– উভয় দল রাজপথে থাকার পরও যে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব – এটি ছিল তারই দৃষ্টান্ত।

বিএনপির সমাবেশ। ছবি: টিবিএস

কিন্তু, ইইউ প্রতিনিধি দলের সফরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সহিংসতা ছড়িয়ে পরে সারাদেশে।

এসময় ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ. আরাফাতের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম হামলার শিকার হন। ভোটের দিন ১৭ জুলাই বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তাকে মারপিট করা হয়।

হামলা যখন হয়েছিল, তখন গুলশান এলাকায় অবস্থান করছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। পরের দিনই জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র-সহ অন্য ১২টি দেশ এক বিবৃতি দিয়ে এই হামলার নিন্দা জানায়।

সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৮ জুলাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংস ঘটনা ঘটে।   

বিরোধী পক্ষকে মোকাবিলার এই রাজনীতিতে লক্ষ্মীপুর, বগুড়া, ঢাকা, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, কিশোরগঞ্জ-সহ ৯ জেলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সাথে সংঘাত হয় বিএনপির। এতে অন্তত একজনের মৃত্যু ও আরো অনেকের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।  

সহিংসতার পর ৯ জেলায় ১৫ হাজার লোকের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা দায়ের করা হয়।

১৮ জুলাই দেশব্যাপী বিএনপির পদযাত্রার সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: টিবিএস

৭৫টির বেশি বৈঠকে অংশগ্রহণের পর – দুই সপ্তাহের বাংলাদেশ সফর শেষ করতে চলেছে ইইউ মিশন। এই সময়ে প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল এ দেশের রাজনীতির দুই রূপ – শান্তি ও ঝড় – দুটোই দেখে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি বুঝতে এই সফরে আসেন তারা। আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে যে পরিবেশ নিয়ে বিতর্ক– এক উত্তপ্ত প্রসঙ্গও বটে।  

এজন্য প্রতিনিধি দল কূটনীতিক, সরকারি সংস্থা, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ধারাবাহিক বিভিন্ন বৈঠক করেন।  

আলোচনার বিভিন্ন অগ্রগতি ও মতামত বিনিময়ের বিষয়ে অনেকটা নীরবই ছিলেন প্রতিনিধিরা। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশন অফিসে যাওয়ার পরই গণমাধ্যমের সাথে কিছুটা কথা বলেছিলেন।

বাংলাদেশের নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশের কি মূল্যায়ন তারা করলেন – তা এখনও অজানা। কিন্তু, এনিয়ে জল্পনা শোনা যাচ্ছে অনেক। বিশেষত তাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা ঘিরে।

পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিএনপির। ছবি: রাজীব ধর

বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বর্তমান পরিবেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযুক্ত কিনা, সহিংসতার ঝুঁকি কতখানি, যথেষ্ট আইনি কাঠামোর অস্তিত্ব, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা – রয়েছে কিনা মূলত এসবই জানার ছিল ইইউ মিশনের।  

এরমধ্যে সহিংসতার ঝুঁকি সম্পর্কে যে জিজ্ঞাসা, তার উত্তর তারা এরমধ্যেই পেয়ে গেছেন।

মিশনের শুরু

প্রথম দিন থেকেই ইইউ প্রতিনিধিরা ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করেছেন।

মঙ্গলবার মিশন প্রধান রিকার্ডো চ্যালেরি ঢাকা ত্যাগের আগে ১৭ জুলাই কূটনীতিকদের সাথে আরেকটি বৈঠক করেন তারা।

সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে বৈঠক

বাংলাদেশে আসার পর থেকেই প্রতিনিধিরা সরকারের বিভিন্ন সংস্থা – পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, পুলিশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন।

এসব বৈঠকে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সহিংসতার ঝুঁকি ও সার্বক মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান প্রতিনিধিরা।

আইনজীবীদের সাথে বৈঠকে নির্বাচনকালে বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবে কিনা- সে বিষয়ে জানতে চান তারা।

ইইউ মিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর জানায়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দেশে পর্যাপ্ত আইনি কাঠামো রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি কতটুকু?

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্বে থাকা ইসির সাথে একাধিক বৈঠক করেছেন ইইউ প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সক্ষমতা, ভোটার সংখ্যা, ভোটার তালিকা প্রণয়নের পদ্ধতি, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ ও সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ইসির নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কিত নানান বিষয়ে তারা জানতে চান।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্ণ সক্ষমতা তাদের রয়েছে বলে অনুসন্ধানী দলকে জানায় ইসি।

নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন সুশীল সমাজের সদস্যরা

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন ইইউ প্রতিনিধিরা। বর্তমান প্রক্রিয়ায় সকল দলের জন্য ভোটের সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা যাবে কিনা – সে বিষয়ে তাদের কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেন।  

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "তারা জানতে চেয়েছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশে যথাযথ পরিবেশ রয়েছে কিনা। কিন্তু, অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই আমি তাদেরকে বলেছি, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবশ্যই ন্যায্য হতে হবে। আমি বলেছি, মানুষকে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের স্বাধীনতা দিতে হবে, পুরো প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ, কোনোপ্রকার কারচুপির সুযোগ থাকা যাবে না।"

নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও আইন বিশেষজ্ঞরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-তে আনা সাম্প্রতিক সংশোধনীর বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বৈঠকে।

১৫ জুলাই প্রাক নির্বাচনী অনুসন্ধানী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপ ব্রতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুর্শিদ সাংবাদিকদের বলেন, "যেসব সংশোধনী আনা হচ্ছে, তার ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে পারি কিনা সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি তাদের জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য যে মাত্রার প্রস্তুতি ও আস্থার দরকার, তা আমরা অর্জন করতে পারিনি।"

"বিশেষত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এর প্রয়োগ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী আলোচিত হয়। আরপিও সংশোধনীকে আমি অনুকূল বলে মনে করি না। এতে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনেকটাই দুর্বল হবে"- যোগ করেন তিনি।

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা, সংলাপ নিয়ে আলোচনা

১৫ জুলাই প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠকে অংশ নেয় প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দলগুলো স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান তুলে ধরে।

বিএনপির সাথে বৈঠক

বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি। এই দাবিতে সমর্থন দেয় জামায়াতে ইসলামী। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি ভারসাম্য বজায় রেখে সরকারের সাথে সংলাপের প্রতি গুরুত্ব দেয়।

অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে।

ইইউ মিশনের সাথে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, "আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা সংবিধানের কোনো প্রকার লঙ্ঘন মানব না…"  

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, "সংসদ বিলুপ্তি, সরকারের পদত্যাগ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কোনো প্রশ্নই আসে না।"

সরকারের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ইইউ প্রতিনিধিরা সংলাপ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করেননি।

ইইউ প্রতিনিধিদের সাথে ৯০ মিনিটের বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "আওয়ামী লীগের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছে বিএনপি। আমরা তাদের বলেছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। সেটা সম্ভবও নয়। এর পেছনে অন্যান্য অনেক কারণও আছে।"

বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংশয় থেকেই ইইউ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে দাবি করে আমীর খসরু বলেন, "এই সরকার জোর করে জনগণকে বাইরে রেখে ভোট চুরি করে আবার ক্ষমতায় আসবে। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে ইইউ দলের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা হয়েছে।"

বিএনপির বক্তব্যের সাথে মিল ছিল বৈঠকের পর দেওয়া জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতির। দলটির বক্তব্য, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

১৫ জুলাই ইইউ দূতাবাসে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিশন সদস্যদের এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, "কেবল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রাউন্ড তৈরি হলেই যেন ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠায়– আমরা সে আহ্বান জানিয়েছি। নাহলে ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হলে – সেখানে পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে একে শুধুমাত্র কিছুটা বৈধতাই দেওয়া হবে।"

অন্যদিকে সংলাপের আহবান জানায় জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠক

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে মতভেদ রয়েছে, তা কাটাতে সংলাপের বিকল্প নেই বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। সফররত ইইউর প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, "জাতীয় পার্টি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এই দেশের মানুষও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। তাদেরকে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।"

পরবর্তী পর্যায়

সফর শেষে ইইউ প্রতিনিধিদল একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেবে, তার ওপর ভিত্তি করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন (ইওএম) পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান রিকার্ডো চ্যাল্লেরি।

এই প্রতিবেদনটি হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ গত দুটি নির্বাচনেও পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠায়নি ইইউ। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা পর্যবেক্ষক পাঠায়।

 

 

Related Topics

টপ নিউজ

ইইউ নির্বাচনী অনুসন্ধানী মিশন / ইইউ প্রতিনিধি দল / দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন / রাজনৈতিক পরিস্থিতি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সুপ্রিম কোর্টে আপিল খারিজ: মহাখালীর প্রধান কার্যালয় ও কারখানা ছাড়তে হবে বিএটি বাংলাদেশকে
  • ‘আনু ভাইকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় আমি বিস্মিত’: আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ
  • ৫ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ব্যাহত নেটওয়ার্ক সেবা
  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল ও তুলা কিনতে পারে বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
  • চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই ৩৫০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ বাংলাদেশের
  • বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব থেকে ‘সরিয়ে দেওয়া হলো’ ফারুক আহমেদকে

Related News

  • ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে কোনো দেশ অশুভ খেলার সাহস পায়নি: কাদের
  • বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের এমপিদের গেজেট প্রকাশ
  • ১৯৭৫ সালের পর ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে: শেখ হাসিনা
  • ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেটে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
  • নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন যেসব মন্ত্রী

Most Read

1
বাংলাদেশ

সুপ্রিম কোর্টে আপিল খারিজ: মহাখালীর প্রধান কার্যালয় ও কারখানা ছাড়তে হবে বিএটি বাংলাদেশকে

2
বাংলাদেশ

‘আনু ভাইকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় আমি বিস্মিত’: আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ

3
বাংলাদেশ

৫ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ব্যাহত নেটওয়ার্ক সেবা

4
বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল ও তুলা কিনতে পারে বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

5
অর্থনীতি

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই ৩৫০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ বাংলাদেশের

6
খেলা

বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব থেকে ‘সরিয়ে দেওয়া হলো’ ফারুক আহমেদকে

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net