‘সত্যিকারের মেসির কাছে হার মেনেছে ক্রোয়েশিয়া’

যেকোনো উপায়ে লিওনেল মেসিকে আটকানোর চেষ্টা করার কথা জানিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচে সেই চেষ্টার কমতিও রাখেনি মদ্রিচ-পেরিসেচদের দল। কিন্তু মেসি জাদুর সামনে তা কার্যকর হয়নি। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর অনন্য ফুটবল প্রদর্শনীতে নিজে গোল করেছেন, করিয়েছেন সতীর্থকে দিয়ে। দাপুটে জয়ে আর্জেন্টিনা উঠেছে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে।
পুরো ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ সাজানোয় অনেক এগিয়ে থাকলেও ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ হারে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে। পেনাল্টি থেকে গোল করে আলবিসেলেস্তেদের এগিয়ে নেওয়া মেসি পরে হুলিয়ান আলভােরেসের দুই গোলের একটিতে রাখেন অসামান্য অবদান। একক পারদর্শীতায় বল নিয়ে ছোট বক্সে গিয়ে বল বাড়ান তিনি, সহজেই গোল করেন আলভারেস।
'সত্যিকারের' মেসির অসামান্য পারফরম্যান্সের কারণেই ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ হেরেছে বলে মনে করেন তাদের কোচ জ্লাটকো দালিক। ক্রোয়েশিয়ার কোচ মেসিকে নিয়ে বলেছেন, 'সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। সে ভয়ঙ্কর ছিল, দারুণ মানসম্পন্ন খেলোয়াড় সে। কৌশলের মিশেলে উন্নতমানের পারফরম্যান্স করেছে সে। এটা সত্যিকারের মেসি, আমরা এমনই ভেবেছিলাম।'
মেসির নেতৃত্ব দেওয়া এই দলটিকেও অসাধারণ মনে হয় দালিকের কাছে। ক্রোয়েশিয়ার কোচ মনে করেন, নিজেদের সামর্থ্য বুঝে সেভাবে খেলে আর্জেন্টিনার এই দলটি। তার ভাষায়, 'আর্জেন্টিনার এই দলটি দুর্দান্ত। মেসি অসাধারণ মানের একজন খেলোয়াড়, যার পেছনে হাজার হাজার সমর্থক রয়েছে। আর্জেন্টিনার এই দলটি সেভাবেই খেলে, যেভাবে তাদের খেলা উচিত।'
মেসিই যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, ম্যাচের পর তা কয়েকবার উল্লেখ করেন দালিক। ২০১৭ সাল থেকে মদ্রিচদের দায়িত্বে থাকা ক্রোয়েশিয়ান এই কোচ বলেন, 'মাঠে তাদের চারজন ফিডফিল্ডার ছিল এবং আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মেসি এক দৌড়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, যা সে তৃতীয় গোলের ক্ষেত্রে করেছে।'
ডি-বক্সে আলভারেসকে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ক্রোয়েশিয়ার কোচের এই পেনাল্টি নিয়ে সংশয় আছে। তিনি বলেছেন, 'বল দখলে আমরা এগিয়ে ছিলাম, কিন্তু পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। আমরা বলবো না যে রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, কিন্তু প্রথম গোলটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।'