৬.৫৯ কোটি টাকা হুন্ডির অভিযোগে বিকাশ এজেন্ট গ্রেপ্তার

রাজধানীর শাহজাদপুরে কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে নাবিল কালেকশন নামে বিকাশের এজেন্টশিপ নিয়ে চলছিলো অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা। সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে নাবিল কালেকশনের মালিক মো. আবুল হাসান।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আবুল হাসান ৪ মাসে অবৈধভাবে ৬.৫৯ কোটি টাকা হুন্ডি করেছেন। রাজধানীর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই চক্রের অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সিআইডির ফিন্যন্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যবসায়ী প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের বিকাশ পার্সোনাল নাম্বারে ক্যাশ ইন করতো। এসব টাকা এবং প্রবাসীদের নাম্বার অজ্ঞাত ৪ ব্যক্তি তার কাছে দিয়ে যেতো। যাদের প্রকৃত পরিচয় গ্রেপ্তারকৃত জানে না বলে জানিয়েছেন। তবে এই মুদ্রা পাচার চক্রের সাথে কয়েকজন প্রবাসী যুক্ত আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই চক্রে জড়িত অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে তারা কাজ করছেন। যাদের একজনের পরিচয় জানা গেছে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির টিবিএসকে বলেন, 'বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (বিএফআইইউ) দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অবৈধ হুন্ডির বিরুদ্ধে তদন্ত করছি। এতে অবৈধভাবে হুন্ডি পরিচালনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।'
এর আগে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার ও ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পৃথক অভিযানে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে অর্থপাচার আইনের পৃথক তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে সিআইডি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে, এতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া খিলগাঁও মডেল থানার মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এসব মামলার তদন্তকারীরা টিবিএসকে জানিয়েছেন, শীঘ্রই অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।