বিশ্বজয়ের দোরগোড়ায় চীনা ওষুধশিল্প, পশ্চিমা বাজারে বাড়ছে দখল
আমেরিকার পরেই চীন এখন নতুন ওষুধ উদ্ভাবনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তিতে পরিণত হয়েছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে যত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে, তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই পরিচালনা করেছে চীনা কোম্পানিগুলো। এক দশক আগেও এই হার ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। ক্যান্সার গবেষণার মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতেও দেশটি এখন সামনের সারিতে উঠে আসছে। বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এড়ায়নি। চলতি বছরে চীনা বায়োটেক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর ১১০ শতাংশ বেড়েছে, যা তাদের আমেরিকান প্রতিযোগীদের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি।
গত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ওষুধ আবিষ্কারের জগতটি একত্রে 'বিগ ফার্মা' নামে পরিচিত পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর দখলে ছিল। কিন্তু সেই দিন ফুরিয়ে আসছে। এই কোম্পানিগুলো তাদের ইতিহাসের অন্যতম কঠিন 'প্যাটেন্ট ক্লিফ' বা মেধাস্বত্ব হারানোর সংকটের মুখে পড়েছে। আগামী ছয় বছরের মধ্যে অন্তত ৩০০ বিলিয়ন ডলার আয় করবে, এমন সব ওষুধের মেধাস্বত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ২০৩০ সালের মধ্যে। এই বিশাল আয়ের ঘাটতি মেটাতে আমেরিকা ও ইউরোপের বড় কোম্পানিগুলো এখন প্রতিশ্রুতিশীল নতুন মলিকিউল বা ওষুধের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরছে এবং ক্রমেই তারা এর সমাধান খুঁজে পাচ্ছে চীনে।
তবে সময়টা বেশ গোলমেলে। আমেরিকা চীনা সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নিজেদের নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে, কারণ দুই দেশের মধ্যে চলা 'বাণিজ্য যুদ্ধ' সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও উত্তেজনা কমেনি। ওষুধের সক্রিয় উপাদান বা কাঁচামালের ওপর চীনের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মার্কিন সরকার এমনিতেই উদ্বিগ্ন। হোয়াইট হাউস চীনা ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, এমন গুজবও বাতাসে ভাসছে। তবুও বাস্তবতা হলো, পরবর্তী প্রজন্মের ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে আমেরিকার ওষুধ নির্মাতা এবং সেখানকার রোগীরা চীনের উদ্ভাবনী শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর বদলে বরং আরও বেশি নির্ভরশীল হতে যাচ্ছে।
এর স্বপক্ষে প্রমাণও মিলছে ভূরি ভূরি। গত মে মাসে আমেরিকার বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে চীনা বায়োটেক ফার্ম '৩এস-বায়ো'-এর সাথে একটি চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমোদন পেলে চীনের বাইরে একটি পরীক্ষামূলক ক্যান্সারের ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির স্বত্ব পাবে ফাইজার। ঠিক পরের মাসেই ব্রিটিশ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) চীনা কোম্পানি 'হেংরুই'-এর সাথে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে।
এই চুক্তির আওতায় একটি ফুসফুসের রোগের চিকিৎসার ওষুধ এবং আরও ১১টি ওষুধ কেনার সুযোগ রয়েছে, যা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সাপেক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মূল্যের হতে পারে। এ ধরনের চুক্তি এখন আর কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। চলতি বছরের প্রথমার্ধে 'বিগ ফার্মা' বা বড় ওষুধ কোম্পানিগুলোর স্বাক্ষরিত বৈশ্বিক লাইসেন্সিং চুক্তির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ছিল চীনা কোম্পানিগুলোর সাথে; যা ২০২১ সালের তুলনায় চার গুণ বেশি।
কিছুদিন আগেও চীনের ওষুধশিল্প মূলত জেনেরিক ওষুধ তৈরি, কাঁচামাল সরবরাহ এবং পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর হয়ে ট্রায়াল পরিচালনার জন্য পরিচিত ছিল। তবে গত এক দশকে তারা নিজেদের খোলনলচে বদলে ফেলেছে। ওষুধ অনুমোদনের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে, জটিল রোগের ওষুধের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে পর্যালোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নীতিমালাকে আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চীনের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার জনবল চারগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং মাত্র দুই বছরে ২০ হাজার নতুন ওষুধের আবেদন জট (ব্যাকলগ) শেষ করা হয়েছে। হিউম্যান ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন পেতে যেখানে আগে ৫০১ দিন লাগত, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮৭ দিনে। এর ফলে নতুন ওষুধের উৎপাদনও জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। ২০১৫ সালে চীন মাত্র ১১টি নতুন চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছিল, যার অধিকাংশই ছিল পশ্চিমা আমদানী। ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩-এ, যার ৪২ শতাংশই দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত।
এই আমূল সংস্কারের সাথে যুক্ত হয়েছে বিদেশ থেকে মেধাবীদের ফিরিয়ে আনার জোরালো উদ্যোগ। চীনে এই বিদেশফেরত অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের বলা হয় 'সি টার্টল' বা 'সামুদ্রিক কচ্ছপ'। বায়োটেক কোম্পানি গড়ে তোলা এবং বিনিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রকদের সাথে কাজ করার পশ্চিমা অভিজ্ঞতা নিয়ে এরা দেশে ফিরেছেন। হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার নিয়ম সহজ করায় এবং তহবিল সংগ্রহের সুযোগ বাড়ায় তাদের এই উদ্যোক্তা হওয়ার স্পৃহা আরও বেগবান হয়েছে।
সাফল্যের প্রাথমিক লক্ষণগুলোও ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। ২০১৯ সালের নভেম্বরে 'বিওয়ান মেডিসিনস' (সাবেক বেইজিন) নামের একটি চীনা বায়োটেক ফার্ম প্রথম স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ (এফডিএ)-এর কাছ থেকে ক্যান্সারের ওষুধের অনুমোদন পায়। এরপর আরও অনেক অনুমোদন এসেছে। তবে এই খাতের সবচেয়ে বড় চমকটি আসে গত সেপ্টেম্বরে। তখন 'আকেসো বায়ো' নামক একটি ছোট চীনা বায়োটেক কোম্পানির ফুসফুসের ক্যান্সারের ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে 'মার্ক' কোম্পানির বিখ্যাত ও বহুল বিক্রিত থেরাপি 'কিউট্রুডা'-কে পারফর্মেন্সে পেছনে ফেলে দেয়।
লাল বড়ির উত্থান
কীভাবে ঘটল চীনের ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই অভাবনীয় উত্থান? প্রথম কারণটি হলো তাদের উদ্ভাবনী কৌশল। তারা প্রথমে 'ফাস্ট ফলোয়ার' নীতিতে বিদ্যমান ওষুধের নিরাপত্তা বা কার্যকারিতা উন্নত করার দিকে নজর দিয়েছিল। সেখান থেকে তারা সাহস সঞ্চয় করে 'ফার্স্ট-ইন-ক্লাস' বা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ওষুধ তৈরির দিকে এগিয়েছে, যা রোগের নতুন কোনো লক্ষ্যবস্তু (যেমন প্রোটিন বা জিন) বা কার্যপদ্ধতি নিয়ে কাজ করে।
বেইজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিমেন চেন এবং তার দলের গত বছর 'নেচার রিভিউজ ড্রাগ ডিসকভারি'-তে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, বর্তমানে শিল্পের পাইপলাইনের ৪০ শতাংশেরও বেশি জুড়ে রয়েছে এই 'ফাস্ট-ফলোয়ার' এবং 'ফার্স্ট-ইন-ক্লাস' চিকিৎসাগুলো। চীনা ওষুধ কোম্পানি ফোসুন ফার্মার ওয়াং জিংলি বলেন, 'ফাস্ট-ফলোয়ার' ওষুধ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাই তাদের 'ফার্স্ট-ইন-ক্লাস' বা নতুন কিছু করার সাহস জুগিয়েছে।
দ্বিতীয় কারণটি হলো গতি, বিশাল পরিসর এবং কম খরচ। ওষুধ আবিষ্কার থেকে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করা পর্যন্ত যেতে চীনের কোম্পানিগুলোর সময় লাগে বৈশ্বিক গড় সময়ের প্রায় অর্ধেক। নতুন ওষুধ উন্নয়নের সবচেয়ে ধীরগতির ধাপ—হিউম্যান ট্রায়ালও এখানে দ্রুত সম্পন্ন হয়। বিশাল জনসংখ্যা হওয়ায় ট্রায়ালের জন্য রোগী পাওয়া সহজ এবং ট্রায়াল সেন্টারগুলোর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজটিকে ত্বরান্বিত করে। 'অ্যান্টিবডি-ড্রাগ কনজুগেট' (এডিসি)—যা ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে—তৈরির ক্ষেত্রে এই মডেলটি অত্যন্ত সহায়ক। এক 'বিগ ফার্মা' কোম্পানির নির্বাহী বলেন, 'চীনের আসল আকর্ষণ হলো সেখানে বিপুল সংখ্যক কোম্পানি প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। আপনি এখান থেকে সেরাদের বেছে নিতে পারেন এবং অনুমোদনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারেন।'
ক্যান্সার গবেষণাই চীনা কোম্পানিগুলোর মূল ফোকাস হলেও তারা এখন অন্যান্য দিকেও হাত বাড়াচ্ছে। ওজন কমানোর ওষুধ এখন ওষুধ শিল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পণ্য। ডেনিশ ফার্মা জায়ান্ট নোভো নরডিস্কের তৈরি জনপ্রিয় ওজন কমানোর ওষুধ 'উইগোভি' এবং 'ওজেম্পিক'-এর মূল উপাদান সেমাগ্লুটাইডের মেধাস্বত্ব চীনে আগামী বছর শেষ হতে যাচ্ছে। এটি জেনেরিক ওষুধ তৈরির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।
তবে স্থানীয় কোম্পানিগুলো কেবল নকল করছে না। গবেষণা সংস্থা ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের মতে, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে স্থূলতা কমানোর ১৬০টি নতুন ওষুধ উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে এবং এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই চীনাদের হাতে।
আমেরিকার পরে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওষুধের বাজার হলেও এখানে মুনাফা করা বেশ কঠিন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনজির তথ্যমতে, ২০২৩ সালে চীনে প্রেসক্রিপশন ড্রাগের বিক্রি ছিল প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলার, যা আমেরিকার ছয় ভাগের এক ভাগ। বাজারের অধিকাংশ বিক্রিই এখনো জেনেরিক ওষুধের দখলে। নতুন ওষুধ বাজারের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ দখল করে আছে, যা ২০২৮ সাল নাগাদ এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত হতে পারে।
তবুও, চীনের বাজার অত্যন্ত মূল্য-সংবেদনশীল। অধিকাংশ কেনাকাটার খরচ সরকারি বীমা বহন করে, তাই হাসপাতালগুলোর চাহিদা একত্রিত করে কোম্পানিগুলোকে নিলাম যুদ্ধে নামতে বাধ্য করা হয়। বীমার আওতায় আসতে হলে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে দাম প্রায়ই অর্ধেক বা তারও বেশি কমাতে হয়, অথবা খুব ছোট প্রাইভেট মার্কেটেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
এসব কারণেই আমেরিকা ও অন্যান্য বিদেশি বাজার তাদের কাছে এত লোভনীয় পুরস্কার। সেখানে প্রবেশের সবচেয়ে সাধারণ পথ হলো পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর সাথে লাইসেন্সিং চুক্তি। তবে কিছু চীনা কোম্পানি এখন আরও বড় অংশীদারিত্ব চাইছে।
এ ক্ষেত্রে 'নিউকো' মডেলটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই মডেলে একটি বায়োটেক কোম্পানি আমেরিকায় আইনিভাবে পৃথক একটি কোম্পানি গঠন করে, যাতে প্রায়শই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অর্থায়ন করেন এবং প্রতিশ্রুতিশীল সম্পদ সেখানে স্থানান্তর করা হয়। পশ্চিমাদের কাছে চীনা ফার্মা এখন লোভনীয় রকমের সস্তা। তালিকাভুক্ত চীনা বায়োটেক ফার্মগুলোর বাজারমূল্য তাদের আমেরিকান প্রতিযোগীদের তুলনায় ১৫ শতাংশেরও কম। লাইসেন্সিংয়ের জন্য অগ্রিম পেমেন্ট সাধারণত দুই-তৃতীয়াংশ কম হয় এবং মোট চুক্তির আকারও তুলনামূলক বৈশ্বিক লেনদেনের প্রায় অর্ধেক।
'নিউকো' মডেলের আরেকটি সুবিধা হলো, এটি বিদেশে চীনা ফার্মা নিয়ে রাজনৈতিক উদ্বেগ কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। তবে এখনো অনেক শঙ্কা রয়ে গেছে, বিশেষ করে ডেটা প্রাইভেসি বা তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে প্রাপ্ত রোগীর তথ্য শেয়ার করা গোপনীয়তা রক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম এবং পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার কারণে বেশ জটিল।
এফডিএ শুধুমাত্র চীনে পরিচালিত ট্রায়ালের ওপর ভিত্তি করে ওষুধ অনুমোদনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গত জুনে তারা এমন যেকোনো নতুন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করে দিয়েছে যেখানে মার্কিনিদের জেনেটিক ডেটা চীনে পাঠানো হচ্ছিল।
অবশ্য আশাবাদের জায়গাও রয়েছে। প্রতিযোগিতা বাড়লে সাধারণত ওষুধের দাম কমে এবং চিকিৎসার সুযোগ বাড়ে। যেসব রোগী দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধুনিক ওষুধ থেকে বঞ্চিত ছিল, চীনের এই উত্থান তাদের সেই দূরত্ব ঘোচাতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে চীনা ওষুধ কোম্পানিগুলোর জন্য আসল পরীক্ষা কেবল কার্যকর নতুন থেরাপি আবিষ্কার করাই নয়, বরং নতুন বাজারে প্রবেশ করা এবং সেখানকার কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক বাধাগুলো অতিক্রম করা। মিস্টার ওয়াং মনে করিয়ে দেন, অধিকাংশ পশ্চিমা জায়ান্ট কোম্পানির আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে এক শতাব্দী সময় লেগেছে। সেই তুলনায়, চীনের এই শিল্প এখনো "খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে" রয়েছে।
