ফেলে দেয়া যন্ত্রে যারা খোঁজেন সোনালী অতীত; পুরনো আমলের টিভি সংগ্রহ যাদের শখ
ময়লা ধরা পুরোনো টিভিগুলোর ছবি বিক্রির জন্য অনলাইনে দেখামাত্রই শান যোশী বুঝে গিয়েছিলেন, এগুলো তার চাই-ই চাই। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার বাসিন্দা শান, পেশায় একজন গেম ডেভেলপার ও লেখক। টিভিটি দেখামাত্র সাথে সাথেই দাম মিটিয়ে দিলেন—দশটি ক্যাথোড-রে টিউব (সিআরটি) টিভির জন্য ২,৫০০ ডলার। মোটা কাঁচের স্ক্রিনওয়ালা একেকটা বিশাল বাক্স, যেন অন্য কোনো সময় থেকে উঠে আসা স্মৃতিচিহ্ন। ওয়াইফাই? অ্যাপস? ওসব ভুলে যান। এই টিভিগুলো থেকে মেলে পুরোনো দিনের সেই পরিচিত আভা আর শব্দ।
তবে এগুলো সাধারণ কোনো অ্যানালগ টিভি ছিল না। এগুলো ছিল প্রফেশনাল ভিডিও মনিটর বা পিভিএম। একসময় হাসপাতালের ল্যাবে দামী যন্ত্রপাতির সঙ্গে এগুলো ব্যবহার করা হতো। সম্প্রচার সংস্থাগুলোও প্রচুর পরিমাণে এই মনিটর ব্যবহার করত। আর আজ, এই পিভিএমগুলোই কিছু কট্টর রেট্রো গেমারদের স্বপ্নকে রঙিন করে তুলেছে।
শান যোশী এমন এক ছোট্ট দলের অংশ, যারা এসব পুরোনো মডেলের টিভি খুঁজে বেড়ান। এর ছবির মান শৈশবের স্মৃতি বা নস্টালজিয়া জাগিয়ে তোলে। তিনি বলেন, "এই জগতে আপনি অন্যদের চেয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন, যদি আপনার চেনাজানা লোক থাকে ।"
এক পরিচিত ব্যক্তি তাকে ই-বে'তে বিক্রি হতে থাকা সিআরটিগুলোর একটি লিঙ্ক পাঠিয়েছিলেন। টিভিগুলো কেনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি উত্তেজিত হয়ে তার অনলাইন গ্রুপে খবরটা জানান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই একজন তাকে মেসেজ পাঠালেন। "শুনুন," লোকটি বললেন, "আপনি কি এগুলো আমার সাথে ভাগাভাগি করতে চান?" শান এক মুহূর্ত ভাবলেন। টিভিগুলো দক্ষিণ ফ্লোরিডায়, প্রায় ২০০ মাইল দূরে। যদি এই লোকটি সাহায্য করে এবং টিভিগুলো ঠিকঠাক থাকে, তাহলে তিনি অর্ধেক টাকা ফেরত পাবেন, আর হয়তো এই বিশাল টিভিগুলো টেনেহিঁচড়ে বাড়ি নিয়ে আসতেও সাহায্য পাওয়া যাবে। একটাই শর্ত, যদি এই অচেনা মানুষটা তার কথার দাম রাখে। তিনি উত্তরে লিখলেন: "অবশ্যই।"
কিন্তু কেন শান যোশী এবং তার মতো মানুষেরা এই প্রাচীন টিভি বাক্সগুলো পাওয়ার জন্য এত কষ্ট করেন? ক্যাথোড-রে টিউব প্রযুক্তি ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। এটি ১৮৯৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। সিআরটি দিয়ে তৈরি প্রথম বাণিজ্যিক টিভি ১৯৩৪ সালে জার্মানিতে বাজারে আসে। এই প্রযুক্তিতে একটি ভ্যাকুয়াম টিউবের এক প্রান্তে থাকা নেগেটিভলি চার্জড ইলেকট্রোড বা ক্যাথোডকে গরম করা হয়। এতে ইলেকট্রন নির্গত হয়, যা একটি রশ্মি আকারে ফসফরের আস্তর দেওয়া স্ক্রিনের দিকে ছুটে যায়। এই ডটগুলো ইলেকট্রন রশ্মির সংস্পর্শে এসে জ্বলে ওঠে, আর পর্দার ওপাশে আলোর বিন্দু তৈরি করে। প্রথম দিকের মডেলগুলোতে কেবল একটি ইলেকট্রন গান ছিল এবং সেগুলো সাদা-কালো ছবি তৈরি করতে পারত। পরের সংস্করণগুলোতে তিনটি ইলেকট্রন গান ব্যবহার করা হতো, যা লাল, নীল এবং সবুজ ডটগুলোকে উদ্দীপ্ত করে রঙিন ছবি তৈরি করত।
দশকের পর দশক ধরে, এই প্রযুক্তির কল্যাণেই বিশ্বজুড়ে পরিবারগুলো তাদের বসার ঘরে একসাথে প্রিয় টিভি শো উপভোগ করত। সিআরটি কম্পিউটার মনিটর হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে, রাডারের পর্দায় বিমানের গতিপথ দেখিয়েছে এবং ডাক্তারদের রোগীর শরীরের ভেতরের খুঁটিনাটি দেখতে সাহায্য করেছে। বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি সিআরটি তৈরি ও বিক্রি হয়েছে।
এরপর নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাজারে এলো ফ্ল্যাট-প্যানেল টিভি। ২০১০ সালের মধ্যে, এগুলো পুরোনো সিআরটি টিভির চেয়ে অনেক বড় স্ক্রিন দিতে শুরু করে, কিন্তু অনেক কম দামে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, এগুলো ওজনেও ছিল অনেক হালকা। খুব দ্রুতই পুরোনো সিআরটি টিভিগুলো আবর্জনার পাহাড়ে জমতে শুরু করল।
আজও, সিআরটি টিভির চাহিদা রয়েছে এক ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির কাছে, যারা এর অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোকে গুরুত্ব দেয়। কেউ কেউ এমনকি এখনকার টিভি শোগুলোও পুরোনো সিআরটি টিভিতে দেখতে পছন্দ করেন। এছাড়াও, এই বিশাল ডিভাইসগুলোর এখনও শিল্প ও সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার রয়েছে। আর ৮০ ও ৯০-এর দশকের ভিডিও গেম ভক্তরা বলেন, ওই গেমগুলো খেলার আসল মজাই হলো সিআরটি টিভিতে। এর ঝাপসা পিক্সেল আর গভীরতা ও অন্ধকারের মিশেলে থাকা গ্রাফিক্সের সাথেই সেইসব গেম তৈরি হয়েছিল।
কিছু গেমারদের জন্য পিভিএম হলো সেরা পুরস্কার, কারণ এর ছবির মান অনেক উন্নত এবং এতে বিভিন্ন ধরনের সংযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে পছন্দের কনসোলটি লাগিয়ে সহজেই অতীতে ফিরে যাওয়া যায়। এই অনুরাগীদের কাছে, একটি পুরোনো টিভির শক্তপোক্ত গড়ন বা এর উষ্ণ আভার সাথে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না।
বছর কয়েক আগে রিসাইক্লিং কোম্পানি বা টিভি স্টুডিওর ফেলে দেওয়া সরঞ্জাম থেকে এসব মনিটর (পিভিএম) জোগাড় করা যেত। কিন্তু সেটা ছিল এক দশক আগের কথা, যখন রেট্রো গেমারদের মধ্যে এর এত কদর ছিল না। ২০২৩ সাল নাগাদ এগুলো হয়ে ওঠে সোনার হরিণ। তাই ই-বে'তে একসাথে এতগুলো পিভিএমের বিজ্ঞাপন দেখে এক মুহূর্তও দেরি করেননি শান। হুট করে পরিচয় হওয়া এক অনলাইন বন্ধুর সাথে তিনি চার ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে যান মায়ামিতে, এক অজানা গুপ্তধনের সন্ধানে।
শানের ভাষায়, "দেখা হতেই আমাদের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেল। পুরো রাস্তা আমরা কার কাছে কোন টিভি আছে, কোনটা কার বেশি প্রিয়—এসব গল্প করতে করতেই কাটিয়ে দিলাম।"
মায়ামিতে পৌঁছে তারা একটি ট্রাক ভাড়া করে চলে যান শহরের এক শান্ত এলাকার গুদামঘরে। সেখানে বাতিল মেডিকেল যন্ত্রপাতির স্তূপ—ব্লাড প্রেশার মনিটর, টেস্টিং কিট—এসবের পেছনেই লুকানো ছিল সেই 'রত্ন'। মরিচা পড়া বাক্সে এক ডজনেরও বেশি পুরোনো পিভিএম! গুদামঘরের মালিকরা তো অবাক! "এত তাড়াতাড়ি আমাদের বিজ্ঞাপন খুঁজে পেলেন কী করে?"
শান আর তার নতুন বন্ধু তখন উত্তেজনায় ফুটছেন। শানের মনে হচ্ছিল, "আরে, এ তো দেখছি গুপ্তধন! এগুলো সত্যি!"
কোভিড লকডাউনের সময় থেকেই শান এই পুরোনো টিভির পেছনে সময় ও টাকা ঢালতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তার সংগ্রহে প্রায় ৪০-৫০টি সনি পিভিএম জমে যায়! তার ভাষায়, "এককথায় অবিশ্বাস্য কাণ্ড!" এখন তিনি এমনভাবে হিসাব কষে রেখেছেন যে, তার সংগ্রহে থাকা টিভিগুলো দিয়ে আজীবন চলে যাবে—একেবারে 'মৃত্যু পর্যন্ত'।
শান এই টিভিগুলোতে 'পোকেমন' খেলেন বা 'সাইনফেল্ড'-এর মতো পুরোনো শো দেখেন। তার এমন বন্ধুও আছেন, যারা আধুনিক সিনেমাগুলোও এই পুরোনো পর্দাতেই দেখতে ভালোবাসেন।
ভাবা যায়, দশ বছর আগে যে পিভিএম ৫০ ডলারে পাওয়া যেত, আজ তার দাম হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়! চাহিদার সাথে সাথে কারিগর আর রিসেলারদের ব্যবসাও জমে উঠেছে। কারণ পুরোনো টিভি কিনলেই তো হলো না, বেশিরভাগই থাকে অচল।
ভার্জিনিয়ার সিআরটি মেরামতকারী স্টিভ নাটার বলেন, "এই বছরই আমি প্রায় ৬৫টি অচল টিভিকে ಜೀವন্ত করে তুলেছি।" একটি টিভি সারিয়ে তুলতে তিনি প্রায় ৬০০ ডলার পর্যন্ত নেন। একটা সময় ছিল যখন এই টিভিগুলো আবর্জনায় ফেলে দেওয়া হতো, আর এখন এগুলোই হয়ে উঠেছে অমূল্য।
এই টিভিগুলো শুধু গেমারদের কাছেই জনপ্রিয় নয়। এদের বাক্স-আকৃতির গড়নের জন্য এগুলো দিয়ে 'ভিডিও ওয়াল' তৈরি করেন শিল্পীরা। এমনকি সামরিক যানের লক্ষ্য নির্ধারণ ব্যবস্থায় বা পাইলটদের হেলমেটেও আজও সিআরটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু আসল ভক্তরা এখানেই থামেন না। তারা টিভি মডিফাই করেন—ভেতরের যন্ত্রাংশে পরিবর্তন এনে ছবির মানকে করে তোলেন একেবারে আর্কেডের মতো ঝকঝকে। (বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং শুধুমাত্র দক্ষদেরই করা উচিত।)
'দ্য সিআরটি কালেক্টিভ' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের সদস্য সংখ্যাই ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। গ্রুপের মডারেটর বায়রন ম্যাকড্যানোল্ডের মতে, এই টিভির আকর্ষণ এর ছোট ছোট খুঁটিনাটিতে। তিনি বলেন, "বাটনে চাপ দিলে 'জ্যাপ, পপ' করে যে শব্দটা হয়, ওটাই একটা অনুভূতি!" তার মতে, এটা আসলে শৈশবকে নিখুঁতভাবে ফিরে পাওয়ার এক অভিযান।
ম্যাকড্যানোল্ডের মতে, ব্যাপারটা শুধু স্মৃতিচারণ নয়। "আমরা চাই শৈশবের সেই অনুভূতিটা আবার ফিরে আসুক, তবে এবার আরও নিখুঁতভাবে। এই পুরোনো প্রযুক্তির মধ্যে আমরা যেন এক অলীক স্বপ্নকে খুঁজে বেড়াই।" তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন যে, ডাস্টবিন থেকে তুলে আনা একটা পুরোনো টিভির কাছে নিখুঁত ছবির আশা করাটা হয়তো বাড়াবাড়ি।
যাদের কাছে পুরোনো গেম কনসোল আছে কিন্তু টিভি নতুন, তারা এক সমস্যায় পড়েন। আধুনিক ফ্ল্যাট স্ক্রিনে পুরোনো গেম চালালে ছবিটা কেমন যেন ঝাপসা আর টেনে লম্বা করা মনে হয়।
এই সমস্যার সমাধানও আছে। নাম তার 'আপস্কেলার'। এটি একটি ছোট্ট যন্ত্র, যা পুরোনো গেমের ছবিকে ঝকঝকে করে আধুনিক টিভিতে দেখানোর উপযোগী করে তোলে। এর চাহিদাও কিন্তু কম নয়। মাইক চি নামে একজন তো 'রেট্রোটিনক' ব্র্যান্ডের অধীনে হাজার হাজার এমন যন্ত্র বিক্রি করেছেন। তার বানানো যন্ত্রগুলো এতটাই উন্নত যে এগুলো পুরোনো টিভির মতো ঝিরঝিরে ভাব বা রঙের কিছুটা অস্পষ্টতাও ফুটিয়ে তুলতে পারে।
কিন্তু এতকিছুর পরেও, চি স্বীকার করেন, "ওই পুরোনো টিভির আসল আভাটা কিছুতেই ফেরানো যায় না।"
তবে এত ঝামেলারও দরকার নেই। যুক্তরাজ্যের বেলা রবার্টস নামে এক তরুণী মাত্র ২০ পাউন্ডে একটি পুরোনো টিভি কিনেছেন। তাতে অ্যামাজন ফায়ারস্টিক লাগিয়ে দিব্যি দেখছেন 'স্ট্রেঞ্জার থিংস'-এর মতো সিরিজ। তার এই ভিডিও টিকটকে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছে!
এরপর তিনি আরও একটি বড় সিআরটি টিভি আর একগাদা পুরোনো ভিএইচএস ক্যাসেট জোগাড় করেছেন। তার মতে, পুরোনো পর্দায় কার্টুন দেখার মজাই আলাদা। "ডিজনির কোনো ক্লাসিক কার্টুন ভিএইচএস ক্যাসেটে ছাড়লেই মনে হয়, শৈশবের সেই ঘরে ফিরে গেছি।"
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু সিজবিলস্কিও তার পুরোনো টিভিতে কার্টুন দেখতে ভালোবাসেন। তিনি মজা করে বলেন, পরিবার নিয়ে তিনি 'দ্য সিম্পসনস' দেখেন, "যেভাবে এটি দেখার কথা ছিল।"
ভিডিও গেমের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা এই অধ্যাপক বলেন, "মানুষ আসলে তার কৈশোরের স্মৃতিগুলোকেই বারবার ফিরে পেতে চায়।" তিনি আরও যোগ করেন, এই শখের মাধ্যমে সমমনা মানুষদের একটি সুন্দর কমিউনিটি গড়ে ওঠে, যা মানুষকে একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে আসে। তার মতে, যতক্ষণ না টিভি তুলতে গিয়ে কোমর ভাঙছে বা ভেতরের বিপজ্জনক যন্ত্রাংশে হাত লাগছে, ততক্ষণ এটি একটি নির্দোষ এবং ইতিবাচক শখ।
এই পুরোনো টিভির চেহারাটাই নতুন গেম ডেভেলপারদের অনুপ্রেরণা জোগায়। বিলি বাসোর 'অ্যানিমেল ওয়েল' গেমটির গ্রাফিক্স এমনভাবে তৈরি, যেন মনে হবে এটি কোনো সিআরটি পর্দায় চলছে। তিনি বলেন, "আমার অফিসে একটা সনি পিভিএম ছিল, ওটাই ছিল আমার অনুপ্রেরণা। এর চেহারাটা আমার দারুণ লাগে।"
অবশ্য ঝক্কিও কম নয়। শান যোশী নিজেই স্বীকার করেন, টিভিগুলো এত ভারী যে ট্রাক থেকে নামাতে গিয়ে ঘামে ভিজে গিয়েছিলেন।
কিন্তু এই কষ্টের চেয়েও বড় প্রাপ্তি হলো বন্ধুত্ব। যার সাথে টিভি ভাগাভাগি করতে গিয়েছিলেন, সেই অচেনা মানুষটিই এখন তার খুব ভালো বন্ধু। শান বলেন, "আমরা প্রতি সপ্তাহে কথা বলি।"
শান এবং তার মতো আরও অনেকের জন্য এই পুরোনো টিভি খোঁজার জগৎটা কেবল প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা নয়, এটি সমমনা মানুষের সাথে মেশার একটি সুযোগ। নিখুঁত একটি ছবির খোঁজে তারা একে অপরের সাথে জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।
শেষটায় শান যা বললেন, তা অবাক করার মতোই: "সত্যি বলতে, এই বন্ধুত্বটাই আসল। মনিটরগুলো এখন আর ততটা বড় ব্যাপার নয়। আমার কাছে যদি শুধু একটাও থাকত, তাতেই আমি খুশি থাকতাম।"
অনুবাদ : নাফিসা ইসলাম মেঘা
