১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ বিদেশিকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে প্রবেশে বাধা

গতকাল (২৪ জুলাই) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) টার্মিনাল ১ ও ২ থেকে মোট ১৯৮ জন বিদেশি নাগরিককে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এদের মধ্যে ১২৩ জনই ছিলেন বাংলাদেশি।
অভিবাসন সংক্রান্ত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়া—যেমন পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে না থাকা, আবাসনের জন্য হোটেল বুকিং না থাকা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে জানাতে না পারার কারণে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার সংবাদ সংস্থা বারনামার প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি (একেপিএস) মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জায়িন জানিয়েছেন, যাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের 'নট টু ল্যান্ড' (এনটিএল) প্রক্রিয়ার আওতায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলোকে নিজ খরচে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
শুহাইলি জানান, ওই ১৯৮ জন যাত্রীদের মধ্যে ১২৮ জনকে আটকানো হয় টার্মিনাল ১-এ। এদের মধ্যে ১২৩ জন ছিলেন বাংলাদেশি, ২ জন পাকিস্তানি, ২ জন ইন্দোনেশীয় এবং ১ জন সিরীয় নাগরিক।
অন্যদিকে, বাকি ৭০ জনকে আটকানো হয় টার্মিনাল ২-এ। তাদের মধ্যে ৫১ জন ছিলেন ইন্দোনেশীয়, ১৩ জন ভারতীয়, ৪ জন পাকিস্তানি এবং ২ জন ভিয়েতনামের নাগরিক।
শুহাইলি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে একেপিএস-এর কর্মকর্তাদের ছবি পাওয়া গেছে।
এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, একটি চক্র এসব ছবি ব্যবহার করে অন্যদের অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, 'ধারণা করা হচ্ছে, যাদের আগে ফেরত পাঠানো হয়েছিল তারাই এই ছবিগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, এসব চক্র এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন কৌশলে কাজ করছে।'
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসনের পথ হিসেবে মালয়েশিয়ার ব্যবহার বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।