২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদি আরবের ‘স্লিপিং প্রিন্স’ আল ওয়ালিদ বিন খালেদ

দুই দশকেরও বেশি সময় কোমায় থাকার পর ৩৬ বছর বয়সে মারা গেছেন সৌদি আরবের 'স্লিপিং প্রিন্স' খ্যাত প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল আল সৌদ। গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি রাজকীয় আদালত গতকাল (১৯ জুলাই) তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
১৯৯০ সালের এপ্রিলে জন্ম নেওয়া প্রিন্স আল ওয়ালিদ ছিলেন প্রিন্স খালেদ বিন তালাল আল সৌদের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালালের ভাগ্নে।
২০০৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে, লন্ডনে সামরিক ক্যাডেট হিসেবে অধ্যয়নকালে একটি গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। এতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রিন্স আল ওয়ালিদ আর কখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফিরে পাননি।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি কার্যত কোমায় ছিলেন। তবে অচেতন অবস্থায় মাঝে মাঝে তার দেহের বিভিন্ন অঙ্গের অনিচ্ছাকৃত নড়াচড়ার কিছু ভিডিও পরিবারের সদস্যরা শেয়ার করতেন, যা অনেকের মনে আশার জাগাতো।
তার বাবা প্রিন্স খালেদ সব সময় আল্লাহর ওপর ভরসা করেছেন এবং ছেলের লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক আবেগঘন পোস্টে প্রিন্স খালেদ লেখেন, 'গভীর দুঃখ ও বিষণ্ণতার সঙ্গে আমরা জানচ্ছি আল্লাহর ইচ্ছা ও আদেশে বিশ্বাসী হৃদয় এবং আমাদের প্রিয় পুত্র যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ আজ আমাদের মাঝ থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি, আল্লাহ তার ওপর রহম করুন।'
যুবরাজের মৃত্যুর খবর দ্রুত সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় শোক ও শ্রদ্ধার ঢল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় #প্রিন্স হ্যাশট্যাগটি ট্রেন্ডিংয়ে আছে। এর মাধ্যমে হাজারো মানুষ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং রাজপরিবারের বিশ্বাস ও ধৈর্যের প্রশংসা করেছে।