পেন্টাগনের ভিডিওতে দেখা গেল ইরানে ফেলা ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমার বিধ্বংসী ক্ষমতা
ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ব্যবহৃত শক্তিশালী 'বাংকার বাস্টার' বোমার কার্যক্ষমতা প্রকাশ্যে এনেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) পেন্টাগন এক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে দেখিয়েছে—কীভাবে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের 'জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর (এমওপি)' বা 'বাঙ্কার-বাস্টার' ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে এবং ভেতরে প্রবেশ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি এমওপি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে প্রচণ্ড ধূলিঝড় তোলে, এরপর লক্ষ্যবস্তুর ভেতর একটি শ্যাফটে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একপ্রকার আগুনের কুণ্ডলী তৈরি করে।

ইরানে এই বোমা ফেলা বিমানের পাইলটদের ভাষ্যমতে, বিস্ফোরণের উজ্জ্বলতা ছিল নজিরবিহীন। তারা বলেন, 'এই বিস্ফোরণ ছিল আমাদের দেখা সবচেয়ে উজ্জ্বল বিস্ফোরণ। রাত যেন দিনে পরিণত হয়েছিল।'
পেন্টাগনের সংবাদ ব্রিফিংয়ে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান কেইন জানান, 'এটি সাধারণ কোনো বোমা নয়। আপনি এর বিস্ফোরণের পরে মাটির ওপর কোনো গর্ত বা ক্ষতচিহ্ন দেখবেন না, কারণ এটি মাটির অনেক গভীরে ঢুকে তারপর বিস্ফোরিত হয়।'

তিনি বলেন, ফোরদো ইউরেনিয়াম প্ল্যান্টের প্রতিটি ভেন্টে ছয়টি করে বোমা পাঠানো হয়েছিল, এবং সবগুলোই নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
জেনারেল ড্যান কেইন আরও বলেন, 'একটি বোমা সাধারণত তিনভাবে ক্ষতি করে: বিস্ফোরণের ধাক্কা (ব্লাস্ট), ছিটকে পড়া ধাতব টুকরো, আর অতিরিক্ত চাপ।'
'এই অভিযানে [ইরান] মূল ক্ষতি হয়েছে বিস্ফোরণ ও অতিরিক্ত চাপের মাধ্যমে, যা টানেল ভেদ করে ভেতরের যন্ত্রপাতি ধ্বংস করেছে', যোগ করেন তিনি।
