ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা সরাসরি ভোক্তা ব্যয়, বিনিয়োগ জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ (কংগ্রেস) এ সাক্ষ্য দেবেন। তাঁর শুনানির সময়, মধ্যপ্রাচ্য সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার ইতোমধ্যেই মন্থর হয়ে পড়েছে, অর্থাৎ নতুন চাকরি তৈরির গতি কমেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাত মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এই অস্থিরতা কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা জানতে বিশ্লেষকরা নজর রাখছেন ফেডারেল রিজার্ভ বা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত অবস্থানের দিকে। সেদিক থেকে কংগ্রেসে পাওয়েলের বক্তব্য হতে চলেছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে গৃহস্থালি ব্যয় কমারও আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্যবসাগুলোও হয়তো একই পথে হাঁটবে তখন।
ইরানের হামলার পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানি মূল্য অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে ৮০ - ১০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
মর্গান স্ট্যানলির আর্থিক বিশ্লেষক অ্যালেন ঝেন্টনার মনে করছেন, তেলের দাম বাড়লে ভোক্তাপণ্যের দাম বাড়ায়— গৃহস্থালী খরচ কমবে। যা যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।