‘পৃথিবী খুবই শান্ত দেখাচ্ছিল’: মহাকাশ ভ্রমণের পর ফিরলেন মার্কিন পপতারকা কেটি পেরিসহ ৬ নারী

মহাকাশ ভ্রমণের পর পৃথিবীতে ফিরেছেন মার্কিন পপতারকা কেটি পেরিসহ ছয় নারী। এই ভ্রমণে তারা অসাধারণ কিছু মুহূর্ত ও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন।
মহাশূন্য ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফেরার পর সেই অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন এই ছয় মহাকাশচারী। এক প্রতিবেদনে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান ফ্লিন বলেছেন, এই ভ্রমণে তিনি যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তা বর্ণনা করার ভাষা তার জানা নেই। মহাকাশে অবস্থান আর এত বিশাল অন্ধকার দেখা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
সাংবাদিক ও জেফ বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ বলেছেন, (মহাকাশ থেকে) 'পৃথিবী খুবই শান্ত দেখাচ্ছিল।'
তিনি বলেন, 'আমি এটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না...আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম এবং চাঁদ দেখতে পেলাম। পৃথিবী খুব শান্ত দেখাচ্ছিল। এটা শান্ত ছিল, কিন্তু সত্যিই জীবন্ত। এমনটা দেখব আশাও করিনি।'
১১ মিনিটের এই ভ্রমণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন গায়িকা কেটি বিবিসিকে বলেন, তিনি তার মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে গান রেকর্ড করবেন।
তিনি বলেন, 'সর্বোচ্চ উচ্চতা। এটি অজানার কাছে একটি আত্মসমর্পণ। সত্যিই অভিজ্ঞতাটি ছিল অসাধারণ।'
এই গায়িকা আরও জানান, ক্যাপসুলে থাকাকালীন তিনি পপতারকা লুই আর্মস্ট্রংয়ের 'হোয়াট আ ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড' গানটি গাইবেন বলে ঠিক করেছেন।
এই যাত্রায় তাদের সঙ্গে ছিলেন নাসার সাবেক রকেটবিজ্ঞানী আইশা বোয়ে। তিনি বললেন, ''পৃথিবী ওপর থেকে অনেক 'সুন্দর'। কোনো সীমানা নেই, কোনো সীমানা নেই, কেবল আছে পৃথিবী।''
আইশা বোয়ে যখন মহাশূন্যের পথে যাত্রা করেন, তখন মাটিতে দাঁড়িয়ে তার ৯২ বছর বয়সি দাদু তার জন্য দুঃশ্চিন্তা করছিলেন।
সিবিএসের উপস্থাপক গেইল কিং বললেন, তার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে তিনি একজন মহাকাশচারী।
তিনি বলেন, ''ওখানে (মহাকাশে) উঠলে অদ্ভুত রকম শান্ত লাগে। চারপাশ নীরব আর শান্ত। নিচে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে মনে হয়, 'ওটাই তো সেই জায়গা, যেখান থেকে আমরা এসেছি'।''
মানবাধিকারকর্মী আমান্ডা নুয়েন বলেন, যারা তার এই ভ্রমণকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।
এর আগে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিলিওনিয়ার জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি করা দ্য নিউ শেফার্ড রকেটে মহাকাশ যাত্রা করেন এই ছয় নারী।
ভ্রমণ শুরুর আগে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাকাশযানটি ক্রুদের নিয়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উচ্চতায় পৌঁছাবে। সেখানে মহাকাশচারীরা কয়েক মুহূর্তের জন্য ওজনশূন্যতার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন। এছাড়া ক্যাপসুলের বড় জানালা দিয়ে পৃথিবীর দৃশ্যও উপভোগ করতে পারবেন তারা।