গাজায় যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩,১১৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে

চলমান যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত ৩,১১৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে। ফিলিস্তিনের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে একই সময়ে ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে ২৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যার ফলে উপত্যকাটির প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী স্কুলের বাইরে রয়েছে।
ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্যমতে, প্রায় ৭০ টি সরকারি ও ইউএনআরডব্লিউএ এর ১৪৫ টি স্কুল এখন বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট ১৩০ জন শিক্ষক ও স্কুল কর্মচারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪,৬১৩ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে গাজার ২৩৯ টি সরকারি স্কুলে হামলা করেছে ইসরায়েল। এরমধ্যে ৪৫ টি স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে।
আর গাজার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যকেন্দ্র– আল শিফা হাসপাতাল গত ৯ নভেম্বর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ। একইসঙ্গে, করা হয়েছে গোলাবর্ষণ। এতে করে বেশকিছু চিকিৎসক ও আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক নাগরিক হাসপাতাল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই আল-শিফার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গত শুক্রবার হাসপাতালটি অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে দুই শিশুসহ লাইফ সাপোর্টে রাখা অন্তত ৭ রোগী মারা গেছে। বিদ্যুতের অভাবে ভেন্টিলেটর ও ইনকিউবেটর কাজ না করায় নবজাতক শিশু দুটি মারা যায়।
গতকাল (রোববার) সকালে গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডা. মুনির আল-বোর্শ সাংবাদিকদের জানান, অন্তত ৪০ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে বাইরে যাচ্ছিল, এসময় নিকটবর্তী সড়কে অবস্থান করা ইসরায়েলি ট্যাংক তাদের লক্ষ্য করে গোলা ছোঁড়ে। এতে প্রায় সকলেই তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হন। মৃতদেহগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে আছে। কাছাকাছি থাকা অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা লাশগুলো সরাতে পারেননি, কারণ যেই সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তার দিকে গুলি ছুঁড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মহাপরিচালক জানান, শনিবার রাতভর আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের পানির কূপগুলোতে বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে রোববার দিনের শুরুতে সচল ছিল মাত্র একটি পাম্প। যেখান থেকে প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১২ কাপ পানি পাওয়া যাচ্ছে হাসপাতালে অবরুদ্ধ থাকা ১৫ হাজার মানুষের জন্য।