Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 19, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 19, 2025
আদানি বিতর্ক: হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে নাম থাকা সেই সাংবাদিক মুখ খুললেন

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
08 February, 2023, 09:20 pm
Last modified: 13 February, 2023, 05:51 pm

Related News

  • এস আলমের আরও ২০০ একর জমি জব্দের আদেশ
  • চট্টগ্রামে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে গেস্টহাউসে তল্লাশির ভিডিও ভাইরাল, আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
  • ফ্রেডরিক ফোরসাইথ: ছিলেন থ্রিলার লেখক, ফাইটার পাইলট, সাংবাদিক ও গুপ্তচরও
  • লস অ্যাঞ্জেলেস বিক্ষোভের লাইভ চলাকালে রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক
  • ৮ দিনের রিমান্ড শেষে ‘সেভেন স্টার’ চক্রের প্রধান সুব্রত বাইন কারাগারে

আদানি বিতর্ক: হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে নাম থাকা সেই সাংবাদিক মুখ খুললেন

ইতোপূর্বে গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি আদালত আদানি গ্রুপের স্বার্থহানি হয় এমন কোনো বিষয়ে বলতে বা লিখতে পরাণজয় গুহ ঠাকুরতার ওপর নিষেধাজ্ঞা বা ‘গ্যাগ অর্ডার’ দেন। ওই নিষেধাজ্ঞার আড়াই বছর পর ভারতীয় গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে নীরবতা ভেঙেছেন তিনি।
টিবিএস ডেস্ক
08 February, 2023, 09:20 pm
Last modified: 13 February, 2023, 05:51 pm
(বাম থেকে) পরাণজয় গুহ ঠাকুরতা ও গৌতম আদানি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা ও শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ধস নেমেছে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্যে। এ ঘটনায়, ভারতে কর্পোরেট সুশাসনের শিথিলতার বিষয়টিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি হলেন ভারতীয় সাংবাদিক পরাণজয় গুহ ঠাকুরতা। ইতোপূর্বে গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি আদালত আদানি গ্রুপের স্বার্থহানি হয় এমন কোনো বিষয়ে বলতে বা লিখতে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা বা 'গ্যাগ অর্ডার' দেন। ওই নিষেধাজ্ঞার আড়াই বছর পর ভারতীয় গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে নীরবতা ভেঙেছেন তিনি।

গুহ ঠাকুরতা গণমাধ্যমটিকে বলেন, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আনুমানিক কোনো কথা বলতে চান না তিনি। তবে টেলিগ্রাফ বাস্তব বিষয়ের ওপর তাকে যেসব প্রশ্ন করেছে, তিনি শুধু সেগুলোর উত্তরই দেবেন।

'আমি আদালতকে অমান্য করতে চাই না। আমি শুধু আপনাদের বাস্তবতা সম্পর্কে বলতে পারি'- রোববার এমনটাই সংবাদপত্রটিকে বলেন তিনি। তার সাথে টেলিগ্রাফ প্রতিবেদকের আলাপের সংকলিত অংশ এখানে তুলে ধরা হলো:

টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া: কেন আপনি আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিষয়ে আগ্রহী হন?

গুহ ঠাকুরতা: আমি বাণিজ্যিক খাত ও অর্থনীতি নিয়ে লেখি, এজন্য আদানি গ্রুপ নিয়েও লেখা শুরু করি। সাংবাদিকতায় আমার আগ্রহের জায়গা হলো– রাজনৈতিক অর্থনীতি… ৪৫ বছর ধরে এমন সাংবাদিকতা করতে করতে আজ আমার বয়স ৬৭ বছর।

তাছাড়া, আদানি গ্রুপের উত্থান সত্যি বলতে ছিল বিস্ময়কর। আজ থেকে ২০ বছর আগেও মানুষ আদানি গ্রুপের কথা কখনো শোনেনি। অথচ মাত্র ১০ দিন আগেও তিনি (গৌতম আদানি) ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ এবং এশিয়ার পয়লা নম্বর ধনী। কিন্তু, তার বাজার নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য ধসে তিনি সে আসন হারিয়েছেন। তাই বলা যায়, আদানি গ্রুপের উত্থান যদি বিস্ময়কর হয়, এই পতন হয়েছে তার চেয়েও বিস্ময়কর। গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের আগে আমিসহ খুব কম মানুষই ভাবতে পেরেছিলেন যে, আদানি গ্রুপের আরো উত্থান হবে না।

প্রশ্ন: কী কারণে ভারতের অন্যান্য বাণিজ্যিক সংস্থা থেকে আলাদা আদানি গ্রুপ?

গুহ: ভারতীয় অর্থনীতির বহু খাত ও অংশের ওপর আদানি গ্রুপ যেভাবে আদানি গ্রুপ আধিপত্য করে তা সত্যিই অসামান্য। তারা ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্দর পরিচালনাকারী। ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে তারা ডজনখানেক বন্দর পরিচালনা করে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবট পয়েন্ট এবং ইসরায়েলের হাইফা বন্দর পরিচালনার ভারও তাদের হাতে।

বেসরকারিখাতের অন্যতম বৃহৎ বিমানবন্দর পরিচালনাকারী আদানি গোষ্ঠী। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোল ইন্ডিয়ার পর তারাই দ্বিতীয় বৃহৎ কয়লা খনি পরিচালনাকারী; ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াতেও তাদের খনি কার্যক্রম রয়েছে। আদানি ভারতের সর্ববৃহৎ কয়লা আমদানিকারক, এবং রাষ্ট্রায়ত্ত এনটিপিসির পর দ্বিতীয় বৃহৎ কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদক। ১৫ বছর আগে আদানি গ্রুপ ছিল হিরে ছাঁটাই ও পলিস ব্যবসায় সবচেয়ে বড় মধ্যসত্ত্ব সংস্থা। এই ব্যবসা তারা অন্যত্র নিতে থাকে, এদের মধ্যে ছিল যতিন মেহতার উইনসম ডায়মন্ডস। তিনি হলেন বিনোদ আদানির মেয়ের শ্বশুর (বিনোদ গৌতম আদানির ভাই)। যতিন এখন দেশের বাইরে বসবাস করেন। আর উইনসাম ডায়মন্ডস হলো তাদের অন্যতম বৃহৎ নন-পারফর্মিং সম্পদ।

প্রশ্ন: আদানি গ্রুপ নিয়ে প্রথম কবে লিখেছিলেন?

গুহ: ইতোমধ্যে প্রকাশিত এমন সব তথ্যউপাত্ত দিয়েই ২০১৫ সালে আমার প্রথম নিবন্ধটি তৈরি করি। তবে প্রথম স্বতন্ত্র নিবন্ধটি ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত হয়। তখন আমি ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলির (ইপিডব্লিউ) সম্পাদক ছিলাম।

আদানি গ্রুপের হিরে ব্যবসার মুনাফা অন্যায্যভাবে ব্যবহারের অভিযোগ, বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়ে আমি ইপিডব্লিউ'তে বেশকিছু নিবন্ধ লিখেছি। ইপিডব্লিউ'তে আমার লেখা শেষ নিবন্ধটি ছিল ২০১৭ সালের জুনের, এতে ছিল- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিধিমালায় আনা পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা।

কাস্টমস শুল্ক দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রথমে তা যাচাই না করেই কীভাবে সরকার – অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় – ৫০০ কোটি টাকার কাস্টমস শুল্ক রিফান্ডের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রেখেছিল আমি সেটা নিয়ে কথা বলেছি। এটা পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়েছিল।

প্রশ্ন: আপনি এর পরপরই ইপিডব্লিউ থেকে সরে দাঁড়ান?

গুহ: যেমনটা জানেন, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ইপিডব্লিউর ট্রাস্টিবোর্ড যখন বলল, আমার স্বনামে আর্টিকেল লেখা উচিত হবে না কারণ এমনটাই করেছিলেন আমার আগের জনেরা, তখন আমি পদত্যাগ করি। আমাকে জানানো হয়, তারা একজন কো-এডিটর নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছিল; তারা মনে করেছিল আমি একটি সম্মানজনক প্রকাশনার চরিত্রে আঘাত হেনেছি। আমাকে জানান হলো, আর্টিকেলটির প্রকাশক, প্রিন্টার, লেখক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে পাঠানো আইনি নোটিশের প্রত্যুত্তরে আমি ল-ইয়ার প্রো বোনো ব্যবহার করে বিরাট একটি অন্যায় করে ফেলেছি। শেষ পর্যন্ত আমাকে বলা হয়েছিল আর্টিকেলটি সরিয়ে নিতে এবং না সরানো পর্যন্ত কক্ষ থেকে বের না হতে। আমি এক সহকর্মীকে ফোন করি, আর্টিকেলটা সরিয়ে নিই, একটা কাগজ নিয়ে আমার পদত্যাগপত্র লিখি।

প্রশ্ন: কিন্তু আপনি আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে লেখা চালিয়ে যান?

গুহ: ইপিডব্লিউর সরিয়ে নেওয়া আর্টিকেলটি দ্য ওয়্যার (নিউজ পোর্টাল) প্রকাশ করে। অনেকে আমাকে সমর্থন জানাতে এগিয়ে এসেছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন ও বিখ্যাত স্কলার নোম চমস্কি। এরপর থেকে মোটা দাগে আদানি গ্রুপ নিয়ে লেখা আমার অনেক আর্টিকেল বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে, বিশেষ করে নিউজক্লিক-এ। ২০১৮ সালের মে মাসে আমি নিউজক্লিক-এর একজন উপদেষ্টা হই।

প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে একটা গ্যাগ অর্ডার রয়েছে, তা-ই না?

গুহ: আমি ভারতের একমাত্র নাগরিক, যার বিরুদ্ধে গৌতম আদানির পরিচালিত কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবীরা ছয়টি মানহানির মামলা পরিচালনা করেছেন যেগুলো বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

এর মধ্যে দুটো মামলা গুজরাটের মুন্দ্রার প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে, দুটো গুজরাটের আহমেদাবাদের আদালতে, একটি রাজস্থানের বারান জেলায়, এবং একটি দিল্লিতে।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, আহমেদাবাদের একাধিক আদালত আমার, আমার সহলেখক আবির দাশগুপ্ত, এবং প্রবীর পুরকায়স্থের পরিচালিত নিউজক্লিক-এর বিরুদ্ধে একটি গ্যাগ অর্ডার জারি করেন। এ গ্যাগ অর্ডার অনুযায়ী, গৌতম আদানি ও তার প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন কিছু আমরা বলতে বা লিখতে পারব না।

একটা আর্টিকেলকে মানহানিকর হিসেবে বিবেচনা করা হয় — ওই আর্টিকেলের আধেয়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। হেডলাইনকে মানহানিকর হিসেবে ধরা হয়েছিল… তিনটি আর্টিকেলের সিরিজের এটা ছিল শেষ আর্টিকেলটা।

আমার, আমার সহকর্মী, ও নিউজক্লিক-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আমরা জনগণের চোখে বিচারকদের মর্যাদা ক্ষণ্ণ করেছি। ওই মামলাটি এখন বিচারাধীন আছে এবং এ বিষয়ে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।

রাজস্থানের মামলাটিতে সম্প্রতি আমাদের কয়েকজন জামিনের বন্ড ও বন্ডের জন্য জামানত প্রদানের জন্য বারান জেলার গ্রামীণ ন্যায়ালয়ে বিচারকের সামনে উপস্থিত হয়েছিলাম।

ইপিডব্লিউর সরিয়ে নেওয়া আর্টিকেলটি আদানি গ্রুপ মানহানির অভিযোগ তুলে চ্যালেঞ্জ করে। দ্য ওয়্যার-এর পরিচালনাকারী সত্তা, আমার সহলেখকবৃন্দ ও আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ মামলাগুলো ভুজের একটি সিভিল কোর্ট এবং মুন্দ্রার একটি ক্রিমিনাল কোর্টে যায়। কিন্তু এখন দুটো মামলাই মুন্দ্রার আদালতে রয়েছে।

প্রশ্ন: আপনাকে গ্রেপ্তারের কোনো প্রচেষ্টা হয়েছিল, যেমনটা হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে? আপনি কি কারাভোগ করেছিলেন?

গুহ: ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে মহামারির সময় মুন্দ্রার একজন প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে একটি জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আমার আইনজীবী এটিকে ব্যাড ইন ল (অস্পষ্ট আইনি ব্যাখ্যা) হিসেবে দাবি করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের অভিমতের কথা উল্লেখ করেন। সুপ্রিম কোর্টের অভিমত অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে, তার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করা যায়। তারপরও ওই ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত না হলে, তখন আদালত একটি জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। ইপিডব্লিউ থেকে সরিয়ে ফেলা ও পরে দ্য ওয়্যার-এ প্রকাশিত আর্টিকেলে সঙ্গে এ মামলাটির যোগসূত্র পাওয়া যায়।

২০১৯ সালের মে মাসে, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে, আদানি গ্রুপ দ্য ওয়্যার, ও আমার তিন সহলেখকের ওপর থেকে সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। কেবল আমার বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে থাকে। আপনার প্রশ্নের জবাব হলো, আমি কখনো গ্রেপ্তার হইনি।

প্রশ্ন: আপনি কি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ-এর সঙ্গে একত্রে কাজ করেছেন?

গুহ: রিপোর্ট প্রকাশের আগে আমি এটার কথা কখনো শুনিওনি। যাহোক, ৩২,০০০ শব্দের ওই রিপোর্টটি যদি বই হিসেবে প্রকাশ করা হয়, তাহলে প্রায় ১৫০ পৃষ্ঠা হবে। এ রিপোর্টে আমার এবং আবির দাশগুপ্তদের মতো স্বাধীন সাংবাদিক — যাদের সঙ্গে আমি একত্রে কাজ করেছি — তাদের অনেক লেখার একাধিক তথ্যসূত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা খুব সম্ভবত সেসব লেখা পেয়েছেন, যেগুলো পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে।

প্রশ্ন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্স রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর এখন কি আপনার মনে হয়, আপনি সঠিক ছিলেন?

গুহ: হ্যাঁ, আমার তা মনে হয়।

প্রশ্ন: আপনি কি গৌতম আদানির সঙ্গে কখনো সাক্ষাৎ করেছেন?

গুহ: আদানির সঙ্গে গৌতম আদানির দুবার দেখা হয় — ২০১৭ সালের মে মাসে মুম্বাইয়ে এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

অতি সম্প্রতি তার সঙ্গে আমারা টেলিফোনে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে।

কিন্তু প্রতিবারই আমি তার সঙ্গে অব দ্য রেকর্ডের শর্তে দেখা করেছি। আমি ওসব আলাপ রেকর্ড করিনি। টেলিফোন কল ছাড়া আর প্রতিটি আলাপেই আমার সঙ্গে অন্য মানুষজন ছিলেন।

২০১৭ সালে আমার সঙ্গে সাবেক একজন সহকর্মী ছিলেন এবং ২০২১ সালে কক্ষের ভেতর গৌতম আদানি ও তার স্ত্রীসহ আমরা মোট পাঁচজন ছিলাম। প্রথম সাক্ষাৎ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হয়েছিল আর দ্বিতীয়টি এক ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ছিল।

ফোনে আমরা ১৫ মিনিটের মতো কথা বলেছি।

প্রশ্ন: আপনি কি নিজে থেকে যোগাযোগ করেছিলেন?

গুহ: প্রথম সাক্ষাৎকারটি আমি বলার পর হয়। দ্বিতীয়টি আমার আইনজীবী আনন্দ ইয়াগনিক ব্যবস্থা করেছিলেন। তার আশা ছিল আদালতের বাইরে কোনো একটা সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। শেষ ফোনকলটি আমি করেছিলাম মামলাগুলো তুলে নেওয়ার অনুরোধ করতে।

প্রশ্ন: তিনি কী বলেছিলেন?

গুহ: তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।

প্রশ্ন: আপনি তো বড় বড় কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনেকগুলো আর্টিকেল লিখেছেন। এর আগে কখনো আদালতের মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন?

গুহ: অনেক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল কিন্তু কেউই আসলে আমাকে কখনো আদালত পর্যন্ত নেয়নি। আম্বানি ভ্রাতৃদ্বয়ের পরিচালিত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবীরা আমাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। সাহারা'র সুব্রত রায়ও আমাকে কখনো আদালতে নেননি।

প্রশ্ন: এ মামলাগুলো কারণে আপনার ওপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অবশ্যই?

গুহ: হ্যাঁ। আমার ও আমার জীবনের ওপর এসব মামলার প্রভাব পড়েছে। এগুলোতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। কিন্তু আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন আমি অন্যভাবে কিছু করতাম কিনা, আমি বলব 'না'।

Related Topics

টপ নিউজ

আদানি / পরাণজয় গুহ ঠাকুরতা / সাংবাদিক / আদানি গ্রুপ / আদালত / হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • জার্মানিতে ৩৩ মিলিয়ন ইউরো ঋণ খেলাপি বেক্সিমকো; চেক প্রজাতন্ত্রে দেশবন্ধুকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত
  • ইসরায়েলের প্রতি কোনো দয়া দেখাব না, 'যুদ্ধ শুরু হলো': ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির বার্তা
  • সিআইএ-এর গোপন ঘাঁটি ছিল এ রানওয়ে; পরিচিত ছিল বিশ্বের ‘সবচেয়ে গোপন স্থান’ হিসেবে
  • টানা ব্যবহারে ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরোধকারী ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার
  • কেন অধিকাংশ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লাল লিপস্টিক পরেন?
  • খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ১৭ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১.৭৭ লাখ কোটি টাকা

Related News

  • এস আলমের আরও ২০০ একর জমি জব্দের আদেশ
  • চট্টগ্রামে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে গেস্টহাউসে তল্লাশির ভিডিও ভাইরাল, আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
  • ফ্রেডরিক ফোরসাইথ: ছিলেন থ্রিলার লেখক, ফাইটার পাইলট, সাংবাদিক ও গুপ্তচরও
  • লস অ্যাঞ্জেলেস বিক্ষোভের লাইভ চলাকালে রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক
  • ৮ দিনের রিমান্ড শেষে ‘সেভেন স্টার’ চক্রের প্রধান সুব্রত বাইন কারাগারে

Most Read

1
অর্থনীতি

জার্মানিতে ৩৩ মিলিয়ন ইউরো ঋণ খেলাপি বেক্সিমকো; চেক প্রজাতন্ত্রে দেশবন্ধুকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত

2
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের প্রতি কোনো দয়া দেখাব না, 'যুদ্ধ শুরু হলো': ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির বার্তা

3
আন্তর্জাতিক

সিআইএ-এর গোপন ঘাঁটি ছিল এ রানওয়ে; পরিচিত ছিল বিশ্বের ‘সবচেয়ে গোপন স্থান’ হিসেবে

4
আন্তর্জাতিক

টানা ব্যবহারে ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরোধকারী ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার

5
আন্তর্জাতিক

কেন অধিকাংশ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লাল লিপস্টিক পরেন?

6
অর্থনীতি

খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ১৭ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১.৭৭ লাখ কোটি টাকা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net