ইউনেস্কোর ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প
বাংলাদেশের শতাব্দীপ্রাচীন টাঙ্গাইল শাড়ি বয়নশিল্প ইউনেসকোর 'অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের' (ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ) তালিকায় স্থান পেয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লিতে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কো তাদের ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়, যা এই কনভেনশনের অধীনে বাংলাদেশের জন্য ষষ্ঠ স্বীকৃতি।
দীর্ঘদিন ধরে বাঙালির নন্দনচর্চা, ঐতিহ্য ও সামাজিক বুননে বিশেষ স্থান দখল করে থাকা টাঙ্গাইলের শাড়ি তার সূক্ষ্ম, দীপ্তিময় নকশা ও অপূর্ব কারুকাজের জন্য বিশ্বে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে বলা হয়েছে, এই অর্জনকে আমরা বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করছি। আমাদের তাঁতিদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লালিত কারিগরি দক্ষতার ফসল হিসেবে এ শিল্প আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেল।
সরকার জানিয়েছে, এ অর্জন দেশের সব তাঁতি ও বাংলাদেশের নারীদের প্রতি নিবেদিত—যাদের পরিশ্রম, রুচি ও সাংস্কৃতিক চর্চা টাঙ্গাইলের শাড়িকে দেশ-বিদেশে এক অনন্য ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে।
ইউনেস্কোর এ স্বীকৃতি শুধু জাতীয় গৌরবই বাড়ায় না, বরং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার চলমান প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করে। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে যে তাঁতশিল্প টিকে আছে, তা আজকের এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে নতুন করে মূল্যায়িত হলো। এটি টাঙ্গাইলের তাঁতিদের নিষ্ঠা, কারিগরি উৎকর্ষ এবং ঐতিহ্য ধরে রাখার সংগ্রামের প্রতি এক বিরাট সম্মান।
