আগামীকাল আসছে না খালেদা জিয়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, অবতরণের আবেদন প্রত্যাহার
চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় আসছে না।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পূর্বে অনুমোদিত সময়সূচি বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির অপারেটর সংস্থা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আগামীকাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি না আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) নিশ্চিত করেছে যে, জার্মানিভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ একটি স্থানীয় সমন্বয়কারী সংস্থার মাধ্যমে তাদের আগের সময়সূচি বাতিলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বেবিচকের একজন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা অবতরণ বাতিলের অনুরোধটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।'
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপারেটর ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সংশোধিত সময়সূচি বা নতুন কোনো এয়ারক্রাফটের আবেদন জমা দেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
গতকাল (৭ ডিসেম্বর) অপারেটরের জমা দেওয়া প্রাথমিক আবেদনের প্রেক্ষিতে বেবিচক আগামীকাল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে বিমানটি অবতরণ এবং একইদিন রাত ৯টার দিকে উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছিল।
গতকালই বেবিচকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের মূল্যায়ন ও প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে এই সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে।
কাতার সরকার চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যবস্থা করেছে। দীর্ঘ যাত্রা পথের জন্য উপযুক্ত একটি বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ থেকে এটি চার্টার (ভাড়া) করা হয়।
এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি বিমান পরিষেবায় বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান। তারা এই মিশনের জন্য একটি 'বম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪' (সিএলসিক্সটি) মডেলের বিমান নির্ধারণ করেছিল।
আন্তঃমহাদেশীয় চিকিৎসাজনিত স্থানান্তরের জন্য চ্যালেঞ্জার ৬০৪ মডেলটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সক্ষম, পরিচালনাগতভাবে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং এতে উন্নত সিসিইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার সুবিধা সংযুক্ত করার সক্ষমতা রয়েছে।
