১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করবে বিএনপি, কীভাবে করা হবে চূড়ান্ত করা হয়েছে: ফখরুল
আমাদের ছেলেরা অনুভব করে-পাশ করে চাকরি নেই। এই ১৫ বছরে তো চাকরি পাওয়াই যায়নি। সব জায়গা ভরাট ছিল আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
'কিন্তু নতুন বাংলাদেশে আমরা কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করব?' তিনি নিজেই এমন প্রশ্ন করে উত্তরে বলেন, ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। শুধু চাকরি নয়—ব্যবসা, কৃষিকাজ, শ্রম—সব মিলিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এবং কিভাবে করা হবে—তা তারা ইতোমধ্যে চূড়ান্তও করেছেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সাত দিনব্যাপী 'বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা' শীর্ষক এ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
গণতন্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, "গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, মিডিয়ার স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা— সবই জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। আজকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিও তিনি নির্মাণ করেছিলেন। প্রবাসী শ্রমিক রেমিট্যান্সের পথ তিনিই খুলেছিলেন।"
এদিকে দেশে বিভাজনের পথ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'আজ বাংলাদেশে ধর্মের নামে বিভাজনের পথ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। আমরা ধর্মবিশ্বাসী মানুষ হলেও ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বা সমাজকে বিভাজন করি না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, ২৪শের জুলাই গোটা বাংলাদেশের মানুষের মন-মানসিকতায় এবং তরুণ সমাজের মন-মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এখন সবাই পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন সর্বক্ষেত্রে চায়— রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে চায়, আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে চায়। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। এই চিন্তাটি সকলের মধ্যে এসেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে তার দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার নতুন করে গড়ে তোলা-দেশকে গড়ে তোলা-এই চিন্তা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে আলোড়িত করেছে।
তবে "আমরা কেউই খুব আনন্দিত থাকতে পারছি না— আমরা ভারাক্রান্ত" বলে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমাদের নেত্রী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজে মনিটর করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা করছেন। সারাদেশের মানুষ তার জন্য দোয়া করছে। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ নিশ্চয়ই এত মানুষের দোয়া কবুল করবেন।"
