আমরা ‘কর সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চাই: সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেছেন, ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও উৎস করের (টিডিএস) চাপ থেকে মুক্তি চায়।
নাসিম মঞ্জুর বলেন, এআইটি ও টিডিএস হচ্ছে ট্যাক্স টেরোরিজম (কর সন্ত্রাস)। এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা লাভ করি বা লোকসান করি, সব অবস্থাতেই আমরা ট্যাক্স দিয়ে যাচ্ছি। এমনও হয়েছে যে লোকসান করেছি বেশি, আবার ট্যাক্সও বেশি দিয়েছি। এখান থেকে আমরা মুক্তি চাই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। এতে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাতের অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্পউদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে অংশ নিয়ে নাসিম মঞ্জুর বলেন, 'এনবিআর বিভিন্ন সংস্কার ইতোমধ্যে করেছে। তাতে বন্ড অটোমেশন হয়েছে ও এইচএস কোডের যে টেররিজম ছিল সেখানে থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এখন এআইটি ও টিডিএসের টেররিজম থেকে মুক্তি চাই।'
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, 'বাংলাদেশে শুধু ব্যবসায়ীরা বিত্তবান হয়েছে, নাকি আমলারাও হয়েছেন- এই কথাটা বলা হয় না। যে টাকাগুলো পাচার করা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচার করেছে আমলারা। আমরা ব্যবসায়ীরা এ দায় নিতে চাই না। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা টাকা চুরি করেন, গ্যাস চুরি করেন- তাদের ধরেন, আইনের আওতায় আনেন। ওনাদের দায় যেন আমাদের উপরে না আসে।'
সুদ হার নিয়ে গভর্নরের উদ্দেশ্যে নাসিম মঞ্জুর বলেন, আপনার কাছে একটা বিনীত নিবেদন, ব্যবসায়ীরা এই সুদ হার আর সইতে পারছে না। এটা বহন করা আমাদের জন্য অসম্ভব বিষয় হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এতে বিশেষ করে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো দেশ- ভিয়েতনাম ও ভারতের সাথে আমরা পারছি না।
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অংশীদারদের কথা শুনে চলা ব্যবসায়ীরা সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেন নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, আপনাদের চার বিলিয়ন, পাঁচ বিলিয়ন যে অর্থ লাগবে, আমরা রপ্তানি থেকে এনে দিব। কিন্তু ওনাদের শর্ত সব জায়গায় অনুসরণ করা উচিত হবে না।
এ ছাড়া রপ্তানিতে ইডিএফ তহবিল পুনরায় চালু করা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করা, ঢাকার পরিবহন সমস্যা সমাধান করার অনুরোধ জানান নাসিম মঞ্জুর। পাশাপাশি সরকারকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে একটা স্পষ্ট অবস্থান জানাতে বলেন।
