খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুর কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে পৌঁছালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার চিকিৎসক দল প্রধান উপদেষ্টাকে ব্রিফ করেন। তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জনস হপকিন্স এবং যুক্তরাজ্যে ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ও সহায়তায় বেগম জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানান।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্ভর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তার হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য আজ সকালে যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ একদল চিকিৎসক ঢাকায় এসেছেন। এর আগে চীন থেকেও এসেছে একটি চিকিৎসক দল। এছাড়াও আজ রাতে চীন থেকে আরেকটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আজ দুপুরে এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নতুন করে বলার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।'
