জোটের শরিকদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল জারি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিলেও প্রার্থীকে স্ব স্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হলেও স্ব স্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়। নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও ভোট করতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে- এমন বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধনের বৈধতা নিয়ে রিটে প্রশ্ন তোলা হয় এবং তা বাতিলের আর্জি জানানো হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন এ রিট দায়ের করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর সরকার আরপিও সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। সেখানে বলা হয়, নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও ভোট করতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে। এর আগে, কোনো দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে তারা জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করার সুযোগ পেত। গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার এই বিধান নিয়ে তখন আপত্তি জানিয়েছিল দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা জানায়। এছাড়া জোটভুক্ত হতে আগ্রহী কিছু ছোট দলের মধ্যেও সরকারের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জোট প্রার্থীদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
