টিএসসিতে বড় পর্দায় হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন ডাকসুর
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বিচারের প্রথম রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
এ উপলক্ষে টিএসসির পায়রা চত্বরে বসানো হয়েছে বড় পর্দা, সামনে রাখা হয়েছে বেশ কয়েক সারি চেয়ার। সকাল ১০টা থেকেই সেখানে অধীর আগ্রহে অনেককে বসে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বেলা ১২তার দিকে ডাকসুর আন্তর্জাতিক সম্পাদক জসীমউদ্দিন খান এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
তারা 'আবু সাঈদ কবরে, খুনি কেন বাইরে', 'ওয়াসিম কবরে, খুনি কেন বাইরে', 'বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই', 'ফাঁসি চাই, হাসিনার ফাঁসি চাই', 'লীগ ধর, জেলে ভর'—এসব স্লোগান দেন।
মুহসীন হল সংসদের ভিপি সাদিক শিকদার বলেন, "দুই হাজার শহীদ, শহীদ পরিবার এবং আহতদের পক্ষ থেকে আমাদের একটাই দাবি—শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই।"
এর আগে, গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে টিএসসিতে এ আয়োজনের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম।
রায় ঘোষণার এই কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম রোববার বলেন, 'রায়ের যে অংশটুকু ট্রাইব্যুনাল পড়ে শোনাবেন সে অংশটুকু ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সম্প্রচার করবে। বিটিভির মাধ্যমে অন্য গণমাধ্যমও সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে।'
একইসঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বড় পর্দায় এ রায় দেখানো হবে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের ফেসবুক পেজেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা করবেন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা প্রথম মামলা হিসেবে এর রায় হতে যাচ্ছে আজ।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন: বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল রাত থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সামনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
