৩ উপদেষ্টার অপসারণের দাবি, নাম প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে: জামায়াতের নায়েবে আমীর
তিনজন উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করছে এবং ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুকৌশলে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তাহের বলেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় একটি বিশেষ দলের স্বার্থে প্রশাসনকে দলীয়করণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে মিসগাইড করছেন। আমরা এ তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করছি। তাদের নাম আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠাবো।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত আট দলের আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে তাহের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, "ইতোমধ্যে প্রশাসনে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং সেখানে ওই বিশেষ দলের প্রতি অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে প্রশাসনের সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।"
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে ঐকমত্য কমিশনের অনেক সুপারিশ মানা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সরকার বিএনপির নোট অব ডিসেন্টকে একোমডেট করার জন্য, চারটা ভিন্ন ভাগে গণভোটের প্রশ্নগুলোকে বিভাজিত করেছেন; যা সুস্পষ্টভাবে জটিল, অপ্রচলিত এবং বেআইনিভাবে একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দেয় ।"
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অধ্যাদেশের পরিবর্তে আদেশ জারি করায় তাহের সরকারকে সাধুবাদ জানান।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের উপর গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসাথে হলে 'সাশ্রয়ী' হবে শীর্ষক প্রধান উপদেষ্টার যুক্তিকে 'খোঁড়া যুক্তি' উল্লেখ করে তাহের বলেন, এ মন্তব্যের কোনো যথার্থতা নেই। জনগণের স্বার্থেই দেশের বাজেট।
তিনি বলেন, যদি গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে গণভোটের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। সেই সঙ্গে সংস্কার-সংক্রান্ত মূল ইস্যুটিও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এবং কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে।
জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা বলেন, "আমরা আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি- এখনও সময় আছে। প্রধান উপদেষ্টা গণভোটের তারিখ পৃথকভাবে নতুন করে ঘোষণা করবেন এবং সেই গণভোটের রায়ের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবেন।"
