দুই-তিন দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কার জানা যাবে: আসিফ নজরুল
আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, আমরা এ ধরনের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন।'
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
এসময় তিনি বলেন, 'আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার প্রতি সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।'
আইন উপদেষ্টা বলেন, 'ঐকমত্য কমিশন এত আলোচনা করেছে, অথচ সংস্কার নেই, পণ্ডশ্রম হয়েছে, এমন দোষ দেওয়া হয়।'
তিনি বলেন, 'অপপ্রচারের মাত্রা এমন জায়গায় চলে গেছে যে ২৫ লাখ টাকা খাবারের বিল বানিয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। সবকিছুতে সীমা থাকা উচিত।'
সংস্কার ভাবনার ক্ষেত্রে সবকিছু সংবিধানের মধ্যে আটকে গেছে বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, 'একদল মানুষ পাগল হয়ে গেছে। মানে, সমস্ত সংস্কার শুধু সংবিধানে করলেই হবে। অন্য সংস্কার কোনো কিছুই ইম্পর্ট্যান্ট না। আমাদের এই দেখার মানসিকতার একটু পরিবর্তন প্রয়োজন আছে।'
জানা যায়, আজকের মতবিনিময় সভায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পক্ষ থেকে আইনগত সহায়তা প্রদান (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ এবং জুলাই সনদে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে অধিদপ্তরে রূপান্তরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত সংশোধনীতে সংস্থার কার্যপরিধি সম্প্রসারণ এবং আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সংস্থাটিকে অধিদফতরে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কার্যাবলি, আইনগত সহায়তা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন, মহানগর কমিটি গঠন, বেসরকারি সংস্থার কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ এবং মধ্যস্থতাকারীদের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সভায় উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা, সাবেক জেলা জজ মোতাহার হোসেন, ব্লাস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল কনসালটেন্ট ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওনসহ অন্যরা আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন।
