জামায়াত এখন জিয়াউর রহমানের বিএনপির মতোই বড় দল: ডা. তাহের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিএনপির মতোই বড় দল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় না, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভয় পেয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের পরাজয়ের পর তারা জাকসু, চাকুস, রাকসু নির্বাচন বন্ধে কত শত ষড়যন্ত্র করেছে তা শিক্ষার্থীর পাশাপাশি দেশবাসীও দেখেছে। তারা বুঝতে পেরেছে জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তাহলে পরাজয়ের ভরাডুবি খেতে হবে। সেজন্য তারা জাতীয় নির্বাচনে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যেভাবে বিরোধিতা করেছে, একইভাবে গণভোটের বিরোধিতা করছে।
তিনি বলেন, 'সিপাহি-জনতার বিপ্লব আর ছাত্র-জনতার বিপ্লব একই সূত্রে গাঁথা। সিপাহি-জনতার বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে হলেও জাতীয় ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ গোলাম আজমের জানাজা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জানাজা। এই দুটি জানাজা বলে দেয় তাদের জনপ্রিয়তার পরিধি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলতে চাই না, কিন্তু আমাদের শুনতে হয় আজকের বিএনপি সেই জিয়াউর রহমানের বিএনপি নয়। জনগণের আস্থাশীল হতে হলে আজকের বিএনপিকে জিয়াউর রহমানের বিএনপি হতে হবে। জিয়াউর রহমানের সময় বিএনপি ছিল বড় দল। আজ সেই জায়গায় অবস্থান করে নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা তার আদর্শ ভুলে গেছে। যার কারণে তারা এখন গণতন্ত্র চর্চা করে না, মানুষের সেন্টিমেন্ট তারা বুঝতে পারছে না, বুঝতে চেষ্টাও করছে না। তারা সংস্কার চায় না।
ডা. তাহের বলেন, আপনারা না চাইলেও জনগণ চায়। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে রাজনীতি না করলে আওয়ামী লীগের মতই পরিণতি হতে পারে।
গণভোট প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, সময়ক্ষেপণ করে লাভ নাই, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। যতই চালাকি করে সময় নষ্ট করা হোক না কেন, আগে গণভোট, তারপর জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। নতুবা জনগণ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় আবার রাজপথে নেমে আসবে। সংকট সৃষ্টি না করে তিনি নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে জুলাই সনদের আলোকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
