জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর পর্যটন মেট্রোর হলরুমে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে নাহিদ আরও বলেন, 'গণহত্যার বিচার না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কোনো অর্থ নেই। এই বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজন কেবলই আনুষ্ঠানিকতা, কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরেও দেখেছি, ত্রিদলীয় রূপরেখা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। জনগণের রক্তের ত্যাগ ভুলে যাওয়া হয়েছে। আমরা সেই ভুল আর করব না।'
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এজন্য সব পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সব কিছু করবে বা জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, জুলাই সনদ শুধু একটি দলীয় প্রস্তাব নয়, এটি জনগণের মুক্তির দলিল। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া এই দেশের গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দেওয়া হবে। আমরা চাই যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বা কমিশন যেসব বিষয়কে সংবিধান সংস্কারের জন্য লিপিবদ্ধ করেছে, সেসব বিষয় গণভোটে যাক। জনগণই রায় দেবে, কী থাকবে আর কী বদলাবে।
তিনি বলেন, 'নোট অব ডিসেন্ট' বলে কিছু থাকবে না। সংস্কারের রূপরেখা জনগণের হাতে যাবে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। গণভোট ছাড়া কোনো সনদ বাস্তবায়নের অর্থ জনগণের মতামত উপেক্ষা করা।
নাহিদ উল্লেখ করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই। গণভোটের মাধ্যমেই জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশ জারি করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংস্কারের ভিত্তি হবে জনগণের অংশগ্রহণ ও গণসম্মতি।
