‘৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাইনি’—বিজিএমইএ সভাপতির দাবি নাকচ প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিবের
চার মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি বলে বিজিএমইএ সভাপতি যে দাবি করেছিলেন, তা নাকচ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে আজাদ মজুমদার লিখেছেন, 'প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি বলে কাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট। অথচ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ক'দিন আগে তাঁকে আমি নিজ চোখে উপস্থিত থাকতে দেখেছি।'
'শুধু উপস্থিতই ছিলেন না, সেই সভায় তিনি বিজিএমইএ-এর বিভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ও সরাসরি তুলে ধরেছিলেন,' পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, আজাদ মজুমদারের ফেসবুক স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, "ওটা বিজিএমইএ'র সঙ্গে বৈঠক ছিল না। ওটা ছিল এলডিসি থেকে উত্তরণ-সংক্রান্ত একটি সভা। সেখানে বিভিন্ন অংশীজন, বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছিলেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই পোশাক খাত ও অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পের চলমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য।"
এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, চার মাস ধরে বারবার আবেদন করেও তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, "আমার বিজিএমইএ'র দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস হয়েছে, এ সময়ে একাধিকবার আমরা প্রধান উপদেষ্টার অ্যাপয়ন্টমেন্ট চেয়েছি, কিন্তু আমাদের কনসার্নগুলো জানানোর জন্য উনি সময় দেননি।"
তিনি আরও বলেন, "আমি ক্ষোভের সঙ্গে বলছি, ১০০ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি স্টারলিংকের ভাইস প্রেসিডেন্টে লেভেলের লোক আসে, উনি উনাকে সময় দেন, আর ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের উনি সময় দেন না। এটার দায় উনাকেই নিতে হবে।"
