গুলশানে ঝটিকা মিছিল: আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২১ নেতা-কর্মী ৩ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর গুলশান থানাধীন এলাকায় ঝটিকা মিছিলের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২১ জন নেতাকর্মীকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। একই মামলায় গ্রেপ্তার আরও তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বয়স যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ কর্মী মো. মিজানুর রহমান শেখন (৩৬), মো. নজরুল ইসলাম (৫৭), মো. ইউনুস আলী (৩৮), শহিদুল আলম (৩০), যুবলীগ কর্মী জেডএফ তিতুমির (৪২), হাসানুল করিম (৪১), মো. আমিনুল ইসলাম নিরব (৪০) এবং ছাত্রলীগ কর্মী মো. বাপ্পি হোসেন (২০), মো. সিপন আহম্মেদ সিফাত (১৮), হামিদুর রহমান অমি (১৯), মো. ইলিয়াস (২৮), মো. সুজন (২১), মো. আজাদ (২৫), মো. রহমত (২১), মো. সজীব (২১), মো. জাহিদ হোসেন খান (২৮), শহিদুল আলম (৩০) মো. তানভীর হাসান আরিফ (৩২), মো. জাকির হোসেন (২৬), মো. তানভীর হাসান আরিফ (৩২)।
অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- মো. রাফি হোসেন (১৯), মো. ফয়সাল মাহমুদ (১৯) ও মো. সোহেল (১৯) নামের তিনজনকে, যাদের সবাই ছাত্রলীগ কর্মী বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. আরমান হোসেন।
অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ওবাইদুল ইসলামসহ আরও অনেকে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ২১ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং বাকি তিনজনের বয়স যাচাইয়ের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর ঢাকার গুলশান থানাধীন গুলশান-১ এলাকার ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। তারা রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুরেরও চেষ্টা করেন এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য একত্রিত হন।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে। আসামিদের দেহ তল্লাশির সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও বিভিন্ন আলামত পাওয়া যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় গুলশান থানার উপপরিদর্শক আবদুল গোফরান বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
