যে পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়, তার মাত্র ১% ফেরত আসে: ড. ইফতেখারুজ্জামান
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থের মাত্র এক শতাংশ দেশে ফেরত আসে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিবিএস মাল্টিমিডিয়ার বিশেষ আয়োজন 'রোড টু ইলেকশন'-এ ড. ইফতেখারুজ্জামান এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে পাচার রোধ করতে। কিন্তু যেই মুহূর্তে অর্থটা দেশ থেকে বেরোচ্ছে, কেন বেরোচ্ছে? কেন বের হতে পারছে? তার কারণ হচ্ছে, ইট ইজ বিয়িং ওয়েলকামড ইন সাম কান্ট্রিস। যখন টাকাটা সেই দেশে যাচ্ছে, ভেরি সিম্পল জিনিস, ওইটা অবৈধভাবে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে তা সত্ত্বেও খুব কুইকলি এটা কিন্তু বৈধতা পাচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে হয়, আমাদের আদালতে এটা প্রমাণ হতে হবে যে, এটা আমাদের দেশ থেকে এই অর্থ ওই দেশে গেছে। সেই দেশের আদালতে প্রমাণ করতে হবে যেটা অবৈধভাবে এসছে প্রথম এবং সেটা বাংলাদেশ থেকে আসছে এবং সেটা, যেটা এসছে সেটার উপরে ভিত্তি করে যেই ইনভেস্টমেন্টটা হয়েছে সেটাও অবৈধ।'
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'কাজেই এটাকে ফ্রিজ করতে হবে এবং সেটাকে কনফিস্কেট করতে হবে এবং কনফিস্কেট করা, ফ্রিজ করা যে পর্যায়গুলো, সেগুলো শেষ করে আবার ফেরত আনার জন্য যে পর্যায়টা, সেটা অত্যন্ত, পুরো বিষয়টা অত্যন্ত জটিল, জটিল এবং দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়ার বিষয়।'
তিনি বলেন, 'যতই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বলছে যে আমরা সহায়তা করতে চাই বাংলাদেশকে, কিন্তু ওরা কিন্তু জানে অ্যাট দি এন্ড অফ দ্য ডে, এটা ওদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে হয়েছে, ওদের অংশগ্রহণে হয়েছে এবং এটা জানে যে এটা ওদের দেশের টাকা এখন। তারা তাদের দেশের এখন যেটা বৈধ টাকাটা হয়েছে, সেটা আমাদের দেশে চট করে ফেরত দানশীল হয়ে ফেরত পাঠাবে, সেটা ভাবাটা কঠিন। যে পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয় গ্লোবালি, ইটস এ হিউজ ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু। তার মাত্র এক শতাংশ ফেরত আসে।'
